এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৫
গল্পঃ #এ_আবার_কেমন_বউ
(শেষ পর্ব ৫)
-রাইসা ঘর থেকে বের হয়ে এসো তো। আমার বন্ধুরা দেখতে এসেছে তোমাকে।
রাইসা সুন্দর ভাবে সেজে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, লীল রংঙের শাড়ী। আর নানার রকমের চুরি পড়ে।
আসাদ রাইসার দিকে তাকিয়ে আছে, অনেক মুগ্ধকর দৃষ্টিতে। রাইসাকে অনেক সুন্দর লাগছে আজ।
-এই কেমন (আসাদ)
-আমাদের ভাবি দেখতে অনেক সুন্দর। অসাধারণ বলতেই হবে, ভাই। (ফয়সাল)
-ধুর অসাধারণ বললে ভুল হবে। অনেক কিউট (তানিয়া)
-ভাবি একটু মুখটা তুলেন দেখি (রাইসুল)
সকলে রাইসার প্রশংসা করতে থাকে। এদিকে আসাদ চুপটি করে বসে আছে।
ফাহিম কিছু বলছে না। তাই আসাদ ফাহিমকে বলে উঠে।
-কিরে ফাহিম। আমার বউটা কেমন দেখতে?
-ভালো।
ভালো বলে ফাহিম, উঠে যেতে চাচ্ছিলো। এদিকে রাইসা মুখ তুলে তাকিয়েছে ফাহিম এর দিকে।
-তু......তুমি(রাইসা)
-আ.....আসাদ আমি যাচ্ছি তোরা থাক। (ফাহিম)
-মানে কি কোথায় যাবি তুই (আসাদ)
এদিকে ফাহিমকে দেখে রাইসা পাগলামি করতে শুরু করে দেয়। চিল্লায়ে উঠে। আর ওকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
আসাদ অন্যকিছু বুঝিয়ে বন্ধুদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আসাদ বুঝতে পারে রাইসা আর ফাহিম এর ভিতরে কিছু একটা ছিলো।
আসাদ বন্ধুদের গাড়িতে উঠে দিয়ে বাড়িতে এসে দেখে রাইসা কান্না করে যাচ্ছে। মিতু আর আম্মু রাইসাকে থামানোর চেষ্টা করছে তবে পারছে না। আসাদ রাইসার কাছে এসে রাইসাকে বলে।
-পাগলী কান্না করছো কেন?
রাইসা আসাদকে দেখে কিছুটা শান্ত হয়। আসাদ রাইসাকে নিয়ে রুমে যায়। রাইসা খাটের উপর বসে আছে। আসাদ রাইসার কাছে বসে বলে।
-রাইসা
-হু
-তুমি ফাহিমকে চিনো?
-হু
-কখন থেকে চিনলে? আর পাগলামি করলে কেন তখন?
রাইসা কিছু না বলে কেঁদে যাচ্ছে। তারপর রাইসা বলতে থাকে। আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। তারপর হঠাৎ করেই চলে যায় ফাহিম। রাইসা তা মেনে নিতে পারিনি।
তাই রাইসা আত্যহত্যা করার চেষ্টা করে। তবে কোনোরকমে বেঁচে যায়। তারপর থেকে তার এইরকম পাগলামি। ডাক্তার বলেছিলো। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে রাইসা। তাই হচ্ছে হয়তো। রাইসা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আর আগের সৃতি গুলো মনে পরে যাচ্ছে।
আসাদ রাইসার মুখে এইসব শুনার পর অনেকটা রেগে যায় ফাহিময়ের উপর। তবে রাইসাকে বলে এইসব নিয়ে আর না ভাবতে। রাইসা তাই করে। রাইসা কান্না করেই যাচ্ছে।
তখন রাত অনেকটা হয়ে গেছে। আসাদ রান্নাঘর থেকে রাইসার জন্য ভাত আর তরকারি নিয়ে আসে। আর রাইসা নামের পাগলীটাকে খাইয়ে দিতে শুরু করে। রাইসা কান্না করছে আর ভাত খাচ্ছে।
-এই যে বাবু, তোমাকে দারুণ লাগছে। (আসাদ)
-হু, খাইয়ে দেও
ঘুমানোর সময় রাইসা আসাদের কাছে একটা জিনিস আবদার করে।
-জামাই
-হু বলো
-আমি একটা পিচ্চি বাবু চাই, দিবে বলো।
-তুমিই তো একটা বাবু, তাহলে আর বাবুর কি দরকার?
-ধুর আমি বাবু তো এমনি। আর আমাদের দু'জনের একটা কিউট বাবু চাই (বলে রাইসা হেঁসে উঠে)
-না, তা হবে না।
-কেন জামাই (মুখটা গোমড়া করে)
-তোমার সন্তান জন্মানোর সময় অনেক কষ্ট হবে। শুনেছি মা মারা যায় অনেক সময়। আমরা এমনি ভালো আছি।
-জামাই (রাইসা অনেক রেগে যায়।)
আমাক বাবু দিবে কিনা বলো।
-আচ্ছা দিচ্ছি,
আসাদ রাইসাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। তারপর রাইসার ঠোঁটে ভালোবাসার পরর্শ একিঁয়ে দেয়। এরপর একটু সুখের আসায় ডুবে যায়। প্রেমের অতল গহিনে, দু'জনে।
(চলবে?)
(শেষ পর্ব ৫)
-রাইসা ঘর থেকে বের হয়ে এসো তো। আমার বন্ধুরা দেখতে এসেছে তোমাকে।
রাইসা সুন্দর ভাবে সেজে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, লীল রংঙের শাড়ী। আর নানার রকমের চুরি পড়ে।
আসাদ রাইসার দিকে তাকিয়ে আছে, অনেক মুগ্ধকর দৃষ্টিতে। রাইসাকে অনেক সুন্দর লাগছে আজ।
-এই কেমন (আসাদ)
-আমাদের ভাবি দেখতে অনেক সুন্দর। অসাধারণ বলতেই হবে, ভাই। (ফয়সাল)
-ধুর অসাধারণ বললে ভুল হবে। অনেক কিউট (তানিয়া)
-ভাবি একটু মুখটা তুলেন দেখি (রাইসুল)
সকলে রাইসার প্রশংসা করতে থাকে। এদিকে আসাদ চুপটি করে বসে আছে।
ফাহিম কিছু বলছে না। তাই আসাদ ফাহিমকে বলে উঠে।
-কিরে ফাহিম। আমার বউটা কেমন দেখতে?
-ভালো।
ভালো বলে ফাহিম, উঠে যেতে চাচ্ছিলো। এদিকে রাইসা মুখ তুলে তাকিয়েছে ফাহিম এর দিকে।
-তু......তুমি(রাইসা)
-আ.....আসাদ আমি যাচ্ছি তোরা থাক। (ফাহিম)
-মানে কি কোথায় যাবি তুই (আসাদ)
এদিকে ফাহিমকে দেখে রাইসা পাগলামি করতে শুরু করে দেয়। চিল্লায়ে উঠে। আর ওকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
আসাদ অন্যকিছু বুঝিয়ে বন্ধুদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আসাদ বুঝতে পারে রাইসা আর ফাহিম এর ভিতরে কিছু একটা ছিলো।
আসাদ বন্ধুদের গাড়িতে উঠে দিয়ে বাড়িতে এসে দেখে রাইসা কান্না করে যাচ্ছে। মিতু আর আম্মু রাইসাকে থামানোর চেষ্টা করছে তবে পারছে না। আসাদ রাইসার কাছে এসে রাইসাকে বলে।
-পাগলী কান্না করছো কেন?
রাইসা আসাদকে দেখে কিছুটা শান্ত হয়। আসাদ রাইসাকে নিয়ে রুমে যায়। রাইসা খাটের উপর বসে আছে। আসাদ রাইসার কাছে বসে বলে।
-রাইসা
-হু
-তুমি ফাহিমকে চিনো?
-হু
-কখন থেকে চিনলে? আর পাগলামি করলে কেন তখন?
রাইসা কিছু না বলে কেঁদে যাচ্ছে। তারপর রাইসা বলতে থাকে। আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। তারপর হঠাৎ করেই চলে যায় ফাহিম। রাইসা তা মেনে নিতে পারিনি।
তাই রাইসা আত্যহত্যা করার চেষ্টা করে। তবে কোনোরকমে বেঁচে যায়। তারপর থেকে তার এইরকম পাগলামি। ডাক্তার বলেছিলো। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে রাইসা। তাই হচ্ছে হয়তো। রাইসা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আর আগের সৃতি গুলো মনে পরে যাচ্ছে।
আসাদ রাইসার মুখে এইসব শুনার পর অনেকটা রেগে যায় ফাহিময়ের উপর। তবে রাইসাকে বলে এইসব নিয়ে আর না ভাবতে। রাইসা তাই করে। রাইসা কান্না করেই যাচ্ছে।
তখন রাত অনেকটা হয়ে গেছে। আসাদ রান্নাঘর থেকে রাইসার জন্য ভাত আর তরকারি নিয়ে আসে। আর রাইসা নামের পাগলীটাকে খাইয়ে দিতে শুরু করে। রাইসা কান্না করছে আর ভাত খাচ্ছে।
-এই যে বাবু, তোমাকে দারুণ লাগছে। (আসাদ)
-হু, খাইয়ে দেও
ঘুমানোর সময় রাইসা আসাদের কাছে একটা জিনিস আবদার করে।
-জামাই
-হু বলো
-আমি একটা পিচ্চি বাবু চাই, দিবে বলো।
-তুমিই তো একটা বাবু, তাহলে আর বাবুর কি দরকার?
-ধুর আমি বাবু তো এমনি। আর আমাদের দু'জনের একটা কিউট বাবু চাই (বলে রাইসা হেঁসে উঠে)
-না, তা হবে না।
-কেন জামাই (মুখটা গোমড়া করে)
-তোমার সন্তান জন্মানোর সময় অনেক কষ্ট হবে। শুনেছি মা মারা যায় অনেক সময়। আমরা এমনি ভালো আছি।
-জামাই (রাইসা অনেক রেগে যায়।)
আমাক বাবু দিবে কিনা বলো।
-আচ্ছা দিচ্ছি,
আসাদ রাইসাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। তারপর রাইসার ঠোঁটে ভালোবাসার পরর্শ একিঁয়ে দেয়। এরপর একটু সুখের আসায় ডুবে যায়। প্রেমের অতল গহিনে, দু'জনে।
(চলবে?)
এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৫
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
10:16 AM
Rating:
No comments