বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব-০৩
গল্পঃ #বোনের_বান্ধবীর_সঙ্গে_প্রেম
(পর্ব-৩)
রাইসা আমার দিকে মায়াবী দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর চোখদিয়ে জল পরছে।
একটু একটু ঠান্ডা করছে। তাই ব্যাগ থেকে একটা চাঁদর বের করে রাইসাকে পরিয়ে দিলাম। মেয়েটাকে খুব মিষ্টি লাগছে। আমার দিকে মায়াবী দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাইসা। মনে হয় আমাকে কখনো দেখেনাই। হ্যাঁ দেখেছে তবে এতো কাছে না। মুচকি হেঁসে রাইসার হাতটা শক্ত করে ধরলাম।
দুজনে রওনা দিলাম কোন এক দিশান্তরে।
সামনেই ট্রেন আর কিছুক্ষণের ভিতর চলে আসবে। দুজনে দাঁড়িয়ে আছি এক কোনে।
হ্যাঁ ট্রেনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
কোনো এক যায়গায় চলে যেতে হবে যেখানে আমাদের কেউ কখনো খুজে পাবে না। ট্রেনে আমরা উঠলাম।
রাইসা আমার কাছে বসে আছে। বুঝতে পাচ্ছি আমার বুকে একটু সুয়ে থাকতে চায় ঘুম ঘুম চখ। রাত প্রায় অনেক হয়ে এসেছে।
আমি মুচকি হেসে। রাইসাকে বললাম। ঘুম পাচ্ছে।
-হুম
-কখনো এত্তো রাত যাগো নি তাই না?
-হুম
পাগলীটা মাথা নিচু করে বসে আছে।
আমি রাইসাকে সামনের সিটে সুয়ে যেতে বললাম। রাইসা তাই করলো। আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
এভাবেই কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি কে যানে।
সকালে রাইসার বুকে আমি সুয়ে আছি। দেখে রাইসা খুব লজ্জা পেয়েছে। আমি এখনো ঘুম থেকে উঠিনাই। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
রাইসার নরম হাতের ছোঁয়া পেয়ে। আমি জেগে গেলাম। ইসসস খুব ভুল হয়ে গেছে।
-সরি (ছেলে)
-সরি কেন শুনি (মিষ্টি কন্ঠে)
-এই যে তোমার বুকে সুয়ে পড়েছিলাম আমি।
-আচ্ছা সমস্যা নেই।
-আচ্ছা তোমার ক্ষুধা পাচ্ছে।
-হুম
-ইসস আমি কত্তো খারাপ তাই না।
-খারাপ কেন?
-এই যে আমার বাবুটাকে এখনো কিছু খাইতে দেইনিই যে।
রাইসা হেঁসেই যাচ্ছে।
-এই তুমি হাঁসছো কেন?
-এমনি স্যরি (ধির কন্ঠে)
-ওকে ওকে আর স্যরি বলতে হবে না।
ব্যাগ থেকে খাবার বের করে রাইসাকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি। ব্যাগে যা খাবার আছে একদিন চলে যাবে। রাইসা বাচ্চামেয়েদের মতো খাচ্ছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
-ইসসসস তুমি আমার আঙুল খেয়ে নেবে নাকি? (ছেলে)
-হিহিহিহি কি হয়েছে? (ধির কন্ঠ)
-কি হয়েছে দেখাচ্ছি দাঁড়িও। আমার আঙুল খেয়ে নিতে চাও নাকি।
-ইসসস স্যরি (ধর কন্ঠ)
-আর সরি বলতে হবে না। খুব তো দুষ্টু তুমি। তোমাকে দেখে তো বুঝায় যায় না।
-হিহিহি একটু দুষ্টু।
-আমাকে ব্যথ্যা দিলে কেন?
-স্যরি
-হইচে আর সরি বলতে হবে না। খাবারটা খেয়ে নেও।
-তুমি খাবে না (ধির কন্ঠে)
-হুম। আমার কথা ভাবতে হবে না। আমি না খেয়ে থাকলেও হবে।
এবার দেখছি রাইসা খুব। রাগ করেছে। অন্যদিকে মুখ ঘুরাই নিলো।
ইসসস খুব ভুল করলাম মনে হয়।
-এই রাইসা শুনো না তুমি খেয়ে নাও তারপর আমি খেয়ে নিবো।
-তা হবে না।
-তাহলে?
-একবার কান ধরে উঠবস করো।(খুব রাগি কন্ঠে)
-স্যরি বলছি তো।
-আগে কান ধরো বলছি।
-আচ্ছা এই দেখো কান ধরেছি।
রাইসা হিহিহি করে হেঁসে আমার গালটা-টেনে দিলো। আমি তো বোকার মতো তাকিয়ে আছি রাইসার দিকে।
রাইসা ওর ব্যাগ থেকে খাবার বের করে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
আমরা চলে এসেছি। এবার ট্রেন থেকে নেমে পরলাম। প্রথমে আমাদের একটা রুম ভারা করতে হবে। একটা পেয়েও গেলাম। কিন্তু স্বামী স্ত্রী ছারা রুম ভারা নেওয়া যাবে না।
আমি বললাম আমরা স্বামী স্ত্রী।
রাইসা আমার দিকে লজ্জায় তাকিয়ে আছে।
বাসার মালিক আমাদের রুম দেখিয়ে দিলো।
রুমটা খুব সুন্দর। বাট তারচেয়ে তো আমার রাইসা বাবুটাকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
-রাইসা আর আমি রুমে ঢুকেই দরজাটা লেগে দিলাম। রাইসা একটু ভয় পেয়েছে।
আমি বললাম ভয় পেয়েছো?
-হুম
-আমাকে ভয় পাওয়ার কি আছে শুনি।
রাইসা কিছু বলছে না। পাগলী একটা।
রাইসা খাটে বসে আছে।
আর আমি সামনে একটা টেবিল আছে।
ওখানে গিয়ে বসে পরলাম। ফোনটা বের করেই দেখলাম। মিতু অনেক গুলো মেসেজ দিয়েছে। আমি মিতুকে ফোন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিয়েছে।
-ভাইয়া
-হুম বোন
-ভালো ভাবে পৌচ্ছাইছো তো?
-হুম বোন
-খাওয়া দাওয়া করছো। তোমার ব্যাগে খাবার দিয়েদিছিলাম।
-হ্যাঁ বোন তুই খেয়েছিস।
-না ভাইয়া এখন খাবো।
-পাগলী একটা।
-আচ্ছা ভাইয়া। আমার বান্ধবী মানে আমার ভাবী কেমন আছে। একটু ফোনটা দেও তো ওকে।)(বোন হিহিহি করে হেঁসে উঠলো।)
আমি রাইসাকে বললাম মিতু তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়।
রাইসা আর আমার বোন মিতু কি যে কথা বলছে কে যানে? শুধু হেঁসেই যাচ্ছে।
আমি বাইরে থেকে এক বোতল পানি নিয়ে আসলাম। খুব তিশ্না পেয়েছে।
একটু পানি খেয়ে রেখে দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম। রাইসা পানি খাচ্ছে।
আমি তাকিয়ে আছি দেখে মেয়েটা খুব লজ্জা পেয়েছে।
-কি দেখো এভাবে? (ধির কন্ঠে)
-তোমাকে দেখি।
-আমাকে দেখার কি আছে?
-দেখার তো অনেক কিছু আছে।
-তাই
-হুম
রাইসাকে বললাম আমরা বিয়ে করে ফেলি চলো। রাইসা একটু লজ্জা পেয়েছে কিছু বলছে না।
-আর লজ্জা পেতে হবে না।
রাইসার কপালে চুমু একিঁয়ে দিলাম
সেদিন আমরা বিয়ে করে ফেলেছি।
তবে আমাদের বিয়েটা পরিবারের কেউ মেনে নিবেনা যানি। ওদিকে যে কি হচ্ছে কে যানে।
বোনের কাছে যানতে পারলাম। বাসার সবাই আমাদের খুজছে। আর খুব রেগে আছে।
.
(চলবে?)
(পর্ব-৩)
রাইসা আমার দিকে মায়াবী দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর চোখদিয়ে জল পরছে।
একটু একটু ঠান্ডা করছে। তাই ব্যাগ থেকে একটা চাঁদর বের করে রাইসাকে পরিয়ে দিলাম। মেয়েটাকে খুব মিষ্টি লাগছে। আমার দিকে মায়াবী দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাইসা। মনে হয় আমাকে কখনো দেখেনাই। হ্যাঁ দেখেছে তবে এতো কাছে না। মুচকি হেঁসে রাইসার হাতটা শক্ত করে ধরলাম।
দুজনে রওনা দিলাম কোন এক দিশান্তরে।
সামনেই ট্রেন আর কিছুক্ষণের ভিতর চলে আসবে। দুজনে দাঁড়িয়ে আছি এক কোনে।
হ্যাঁ ট্রেনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
কোনো এক যায়গায় চলে যেতে হবে যেখানে আমাদের কেউ কখনো খুজে পাবে না। ট্রেনে আমরা উঠলাম।
রাইসা আমার কাছে বসে আছে। বুঝতে পাচ্ছি আমার বুকে একটু সুয়ে থাকতে চায় ঘুম ঘুম চখ। রাত প্রায় অনেক হয়ে এসেছে।
আমি মুচকি হেসে। রাইসাকে বললাম। ঘুম পাচ্ছে।
-হুম
-কখনো এত্তো রাত যাগো নি তাই না?
-হুম
পাগলীটা মাথা নিচু করে বসে আছে।
আমি রাইসাকে সামনের সিটে সুয়ে যেতে বললাম। রাইসা তাই করলো। আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
এভাবেই কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি কে যানে।
সকালে রাইসার বুকে আমি সুয়ে আছি। দেখে রাইসা খুব লজ্জা পেয়েছে। আমি এখনো ঘুম থেকে উঠিনাই। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
রাইসার নরম হাতের ছোঁয়া পেয়ে। আমি জেগে গেলাম। ইসসস খুব ভুল হয়ে গেছে।
-সরি (ছেলে)
-সরি কেন শুনি (মিষ্টি কন্ঠে)
-এই যে তোমার বুকে সুয়ে পড়েছিলাম আমি।
-আচ্ছা সমস্যা নেই।
-আচ্ছা তোমার ক্ষুধা পাচ্ছে।
-হুম
-ইসস আমি কত্তো খারাপ তাই না।
-খারাপ কেন?
-এই যে আমার বাবুটাকে এখনো কিছু খাইতে দেইনিই যে।
রাইসা হেঁসেই যাচ্ছে।
-এই তুমি হাঁসছো কেন?
-এমনি স্যরি (ধির কন্ঠে)
-ওকে ওকে আর স্যরি বলতে হবে না।
ব্যাগ থেকে খাবার বের করে রাইসাকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি। ব্যাগে যা খাবার আছে একদিন চলে যাবে। রাইসা বাচ্চামেয়েদের মতো খাচ্ছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
-ইসসসস তুমি আমার আঙুল খেয়ে নেবে নাকি? (ছেলে)
-হিহিহিহি কি হয়েছে? (ধির কন্ঠ)
-কি হয়েছে দেখাচ্ছি দাঁড়িও। আমার আঙুল খেয়ে নিতে চাও নাকি।
-ইসসস স্যরি (ধর কন্ঠ)
-আর সরি বলতে হবে না। খুব তো দুষ্টু তুমি। তোমাকে দেখে তো বুঝায় যায় না।
-হিহিহি একটু দুষ্টু।
-আমাকে ব্যথ্যা দিলে কেন?
-স্যরি
-হইচে আর সরি বলতে হবে না। খাবারটা খেয়ে নেও।
-তুমি খাবে না (ধির কন্ঠে)
-হুম। আমার কথা ভাবতে হবে না। আমি না খেয়ে থাকলেও হবে।
এবার দেখছি রাইসা খুব। রাগ করেছে। অন্যদিকে মুখ ঘুরাই নিলো।
ইসসস খুব ভুল করলাম মনে হয়।
-এই রাইসা শুনো না তুমি খেয়ে নাও তারপর আমি খেয়ে নিবো।
-তা হবে না।
-তাহলে?
-একবার কান ধরে উঠবস করো।(খুব রাগি কন্ঠে)
-স্যরি বলছি তো।
-আগে কান ধরো বলছি।
-আচ্ছা এই দেখো কান ধরেছি।
রাইসা হিহিহি করে হেঁসে আমার গালটা-টেনে দিলো। আমি তো বোকার মতো তাকিয়ে আছি রাইসার দিকে।
রাইসা ওর ব্যাগ থেকে খাবার বের করে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
আমরা চলে এসেছি। এবার ট্রেন থেকে নেমে পরলাম। প্রথমে আমাদের একটা রুম ভারা করতে হবে। একটা পেয়েও গেলাম। কিন্তু স্বামী স্ত্রী ছারা রুম ভারা নেওয়া যাবে না।
আমি বললাম আমরা স্বামী স্ত্রী।
রাইসা আমার দিকে লজ্জায় তাকিয়ে আছে।
বাসার মালিক আমাদের রুম দেখিয়ে দিলো।
রুমটা খুব সুন্দর। বাট তারচেয়ে তো আমার রাইসা বাবুটাকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।
-রাইসা আর আমি রুমে ঢুকেই দরজাটা লেগে দিলাম। রাইসা একটু ভয় পেয়েছে।
আমি বললাম ভয় পেয়েছো?
-হুম
-আমাকে ভয় পাওয়ার কি আছে শুনি।
রাইসা কিছু বলছে না। পাগলী একটা।
রাইসা খাটে বসে আছে।
আর আমি সামনে একটা টেবিল আছে।
ওখানে গিয়ে বসে পরলাম। ফোনটা বের করেই দেখলাম। মিতু অনেক গুলো মেসেজ দিয়েছে। আমি মিতুকে ফোন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরে নিয়েছে।
-ভাইয়া
-হুম বোন
-ভালো ভাবে পৌচ্ছাইছো তো?
-হুম বোন
-খাওয়া দাওয়া করছো। তোমার ব্যাগে খাবার দিয়েদিছিলাম।
-হ্যাঁ বোন তুই খেয়েছিস।
-না ভাইয়া এখন খাবো।
-পাগলী একটা।
-আচ্ছা ভাইয়া। আমার বান্ধবী মানে আমার ভাবী কেমন আছে। একটু ফোনটা দেও তো ওকে।)(বোন হিহিহি করে হেঁসে উঠলো।)
আমি রাইসাকে বললাম মিতু তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়।
রাইসা আর আমার বোন মিতু কি যে কথা বলছে কে যানে? শুধু হেঁসেই যাচ্ছে।
আমি বাইরে থেকে এক বোতল পানি নিয়ে আসলাম। খুব তিশ্না পেয়েছে।
একটু পানি খেয়ে রেখে দিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম। রাইসা পানি খাচ্ছে।
আমি তাকিয়ে আছি দেখে মেয়েটা খুব লজ্জা পেয়েছে।
-কি দেখো এভাবে? (ধির কন্ঠে)
-তোমাকে দেখি।
-আমাকে দেখার কি আছে?
-দেখার তো অনেক কিছু আছে।
-তাই
-হুম
রাইসাকে বললাম আমরা বিয়ে করে ফেলি চলো। রাইসা একটু লজ্জা পেয়েছে কিছু বলছে না।
-আর লজ্জা পেতে হবে না।
রাইসার কপালে চুমু একিঁয়ে দিলাম
সেদিন আমরা বিয়ে করে ফেলেছি।
তবে আমাদের বিয়েটা পরিবারের কেউ মেনে নিবেনা যানি। ওদিকে যে কি হচ্ছে কে যানে।
বোনের কাছে যানতে পারলাম। বাসার সবাই আমাদের খুজছে। আর খুব রেগে আছে।
.
(চলবে?)
বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব-০৩
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
9:58 AM
Rating:
No comments