বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব-০২
#বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম!
(পর্ব-০২)
-হুম
-আপনার নাম কি?
-আপনি বলেন আগে।
-না আপনি বলেন।
-আমার নাম আসাদ আপনার?
-ওহ আপনি মিতুর ভাই না?
(মনে মনে ভাবলাম, কি যে কয় মনে হয় যেন আমাকে চিনে না। এসএমএসের রিপ্লাই দিলাম।)
-হ্যাঁ আমি আসাদ মিতুর ভাই। আপনার নাম কি?
-আমার নাম রাইসা। আর আপনার বোন মিতু আমার বান্ধবী।
-ওহ আচ্ছা
-হ্যাঁ
-একটা কথা বলতাম।।😅
-হুম বলেন।
-আপনি কি প্রেম করেন?😅
-মানে?
-কিছু মনে করিয়েন না যেন। এমনি বললাম।
-হ্যাঁ আমি প্রেম করিনা।
-সত্যি?।
-হ্যাঁ। আর আমি প্রেম করিনা যেনে এতো খুশি হচ্ছেন কেন?।
-কিছু না এমনিতেই।
এভাবেই শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনি।
কলেজ থেকে আসার পর। দুজনে ফোনে এসএমএস করতাম। আবার রাত্রে তারাতাড়ি ভাত খেয়ে নিতাম। সারারাত গল্প করার জন্য।
কিন্তু আমরা আজ পযন্তু দুজন দুজনকে বলতে পারি নাই। ভালোবাসি।
একদিন হঠাৎ করে রাইসা একটা এসএমএস করে।
-আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন?
-আমি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে উত্তর দিলাম। হ্যাঁ অনেক ভালোবাসি।
-১০ তারিখে আমার বিয়ে। আর দশ দিন বাকি। আপনি যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আমাকে পালিয়ে নিয়ে যান। আর পালিয়ে যাবেন কিনা হ্যাঁ বা না। উত্তর দিবেন। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।
আমি নিজের যায়গাই থাকতে পাচ্ছি না।
সব ছেরে পালিয়ে যেতে হবে। চটপট করে বোনের ঘরে গিয়ে। সবকিছু খুলে বললাম। বোনের চোখের এক কোনে জল দেখতে পেলাম।
আমি যদি চলে যাই তাহলে কার কাছে চকলেট আইসক্রিম চাইবে? আমার বোনটা। বোনকে ধরে কান্না করতে লাগলাম। বোন ভালো থাকিস।
আমি রাইসাকে এসএমএস এর রিপ্লাই দিলাম হ্যাঁ। রাইসা রিপ্লাই দিয়েছে। তাহলে আজ রাত ১২ টার দিকে বাসা থেকে বের হবেন। আমি যত সম্ভব কিছু টাকা নিয়ে বের হবো। আচ্ছা বাই দেখা হবে।
রাইসার সাথে ফোনে কথা বলার সময়। বোনকে দেখলাম দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম বোন তুই। এখানে আয়।
আমার তো এখনো জগ্যতা হয় নাই বিয়ে করার। কয়দিন আগে তো Hsc পার্শ করলাম।
আমাদের প্রেমের দুই বছর হয়ে এসেছে।
কি করবো বল চলে তো যেতেই হবে। বোন আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
-ভাইয়া তুমি একদম কান্না করবে না। তুমি এখানে থাকো। আমি এখনি আসছি।
বোন রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর আসলো।
-কোথায় গিয়েছিলিস বোন।
-কোথাও না ভাইয়া। এই টাকাটা রাখো তোমার কাজে আসবে। কোথায় এতো টাকা পেলি বোন?
-তোমার থেকে ফাজলামি করে ২০০+ টাকা করে নিতাম না? ওই গুলো জমা করে রাখছিলাম। কোনোদিন টাকা গুলো কাজে লাগবে। বুঝিনি ভাইয়া হিহিহি।
-বোন আমি তোর টাকা নিতে পারবো না।
-এক থাপ্পড় মারবো। আমার কথা না শুনলে। টাকাটা নেও বলছি।
-আচ্ছা।
-আর শুনো আমাকে শেষ বারের মতো একটা চমু দেও না ভাইয়া।
-আচ্ছা বোন।
বোনটার কপালে ছোট্ট করে চুমু একঁয়ে দিলাম। আর বোনটাকে শক্ত করে জরীয়ে ধরলাম। আর কান্না করতে থাকলাম।
(বোনটা আবার বিশ হাজার টাকার মতো জমা করেছে। তবে পাগলীটার রিন একদিন শোধ করবো। কথা দিলাম।)
আমার কিছু টাকা ছিলো। ২৫ হাজার মতো। কোনোরকনে কয়েকদিন চলে যাবে।
আজকে বোন সারাক্ষণ আমার সাথে আছে।
রাত ১২ টার সময়। আমি বের হলাম। রাইসাকে দেখলাম রাস্তার ধারের গাছের এক কোনায় বসে আছে। আমি রাইসার কাছে গিয়ে আস্তে করে ডাক দিলাম। রাইসা।
রাইসাকে দেখলাম আস্তে আস্তে আমার পার্শে এসে দাঁড়ালো। মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে। ফোনে শুধু রাগি। সামনাসামনি একদম সান্ত আর মিষ্টি। রাইসা আমাকে কান্না করতে করতে জরীয়ে ধরলো।
আজকে প্রথম রাইসার এতো কাছে আমি।
রাইসাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললাম।
-ওই পাগলী কান্না করছিস কেন?
রাইসা কিছু না বলেই আমাকে আরো শক্ত করে জরীয়ে ধরলো। আমিও ওকে শক্ত করে জরীয়ে ধরলাম।
-এবার ছেরে দেও বাবু (আসাদ)
রাইসা আমাকে ছেরে দিলো। আর মুখটা গোমরা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একটুও কথা বলছে না। আমি রাইসাকে বললাম এবার চলো। নয়তো ধরা পরতে পারি।
(চলবে?)
(পর্ব-০২)
-হুম
-আপনার নাম কি?
-আপনি বলেন আগে।
-না আপনি বলেন।
-আমার নাম আসাদ আপনার?
-ওহ আপনি মিতুর ভাই না?
(মনে মনে ভাবলাম, কি যে কয় মনে হয় যেন আমাকে চিনে না। এসএমএসের রিপ্লাই দিলাম।)
-হ্যাঁ আমি আসাদ মিতুর ভাই। আপনার নাম কি?
-আমার নাম রাইসা। আর আপনার বোন মিতু আমার বান্ধবী।
-ওহ আচ্ছা
-হ্যাঁ
-একটা কথা বলতাম।।😅
-হুম বলেন।
-আপনি কি প্রেম করেন?😅
-মানে?
-কিছু মনে করিয়েন না যেন। এমনি বললাম।
-হ্যাঁ আমি প্রেম করিনা।
-সত্যি?।
-হ্যাঁ। আর আমি প্রেম করিনা যেনে এতো খুশি হচ্ছেন কেন?।
-কিছু না এমনিতেই।
এভাবেই শুরু হলো আমাদের প্রেম কাহিনি।
কলেজ থেকে আসার পর। দুজনে ফোনে এসএমএস করতাম। আবার রাত্রে তারাতাড়ি ভাত খেয়ে নিতাম। সারারাত গল্প করার জন্য।
কিন্তু আমরা আজ পযন্তু দুজন দুজনকে বলতে পারি নাই। ভালোবাসি।
একদিন হঠাৎ করে রাইসা একটা এসএমএস করে।
-আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন?
-আমি নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে উত্তর দিলাম। হ্যাঁ অনেক ভালোবাসি।
-১০ তারিখে আমার বিয়ে। আর দশ দিন বাকি। আপনি যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আমাকে পালিয়ে নিয়ে যান। আর পালিয়ে যাবেন কিনা হ্যাঁ বা না। উত্তর দিবেন। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।
আমি নিজের যায়গাই থাকতে পাচ্ছি না।
সব ছেরে পালিয়ে যেতে হবে। চটপট করে বোনের ঘরে গিয়ে। সবকিছু খুলে বললাম। বোনের চোখের এক কোনে জল দেখতে পেলাম।
আমি যদি চলে যাই তাহলে কার কাছে চকলেট আইসক্রিম চাইবে? আমার বোনটা। বোনকে ধরে কান্না করতে লাগলাম। বোন ভালো থাকিস।
আমি রাইসাকে এসএমএস এর রিপ্লাই দিলাম হ্যাঁ। রাইসা রিপ্লাই দিয়েছে। তাহলে আজ রাত ১২ টার দিকে বাসা থেকে বের হবেন। আমি যত সম্ভব কিছু টাকা নিয়ে বের হবো। আচ্ছা বাই দেখা হবে।
রাইসার সাথে ফোনে কথা বলার সময়। বোনকে দেখলাম দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম বোন তুই। এখানে আয়।
আমার তো এখনো জগ্যতা হয় নাই বিয়ে করার। কয়দিন আগে তো Hsc পার্শ করলাম।
আমাদের প্রেমের দুই বছর হয়ে এসেছে।
কি করবো বল চলে তো যেতেই হবে। বোন আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
-ভাইয়া তুমি একদম কান্না করবে না। তুমি এখানে থাকো। আমি এখনি আসছি।
বোন রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর আসলো।
-কোথায় গিয়েছিলিস বোন।
-কোথাও না ভাইয়া। এই টাকাটা রাখো তোমার কাজে আসবে। কোথায় এতো টাকা পেলি বোন?
-তোমার থেকে ফাজলামি করে ২০০+ টাকা করে নিতাম না? ওই গুলো জমা করে রাখছিলাম। কোনোদিন টাকা গুলো কাজে লাগবে। বুঝিনি ভাইয়া হিহিহি।
-বোন আমি তোর টাকা নিতে পারবো না।
-এক থাপ্পড় মারবো। আমার কথা না শুনলে। টাকাটা নেও বলছি।
-আচ্ছা।
-আর শুনো আমাকে শেষ বারের মতো একটা চমু দেও না ভাইয়া।
-আচ্ছা বোন।
বোনটার কপালে ছোট্ট করে চুমু একঁয়ে দিলাম। আর বোনটাকে শক্ত করে জরীয়ে ধরলাম। আর কান্না করতে থাকলাম।
(বোনটা আবার বিশ হাজার টাকার মতো জমা করেছে। তবে পাগলীটার রিন একদিন শোধ করবো। কথা দিলাম।)
আমার কিছু টাকা ছিলো। ২৫ হাজার মতো। কোনোরকনে কয়েকদিন চলে যাবে।
আজকে বোন সারাক্ষণ আমার সাথে আছে।
রাত ১২ টার সময়। আমি বের হলাম। রাইসাকে দেখলাম রাস্তার ধারের গাছের এক কোনায় বসে আছে। আমি রাইসার কাছে গিয়ে আস্তে করে ডাক দিলাম। রাইসা।
রাইসাকে দেখলাম আস্তে আস্তে আমার পার্শে এসে দাঁড়ালো। মেয়েটা আমাকে খুব ভালোবাসে। ফোনে শুধু রাগি। সামনাসামনি একদম সান্ত আর মিষ্টি। রাইসা আমাকে কান্না করতে করতে জরীয়ে ধরলো।
আজকে প্রথম রাইসার এতো কাছে আমি।
রাইসাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললাম।
-ওই পাগলী কান্না করছিস কেন?
রাইসা কিছু না বলেই আমাকে আরো শক্ত করে জরীয়ে ধরলো। আমিও ওকে শক্ত করে জরীয়ে ধরলাম।
-এবার ছেরে দেও বাবু (আসাদ)
রাইসা আমাকে ছেরে দিলো। আর মুখটা গোমরা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। একটুও কথা বলছে না। আমি রাইসাকে বললাম এবার চলো। নয়তো ধরা পরতে পারি।
(চলবে?)
বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব-০২
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
9:56 AM
Rating:
No comments