বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব০৪

গল্পঃ (বোনের বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম)
লেখকঃ (পর্ব-৪)
স্বপ্ন হয়তো। আমাদের দুজনের আছে। বাট এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে টাকা ছারা কিছু না। তাই একটা কাজ জোগাড় করতে হবে।
রাস্তায় বের হলাম কোথায় কাজ পাবো কে যানে। অনেক ঘুরলাম যখন তুমি একা তখন দেখবে তুমি আরো বেশি একা হয়ে পরবে।
কাজ না পেয়ে মনমরা হয়ে রুমে এসে দেখলাম। রাইসা চুল আচরাচ্ছে। কি সেই দৃশ্য, অনেক রোমান্টিক হয়ে রাইসাকে জরীয়ে ধরলাম রাইসা একটু ভয় পেয়েছে দেখছি। মুখটা লাল করে দিয়েছে। কোনো কথায় মুখে নেই। আমার থেকে নিজেকে ছুটে নিয়ে। খাটে গিয়ে বসলো। আর ধির কন্ঠে বললো।
-ওই ফাজিল,
-হুম (,একটু হ্যাঁসি দিলাম)
-কখন আসলে।
-এই তো এক্ষনি আসলাম।
-তাহলে জরীয়ে ধরলে কেন?
-আমার ওই লাল টুকটুকে বাউটাকে জরীয়ে ধরতে পারি না?
-হুম পারো কিন্তু আমার অনুমতি নিয়ে।
-আচ্ছা
আমি অভিমান করে টেবিলে মুখ গোমড়া করে বসে পরলাম। রাইসা কিছুক্ষণ পর আমার গাল টেনে দিয়ে বললো।
-বাবুটা রাগ করেছে দেখছি।
-না। আর আমি কারো বাবু না।
-তুমি কারো বাবু না তো শুধু আমার।
আমি মুচকি হ্যাঁসি দেয়ে রাইসার দিকে তাকালাম। রাইসা দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে নিলো।
আমি রাইসাকে বললাম এতো লজ্জা কিসের হুম।
রাইসাকে খুব মন খারাব করে বললাম।
কোনো কাজ পাইনাই।
রাইসা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো। বাবু মন খারাপ করো না পাবে।
আমি রাইসার হাতে চুমু দিয়ে বললাম দেখা যাক।
-এবার এসো খেয়ে নেও। (রান্না করেছি)
-আচ্ছা
আমি টেবিলে বাচ্চাদের মতো বসে আছি। আর রাইসা আমাকে আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে। আর আমি রাইসাকে দুষ্টুমি করে খাইয়ে দিচ্ছি।
দিন গুলো ভালোই চলছিলো। একমাস পার হয়ে গেছে কোন কাজ পাইনাই। রাইসা আগের মতো আমাকে আর ভালোবাসে না। মনে হয় অবহেলা শুরু হয়ে গেছে। আমি নিজেও আর রাইসার মায়ায় নেই। খুব বিষন্নতায় আছি।
রুমে এসে একটু রাগি কন্ঠে কথা বলি এখন,
যানি না কেন? তবুও হয়ে যায়।
প্রায় রাতে দেখি রাইসা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে।
তবুও আমার একটুও মায়া হয়না।
আমার আর এইসব ভালো লাগে না,
যা হবার হইছে। কান্না করলে আমার কি?
কয়দিন পর একটা কাজ পেয়ে যাই হাসি খুশি হয়ে। বাসায় ফিরছিলাম। রুমে এসে দেখি রাইসা নেই। রাইসার ফোনে কল করলাম কোথাও পেলাম না।
বুঝতে পারলাম রাইসা আর আগের মতো নেই।
আমাকে আর আগের মতো ভালোবাসে না।
আমি ওকে ছারতেও পাচ্ছি না। আর ওকে নিয়ে চলতেও পাচ্ছি না। কিছুক্ষণ পর দেখলাম রাইসা মাথা নিচু করে রুমে ঢুকলো। আমি খুব রেগে রাইসাকে বললাম।
-কোথায় গিয়েছিলো বলো। (রাগি কন্ঠে)
-এই তো এখানে (ধির কন্ঠে)
-এখানে কোথায়? (চিৎকার করে)
রাইসা ভয় পেয়ে বললো। কাজ করতে গেছিলাম।
আমি রেগে গিয়ে রাইসাকে একটা থাপ্পড় দিলাম। কি কাজ বলো। আর তোমাকে কে কাজ করতে বলেছে। রাইসা কাঁদো কাঁদো গলাই আমাকে বললো। কেউ না।
-তাহলে কাজ করতে হবে কেন? আর কি কাজ করতে গিয়েছিলো তুমি।
রাইসা মুখ লাল করে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে। চখ বেয়ে পানি পরছে। পানি পরলে আমার কি। কে হয় আমার ও। এখন তো প্রতারক হয়ে গেছে। আমাকে আগের মতো ভালোবাসে না।
রাইসা কাঁদো কাঁদো কন্ঠে আমাকে বললো। আমাকে থাপ্পড় মারতে পারলে তুমি?
-হ্যাঁ পারলাম, তোমার মতো মেয়ের প্রেমে পরে ভুল করেছি আমি।
-তুমি এইসব বলতে পারলে।
রাইসাকে আর এক থাপ্পড় দিতে যাবো। তখন বাসার মালিক এসে আমাকে বললো। কি হয়েছে দাদু ভাই। তোমরা রাগারাগি করছো কেন। বাসার মালিক ছিলো বিদ্ধ। তাই আমাকে দুদু ভাই বলে ডাকতো। আর রাইসাকে নিজের মেয়ের চখে দেখতো।
-কিছু না। আঙ্কেল একটু ঝগড়া, কিছু না।
রাইসা গালে হাত দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে। দৌড়ে বিদ্ধ লোকটির কাছে চলে গেলো। আর বললো যানেন আঙ্কেল এই ছেলেটা আমাকে আর ভালোবাসে না।
আমার আগের মতো আর খেয়াল রাখে না যানেন। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগলো।
আমি বলে উঠলাম আর কান্না করতে হবে না। আমার কাছে এসো।
-না আমি তোমার কাছে যাবো না।
-না আসলে কিন্তু...(আমি
-না। তুমি আমাকে মারবে।
-না মারবো না এসো বলছি। আঙ্কেল এখান থেকে যান তো। (আসাদ)
-দাদু ভাই তোমরা ঝগড়া করো না। আমি যাচ্ছি।
আঙ্কেল চলে গেলো। এখন রাইসা রুমের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে। আর ভয়ে ভয়ে আছে। আমি বলে উঠলাম কি রান্না করেছো খেতে দেও। আর ঢং করতে হবে না।
রাইসা মাথা নিচু করে আমার কাছে আসলো। আর আমাকে খাবার বেড়ে দিলো।
খাবার খাওয়ার মাঝে রাইসা বলে উঠলো।
-কেমন হয়েছে খবারটা (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)
-তুমি যানো না। তুমি খেয়ে দেখেছো তো তুমি যানো। আমাকে বলছো কেন।
রাইসা এবার চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবছে হয়তো আমি অন্যরকম হয়ে গেছি। আগের মতো আর নেই।
আমি হাত ধুয়ে এসে রুমে সুয়ে পরলাম।
রাইসা খেয়েছে কিনা একবারও জিগ্যেস করলাম না। নিজের খিয়াল নিজে রাখুক আমার কি।
সে তো এখন একটা প্রতারক।
আসলে রাইসা কোনো খারাপ কাজ করতে যাইনাই। রাইসা তার কথা গুলো বাসার মালিককে বলেছিলো। বাসার মালিক রাইসাকে বুদ্ধি দিয়েছে। তার একটা ছোট্ট নাতিন আছে তাকে পড়াতে। তাহলে কিছু টাকা রাইসা পাবে। এই আাসায় রাইসা প্রতেদিন। পড়াতে যায়। আর আসাদ মনে করে রাইসা খারাপ হয়ে গেছে। আর আগের মতো নেই। আর এদিকে রাইসা তাই ভাবে আসাদ আর আমাকে ভালোবাসে না।
দুজনের মধ্যে এখন অবহেলা শুরু হয়ে গেছে।
রাইসা বালিশে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করছে। আমি রেগে গিয়ে বললাম এই একদম কান্না করবে না। আমার কান্নাকাটি একদম ভালো লাগে না বুঝছো।
রাইসা এবার চুপটি করে অন্যদিকে সুয়ে আছে । আর আসাদ আরেক দিকে।
দুজনের মাঝখানে একটা কোল বালিশ।
মাঝ রাতে কোলবালিস সরিয়ে দিয়ে রাইসা আমাকে জরীয়ে ধরে কান্না করছে আর বলছে তুমি এমন কেন হয়ে গেলে।
আমি ঘুম ঘুম চোখে বললাম। কই কেমন হয়ে গেছি। আগের আসাদ রয়ে আছি তো।
তুমি প্রতারণা করলে কেন।
আমি একদম ঘুম ঘুম চখে রাইসার উত্তর দিলাম।
রাইসা আমার বুকে চুপটি করে লুকিয়ে পরলো। আর দুই হাত দিয়ে শক্ত করে জরীয়ে ধরলো।
(চলবে?)
বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব০৪ বোনের বান্ধবীর সাথে প্রেম! পর্ব০৪ Reviewed by গল্প প্রেমিক on 9:59 AM Rating: 5

No comments

হৃদয়স্পর্শী গল্প

হৃদয়স্পর্শী গল্প