বোনের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম! পর্ব-০১

গল্পঃ #বোনের_বান্ধবীর_সঙ্গে_প্রেম
  (পর্ব-১)
-বোন কোথায় যাচ্ছিস?
-এই তো ইস্কুলে যাচ্ছি ভাইয়া দেখতে পাচ্ছো না?
-হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি তো।
-তাহলে কোথায় যাচ্ছি জিগ্যেস করছো কেন, ভাইয়া?
-তোর সঙ্গে আমার একটু কথা ছিলো।
-কি কথা বলবে তাড়াতাড়ি বলো। আমার ইস্কুলের দেঁরি হয়ে যাচ্ছে।
-এই চিঠিটা তোর বান্ধবী রাইসাকে দিবি plz..,বোন না করিস না plz...🙏
-এই ব্যপ্যার তাহলে ভাইয়া। তোমার ধান্দা তো অনেক খারাপ দেখছি। এই জন্য মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছো। আমি এই সব পারবো না।
-আমার কলিজা বোন আমার। তোকে অনেক গুলো চকলেট কিনে দিবো plz..বোন তোর বান্ধবীকে এই চিঠিটা দেনা।
-কি লিখা আছে এই চিঠিতে?😒
-পরে শুনিস।
-ওকে তাহলে খুলে দেখছি।
-আরে না না। কি করছিস এসব (বোনের হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে নিলাম।
বোন মুচকি হাঁসতে হাঁসতে ইস্কুল চলে গেলো। ধ্যাৎ ভালো লাগে না। কত শখ করে চিঠিটা লিখেছিলাম। সব ভেস্তে দিলো।
চিঠিটা পকেটে রেখে দিলাম।
আমার দাঁরা এসব হবে না। কতবার বোনকে বলেছি। রাইসাকে চিঠিটা দে না। কিন্তু আমার পাজি বোন।
বলে কিনা তুমি দিয়ে আসো। আমি ওর বড় ভাই ভাই ভাই😡 আমার কথা একটুও শুনে না। পাজি একটা চকলেট নেওয়ার সময় ঠিক চকলেট নিয়ে নেয়।।
আর আমার একটু কথা শুনে না।
খুব রাগ হচ্ছে। বোনটার উপর।
জানালার পার্শে থেকে রাইসাকে দেখলাম।
আমার বোনের সাঙ্গে ইস্কুলে যাচ্ছে।
ও হ্যাঁ আমার নাম আসাদ। ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্র। আর আমার বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী। আমার বোনের নাম। মিতু।
cls6 থেকে থেকে আমার ত্রাশ রাইসা। 😂
কি আবাক হলেন আরে হ্যাঁ আমি ছোট্ট থেকেই একটু ফাজিল ছিলাম। বোন আর রাইসা দুজনে ইস্কুল যেত। আর আমি মনের সুখে গান গাইতাম। আহা সে কি গান। তোমায় ছারা বাঁচি না।😍
যাই হোক আমি তো এখন অনেক বড় হয়ে গেছি। এসব চিন্তা করে লাভ নেই। রাইসাকে কিভাবে প্রপোজ করা যায় ভাবছি। রাইসা মেয়েটা একদম গুলুমুলু সান্ত আর বাচ্চা বাচ্চা টাইপের। গায়ের রং একবারে ধবধবে সাদা না হলেও। দেখতে একদম হেব্বি।😜
কলেজে যাবার সময় রাইসার কথা খুব মনে পরছিলো। এভাবেই কি কেঁটে যাবে আমার দিন গুলো। যদি সারাজীবন প্রপোজ করতে না পারি। তাহলে তো রাইসা অন্যকাউকে বিয়ে করে নিবে। এসব ভাবলেই কেন যানি খুব কষ্ট লাগে।
কলেজ থেকে আসার পর। হাত মুখ ধুয়ে। বোনের জন্য টিফিন নিয়ে যাচ্ছি।
মন থেকে কিন্তু বোনের জন্য টিফিন নিয়ে যাচ্ছি না। রাইসাকে একটু দেখার জন্য।
যাই নিয়ে যাই গো। সারাদিন না খেয়ে আছে আমার বোনটা।😌
ইস্কুলের পিছনে। জাম গাছ আর কয়েকটা আমের গাছ আছে। সেখানে হেলান দিয়ে সুয়ে। আছি। বোন আসলো।
-ওই ভাইয়া (চিৎ্কার দিয়ে)
-কে কে
-ভূত
-ওহ তুই। আমি ভুত তাই না রে। তুই একটা বান্দর।
-ভাইয়া এখানেও।
-এখানেও কি বল।
-এখানেও এসে ঝগড়া করতে হবে।
-ও হ্যাঁ স্যরি বোন। ওই বান্দরনী তোর সাথে কে ঝগড়া করতে চায় বল। থাপ্পড় দিবো বুঝছিস। এখানে আমি আসতাম না। যদি না রাইসা তোর বান্ধবী হতো।😒 দরকার কি একটা বান্দরনীর জন্য খাবার নিয়ে আসার।
-কি বললে আমি বান্দর। তুমি তো একটা হনুমান।
-আচ্ছা বোন রাইসা কোথায়?
-বলবো না।
-কেন?
-তুমি আমাকে সত্যি করে বলো তো। আমাকে ভালোবাসো কিনা ভাইয়া? শুধু কি রাইসার জন্য এখানে আসো। আমার জন্য না?😥
-আরে বোন কান্না করছিস কেন? আমি তোকে অনেক ভালোবাসি। মজা করছিলাম স্যরি বোন। এই দেখ কান ধরছি।
-হইছে হইছে আর ঢং করতে হবে না।
-বোন বলনা রাইসা কোন রুমে আছে।
-ওই শেষ রুমে আছে। আমার জন্য অপেক্ষা করছে ভাইয়া।
-ও আচ্ছা। আমার লক্ষি বোন। টিফিনটা নিয়ে রুমে যা। আমি একটু দেখেই চলে যাবো।
-আচ্ছা ভাইয়া। ভাইয়া তুমি রাইসাকে ভালোবাসো তাই না? হিহিহি
-আরে না। এমনি তোর বান্ধবী তাই একটু খেয়াল রাখি আরকি।😅
-ও আচ্ছা
-হ্যাঁ
-বুঝি ভাইয়া সবকিছু বুঝি।
-কি বুঝিস বলতো।
-কিছু না ভাইয়া। বাসায় যাও।।
আমার বোন মিতু রুমে চলে গেলো। আমি জানালার ফাঁক দিয়ে রাইসাকে দেখছি। আমার বোন রুমে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে অনেক হাঁসাহাঁসি করছে আমাক নিয়ে। মনে মনে ভাবছি বাসায় আসুক আগে তারপর দেখাচ্ছি। আমাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে তাই না।
রাইসা আর আমার বোন টিফিন খাচ্ছে। ইসস খুব ইচ্ছে করছে। রাইসাকে খাইয়ে দিতে। মেয়েটা কি সুন্দর ভাবে খেতে পারে। জানালার ফাঁক দিয়ে রাইসার অপূর্ব মুখটাকে দেখছি।
আহা পরীর চেয়ে কম না আমার পাগলীটা।😍
ইস্কুল স্যার বলে উঠলো কে এখানে।
সঙ্গে সঙ্গে এক দৌড়ে আমি বাসায় পৌচ্ছে গেলাম। একটুর জন্য ধরা খাইতাম গো। মান সম্মান সব যাইতো।
রুমে এসে। বইটা একটু খুললাম। দশ মিনিট পড়ার পর ধ্যাৎ পড়তে একদম ভালো লাগে না। ফোনে গেম খেলছি এখন খুব ভাল্যাগেছে।😌
গেম খেলতে খেলতে কখন যে। ঘুম চলে আসছে কে যানে? এখন তো ঘুমাইলেই রাইসাকে স্বপ্নপরী হিসেবে দেখতে পাই😍😊
রাইসাকে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছি আরো কত্তকি স্বপ্ন দেখি আমি। আহা স্বপ্নে ডুবে থাকতে মন চায় সবসময়।
ঘুম থেকে উঠে। ফ্রেস হয়ে নিলাম। আমার বোনকে আবার ইস্কুল থেকে নিয়ে আসতে হবে। আমি নিয়ে আসি না। 😉 রাইসা আর আমার বোন হেঁটে হেঁটে আসে আর আমি ওদেরকে ফলো করি। পিছন থেকে। আমি ওদেরকে ফলো করছি একদম বুঝতে দেইনা। খুব চালাক তো😜
....
গল্পঃ (বোনের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম)
(পর্ব-২)
দুজনের পিছনে হেলে দুলে হেঁটে যাচ্ছি।
ওরা যখন পিছনে তাকাচ্ছে তখন আমি ফোন টিপতে শুরু করে দিয়েছি।
-ওই দেখ ভাইয়া আমাদের পিছনে (মিতু)
-হুম দেখেছি। (রাইসা)
-তোকে খুব ভালোবাসে রে।
-যানি যানি, এই জন্য আজ পযন্তু প্রপোজ করতে পারলো না। ভিতু
-ওই আমার ভাইকে তুই ভিতু বলবি না।
-ওকে তাহলে কি বলবো।
-কিছু না। দেখনা ভাইয়া কিভাবে আমাদের পিছু নিচ্ছে। মনে করেছে আমরা দেখিনাই।
-হুম
মিতু আর রাইসা হাঁসাহাঁসি করছে।
-কি ভেবে হাঁসে কে যানে। ওরা তো কিছুক্ষণ পর পর হেঁসে ফেলে।(আসাদ)
না আর পিছু নেওয়া যাবে না। যাই বাসায় চলে যাই। নয়তো ধরা পরলে মান সম্মান সব যাবে।
বাসায় এসে ফোন টিপছি এমন সময় দেখলাম মিতু আসলো। যাই ওর রুমে গিয়ে ওকে রাগিয়ে দিয়ে আসি। খুব মজা লাগে বোনটার সাথে ফাজলামি করতে।
-মিতু
-হুম বলো ভাইয়া।
-এখন স্কুল থেকে আসলি?
-হুম, তুমি যানো না?
-হুম যানি।
-তাহলে বলছো কেন ভাইয়া।
-খবারটা খেয়ে নে। টেবিলে রাখা আছে।
-আচ্ছা। আম্মু কোথায়।
-আম্মু কাজ করছে। তুই আর ছোট্ট নেই যে তোকে খাইয়ে দিতে হবে।
-ঠিক আছে ভাইয়া।
-রাগ করলি?
-না
-একটা কথা বলবো বোন।
-হুম
-তোর জামাই কেমন হবে যানিস?
-কেমন?
-অনেক মটু হিহিহিহি
-কি বললে বান্দর। দাড়াও দেখাচ্ছি।
বোন আমাকে মারতে আসলে। আমি এক দৌড় দিয়ে রুমে চলে আসলাম।
বোন আমাকে চাইলেও মারতে পারে না। কারন বোন যখনি আমাকে মারার চেষ্টা করে। তখন নিজেই মার খেয়ে নেয়। বোন আমার সঙ্গে কখনো পেরে উঠে না। আমার বোনটা খুব ভালো। অনেক আদর দিয়ে বড় করেছি সবাই।
দেখি আসি ভাত খেয়েছে কিনা।
মিতুর রুমে ঢুকতেই দেখলাম পাগলীটা টেবিলে বসে টুকটুক করে ভাত খাচ্ছে।
আমি বোন এর কাছে গিয়ে। নিজের গালে হাত দিয়ে ওর খাওয়া দেখছি। বোন বলে উঠলো।
-ওই ভাইয়া কি দেখছো এভাবে?
-তোকে দেখছি।
-আমাকে দেখার কি আছে? আর তুমি এখান থেকে যাও তো।
-কেন রে?।
-তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছো। আর আমি কিভাবে ভাত খাবো।
-আচ্ছা। যাচ্ছি
-হুম
রুমের বাইরে চলে আসলাম খুব মন খারাপ করে। আমি সব সময় বোনটার সাথে ঝগড়া খুনসুটি করে দিন পার করি বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা দিই। রুমে এসে সুয়ে সুয়ে ফোন টিপছিলাম। বোন ঘরে আসলো দেখলাম। ওকে না দেখার ভান করে ফোন টিপতে লাগলাম।।
-ওই ভাইয়া.......
-হুম বল
-একটা কথা বলতাম।
-কি
-আমাকে ২০০ টাকা দিতে পারবে।
-আচ্ছা এই ২টাকা টা রাখ লজেন্স কিনে খাস।
-ধ্যাৎ
-কি হলো আবার।
-ফাজলামি করো না তো। দেওনা ভাইয়া ২০০ টাকা। তাহলে কালকে রাইসাকে বলবো। যে আমার ভাইয়া আপনাকে ভালোবাসো।
-সত্যি বলছিস?
-হুম
-তাহলে এই নে।
-ধান্কু ভাইয়া। তুমি ধরা পরে গেলে হিহিহি।
-কি ধরা পরে গেলাম?
-তুমি রাইসাকে যে ভালোবাস। আর আমাকে কত্তো কি বলে যে পার করতে। আজ ধরা পরলে তো।
-হুম বোন।
-আচ্ছা ভাইয়া তুমি সারাক্ষণ রুমে বসে থাকো কেন?
-ভালো লাগে তাই।
-বাইরে খেলতে যাও বলছি।
-না।
-আচ্ছা।
-হুম
-বলা তো যায়না রাইসাকে দেখে ফেলতে পারো।
-ওহ যাচ্ছি।
বোনের কথা মতো সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। চিন্তা করলাম রাইসার বাসার সামনে গিয়ে এক পাক দিয়ে আসি।
রাইসার বাসার সামনে যেতেই। রাইসাকে দেখলাম। জানালার কাছে বসে আছে।
আমাকে দেখতে পেয়ে হাঁসিতে লাগিলো আহা কি সেই হাঁসি আমি তো কবি হয়ে গেলাম গো। যাহা বলি না কেন তাহা এখন। কবিতা হয়ে যায়। আবার রাইসার দিকে তাকাইতেই দেখলাম। চখ মারলো। আমি তো লজ্জায় মাথা চুলকাতে লাগিলাম। নাহা নাহা এখানে আর থাকা যাবে না। না হলে হিসু করিতে পারি।😜
রাইসার বাসার এক দিকে আমার বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছে আমি ওদের কাছে গেলাম। আড্ডার মাঝে মাঝে রাইসাকে দেখতে লাগলাম। জানালার পার্শে বসে। বই পড়ছে।
বন্ধুরা সেই ব্যপারটা বুঝতে পেরে। আমার দিকে হা😮 করে তাকিয়ে আছে।
-ওই হা করে কি দেখছিস। (আসাদ)
-তোকে দেখছি আমরা।
-আমাকে দেখার কি আছে? আর আমি কি মেয়ে?
-আরে না। আজ প্রথম দেখলাম তো। ওই জানালায় কি দেখছিস।
-কই নাতো কি দেখছি, কিছু না।
-হু রে কিছু বুঝিনা মনে হয়?
-হুম বুঝিস তো থাক। আমি বাসায় গেলাম। এই জন্য তোদের কাছে আসতে মন চায়না।
-আরে রাগ করে কোথায় যাচ্ছিস।
-রাগ করি নাই। বাসায় যাচ্ছি।
বন্ধুরাও আমার বোনটার মতো শুরু করে দিয়েছে। ভালো লাগে না বাল। বাসায় এসে ফোন টিপছিলাম। রাইসা একটা এসএমএস করেছে। কেমন আছেন। আমি রিপ্লাই দিলাম।
(SmS)
-হ্যাঁ ভালো আছি আপনি?😊
-হুম ভালো আছি। আচ্ছা আপনি কি আমাকে চিনেন?
-না তো।
-তাই।
চলবে
মূল লেখক- আসাদ
বোনের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম! পর্ব-০১ বোনের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম! পর্ব-০১ Reviewed by গল্প প্রেমিক on 9:55 AM Rating: 5

No comments

হৃদয়স্পর্শী গল্প

হৃদয়স্পর্শী গল্প