এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৪
গল্পঃ #এ_আবার_কেমন_বউ
(পর্ব-৪)
-পাগলী
-হু
-ফোনটা দেও দেখি।
-নাহ
-কেন?
-গেম খেলছি, দেখছো না?
-আর গেম খেলতে হবে না।
বলছি না আমার কথা মতো চলতে।
-সরি সরি জামাই। আর গেম খেলবো না।
-রাগ করলে?
-নাতো জামাই।
-আচ্ছা তুমি গোসল করেছো?
-না
-কেন কেন?
-এমনি
-এখন যাও বলছি।
-আচ্ছা জামাই।
এদিকে পাগলীটা গোসল করতে চলে যায়। আর আসাদ রান্নাঘরে যায়। মিতু আর আম্মু রান্না করছে। আসাদ জিগ্যেস করে। আম্মু ভাত কখন হবে? আম্মু বলে উঠে। আরেকটু পর। আম্মুর সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করে আসাদ রান্না ঘরে। তারপর রান্না হয়ে গেলে। দুই প্লেট ভাত আর তরকারি রুমে নিয়ে আসে আসাদ। রুমে এসে দেখে রাইসা মাথা মুচছে। আসাদ খাবার গুলো টেবিলে রেখে। রাইসাকে পিছন থেকে জরীয়ে ধরে। রাইসা ভয় পেয়ে যায়।
-কে কে
-আমি, তোমার জামাই
-উহু ব্যথ্যা করছে তো, ছারেন বলছি।
-নাহ
-কেন?
-আমার ইচ্ছে করছে!!
-কি ইচ্ছে করছে?
-তোমাকে আদর করতে।
-ওই দুষ্টু এই সব একদম না।
-আমি তোমার জামাই তো।
-হু, তবে এখন না।
-পাগলীটা সব বুঝে দেখছি।
-হু
-এবার ছেরে দাও।
-আচ্ছা
আসাদ রাইসাকে ছেরে দেয়। তখন প্রায় দুপুর দুইটার কাছাকাছি। আসাদ রাইসাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর রাইসা পাগলামি করছে আর ভাত খাচ্ছে।
খাওয়া শেষে আসাদ রাইসাকে ঘুম পারিয়ে দেয়। বিকেলের দিকে, আসাদ আর রাইসা বাড়ির পিছন দিকে যায়। ফুলের গাছ লাগানো। প্রকৃতির সুন্দরর্য উপভোগ করতে থাকে রাইসা। আসাদ একটা চেয়ারে বসে আছে।
আর রাইসা আসাদের সামনে পাগলামি করে যাচ্ছে। আসাদ মুচকি হেঁসে রাইসাকে ডেকে উঠে।
-পাগলী,
-হু
-এখানে এসো তো।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
রাইসা কাছে আসলে, আসাদ রাইসার মাথায় একগুচ্ছ ফুল গেঁথে দেয়। রাইসা অনেক খুশি হয়ে যায়।
-আমার কিউট জামাইটা।
-তাই
-হু
এবার আসাদ চেয়ার থেকে উঠে। রাইসার ঠোঁটে ভালোবাসা পরর্শ একিঁয়ে দেয়। রাইসা অনেক লজ্জা পেয়ে বলে।
-জামাই কি করলে এইটা?
-কেন কি করলাম?
-আমার ঠোঁটে (এ) দিলে কেন?
-আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই।
-ইচ্ছে হয়েছে তাই (এ) দিবে?
-হু
-খুব খারাপ তুমি?
-ওই তুমি খারাপের কি দেখছো?
-সরি সরি, রাগ করোনা প্লিজ। কেউ যদি দেখে ফেলতো!! আমার লজ্জা করে না তাই না হুম?
-ওলে বাবা লে, আমার মিষ্টি বউটার দেখছি খুব লজ্জা। এখানে কেউ আসেনা আর আসবেও না। এটা বাড়ির পিছন দিকে। আসলে বোন আসতে পারে নয়তো আম্মু।
-হু তবে অনেক সুন্দর জায়গাটা।
-তাই
-হু
-জামাই তুমি সারাদিন বাড়িতে থাকো কেন। কোনো কাজ করো না?
-নাহ
-পচা জামাই একটা।
-আমি পচা
-হু আপনি একটা পচা।
আসাদ এবার রাইসাকে কোলে তুলে নেয়। দেওয়ালের পাঁচির দেওয়া। তাই বাড়ির বিপরিত দিক থেকে কেউ দেখতে পাবে না। বাড়ির ভিতর না ঢুকলে। আসাদ তা ভালোভাবে যানে।
তাই তো রাইসাকে কোলে তুলে নিয়েছে আসাদ। রাইসা লজ্জা পেয়ে আসাদ বুকে লুকিয়ে পরেছে। এদিকে মিতু চলে এসেছে। আসাদ মিতুকে দেখে রাইসাকে কোল থেকে নেমে দেয়। আসাদ কিছু বলতে পারে না।
-এই যে মহারাজ, আর মহারানী। তোমাদের কখন থেকে খুজে বেড়াচ্ছি। তোমরা এখানে এসেআছো। এখানে এসে প্রেম করা হচ্ছে তাই না। (মিতু)
-আরে বোন তুই এখানে। আমরা ফুল দেখতে এসেছিলাম।
-বাহ বা। যে ছেলেটা জীবনে, এখানে আসেনা, ফুল গুলোতে পানি দিতে। আজকে হঠাৎ করে। ভাইয়া, বাড়ির সামনে ফুলের গাছ নেই নাকি?
আসাদ এবার চুপ করে আছে। মিতু মুচকি হেঁসে বলে ভাইয়া আর চুপ করে থাকতে হবে না। আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি তোমরা প্রেম করো। বলে মিতু হিহি করে হেঁসে উঠে। মিতু এখান থেকে চলে যায়।
এদিকে রাইসা, লজ্জায় মুখটা লাল করে দিয়েছে।
আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-কি বলে গেলো শুনলে তো।
-হু
-প্রেম করতে বলে গেলো। এসো দুজনে প্রেম করে।
-প্রেম কিভাবে করে।
-আমি শিখিয়ে দিচ্ছি।
আসাদ রাইসাকে আবার কোলে
তুলে নেয়।
রাইসা ছটপট করতে থাকে। আমাকে নামাও বলছি। আসাদ রাইসাকে নেমে দেয়।
-পাগলী কি হয়েছে তোমার?
-কিছু না ভয় করছিলো।।
-কেন?
-এমনিতেই।
রাইসার সৃতি গুলো মনে পরে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে মাঝে মাঝেই। রাইসা একটা ছেলেকে ভালোবাসতো। ছেলেটা রাইসার সাথে ছলনা করে চলে যায়।
তাই তো আজকে রাইসা পাগল। রাইসা অনেক ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে আসাদের কাছে। আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী তুমি ভয় পাচ্ছো কেন? আমাকে দেখে কি রাক্ষস মনে হয় নাকি?
-না
-আজকে আমার বন্ধু,বান্ধবীরা তোমাকে দেখতে আসবে। একটু দেখেই চলে যাবে।
-হু
-তাদের সামনে আবার পাগলামি
করতে শুরু করো না।
-হু
-পাগলী
পাগলী বলে রাইসাকে বুকে জরীয়ে নেয় আসাদ।
আসাদ বুঝতে পেরেছে, রাইসা কিছু একটা নিয়ে ভাবছে।
তাই তো ভয় পাচ্ছে খুব। রাইসা আসাদের বুকে কান্না করে দেয়। রাইসার সৃতি গুলো পরিষ্কার হ'য়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
(চলবে?)
(পর্ব-৪)
-পাগলী
-হু
-ফোনটা দেও দেখি।
-নাহ
-কেন?
-গেম খেলছি, দেখছো না?
-আর গেম খেলতে হবে না।
বলছি না আমার কথা মতো চলতে।
-সরি সরি জামাই। আর গেম খেলবো না।
-রাগ করলে?
-নাতো জামাই।
-আচ্ছা তুমি গোসল করেছো?
-না
-কেন কেন?
-এমনি
-এখন যাও বলছি।
-আচ্ছা জামাই।
এদিকে পাগলীটা গোসল করতে চলে যায়। আর আসাদ রান্নাঘরে যায়। মিতু আর আম্মু রান্না করছে। আসাদ জিগ্যেস করে। আম্মু ভাত কখন হবে? আম্মু বলে উঠে। আরেকটু পর। আম্মুর সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করে আসাদ রান্না ঘরে। তারপর রান্না হয়ে গেলে। দুই প্লেট ভাত আর তরকারি রুমে নিয়ে আসে আসাদ। রুমে এসে দেখে রাইসা মাথা মুচছে। আসাদ খাবার গুলো টেবিলে রেখে। রাইসাকে পিছন থেকে জরীয়ে ধরে। রাইসা ভয় পেয়ে যায়।
-কে কে
-আমি, তোমার জামাই
-উহু ব্যথ্যা করছে তো, ছারেন বলছি।
-নাহ
-কেন?
-আমার ইচ্ছে করছে!!
-কি ইচ্ছে করছে?
-তোমাকে আদর করতে।
-ওই দুষ্টু এই সব একদম না।
-আমি তোমার জামাই তো।
-হু, তবে এখন না।
-পাগলীটা সব বুঝে দেখছি।
-হু
-এবার ছেরে দাও।
-আচ্ছা
আসাদ রাইসাকে ছেরে দেয়। তখন প্রায় দুপুর দুইটার কাছাকাছি। আসাদ রাইসাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর রাইসা পাগলামি করছে আর ভাত খাচ্ছে।
খাওয়া শেষে আসাদ রাইসাকে ঘুম পারিয়ে দেয়। বিকেলের দিকে, আসাদ আর রাইসা বাড়ির পিছন দিকে যায়। ফুলের গাছ লাগানো। প্রকৃতির সুন্দরর্য উপভোগ করতে থাকে রাইসা। আসাদ একটা চেয়ারে বসে আছে।
আর রাইসা আসাদের সামনে পাগলামি করে যাচ্ছে। আসাদ মুচকি হেঁসে রাইসাকে ডেকে উঠে।
-পাগলী,
-হু
-এখানে এসো তো।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
রাইসা কাছে আসলে, আসাদ রাইসার মাথায় একগুচ্ছ ফুল গেঁথে দেয়। রাইসা অনেক খুশি হয়ে যায়।
-আমার কিউট জামাইটা।
-তাই
-হু
এবার আসাদ চেয়ার থেকে উঠে। রাইসার ঠোঁটে ভালোবাসা পরর্শ একিঁয়ে দেয়। রাইসা অনেক লজ্জা পেয়ে বলে।
-জামাই কি করলে এইটা?
-কেন কি করলাম?
-আমার ঠোঁটে (এ) দিলে কেন?
-আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই।
-ইচ্ছে হয়েছে তাই (এ) দিবে?
-হু
-খুব খারাপ তুমি?
-ওই তুমি খারাপের কি দেখছো?
-সরি সরি, রাগ করোনা প্লিজ। কেউ যদি দেখে ফেলতো!! আমার লজ্জা করে না তাই না হুম?
-ওলে বাবা লে, আমার মিষ্টি বউটার দেখছি খুব লজ্জা। এখানে কেউ আসেনা আর আসবেও না। এটা বাড়ির পিছন দিকে। আসলে বোন আসতে পারে নয়তো আম্মু।
-হু তবে অনেক সুন্দর জায়গাটা।
-তাই
-হু
-জামাই তুমি সারাদিন বাড়িতে থাকো কেন। কোনো কাজ করো না?
-নাহ
-পচা জামাই একটা।
-আমি পচা
-হু আপনি একটা পচা।
আসাদ এবার রাইসাকে কোলে তুলে নেয়। দেওয়ালের পাঁচির দেওয়া। তাই বাড়ির বিপরিত দিক থেকে কেউ দেখতে পাবে না। বাড়ির ভিতর না ঢুকলে। আসাদ তা ভালোভাবে যানে।
তাই তো রাইসাকে কোলে তুলে নিয়েছে আসাদ। রাইসা লজ্জা পেয়ে আসাদ বুকে লুকিয়ে পরেছে। এদিকে মিতু চলে এসেছে। আসাদ মিতুকে দেখে রাইসাকে কোল থেকে নেমে দেয়। আসাদ কিছু বলতে পারে না।
-এই যে মহারাজ, আর মহারানী। তোমাদের কখন থেকে খুজে বেড়াচ্ছি। তোমরা এখানে এসেআছো। এখানে এসে প্রেম করা হচ্ছে তাই না। (মিতু)
-আরে বোন তুই এখানে। আমরা ফুল দেখতে এসেছিলাম।
-বাহ বা। যে ছেলেটা জীবনে, এখানে আসেনা, ফুল গুলোতে পানি দিতে। আজকে হঠাৎ করে। ভাইয়া, বাড়ির সামনে ফুলের গাছ নেই নাকি?
আসাদ এবার চুপ করে আছে। মিতু মুচকি হেঁসে বলে ভাইয়া আর চুপ করে থাকতে হবে না। আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি তোমরা প্রেম করো। বলে মিতু হিহি করে হেঁসে উঠে। মিতু এখান থেকে চলে যায়।
এদিকে রাইসা, লজ্জায় মুখটা লাল করে দিয়েছে।
আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-কি বলে গেলো শুনলে তো।
-হু
-প্রেম করতে বলে গেলো। এসো দুজনে প্রেম করে।
-প্রেম কিভাবে করে।
-আমি শিখিয়ে দিচ্ছি।
আসাদ রাইসাকে আবার কোলে
তুলে নেয়।
রাইসা ছটপট করতে থাকে। আমাকে নামাও বলছি। আসাদ রাইসাকে নেমে দেয়।
-পাগলী কি হয়েছে তোমার?
-কিছু না ভয় করছিলো।।
-কেন?
-এমনিতেই।
রাইসার সৃতি গুলো মনে পরে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে মাঝে মাঝেই। রাইসা একটা ছেলেকে ভালোবাসতো। ছেলেটা রাইসার সাথে ছলনা করে চলে যায়।
তাই তো আজকে রাইসা পাগল। রাইসা অনেক ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে আসাদের কাছে। আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী তুমি ভয় পাচ্ছো কেন? আমাকে দেখে কি রাক্ষস মনে হয় নাকি?
-না
-আজকে আমার বন্ধু,বান্ধবীরা তোমাকে দেখতে আসবে। একটু দেখেই চলে যাবে।
-হু
-তাদের সামনে আবার পাগলামি
করতে শুরু করো না।
-হু
-পাগলী
পাগলী বলে রাইসাকে বুকে জরীয়ে নেয় আসাদ।
আসাদ বুঝতে পেরেছে, রাইসা কিছু একটা নিয়ে ভাবছে।
তাই তো ভয় পাচ্ছে খুব। রাইসা আসাদের বুকে কান্না করে দেয়। রাইসার সৃতি গুলো পরিষ্কার হ'য়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।
(চলবে?)
এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৪
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
10:14 AM
Rating:
No comments