এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৩
গল্পঃ #এ_আবার_কেমন_বউ
(পর্ব ৩)
-জামাই, ওই জামাই
-হু বলো
-আমার কাছে এসো।
-কেন?
-একটা কথা আছে এসো প্লিজ।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
আসাদ খাটে বসে বসে ফোন টিপছিলো। বেকার ছেলে আসাদ বাবার হোটেলে খায় আর ঘুমায়। আসাদ বিয়ে করতে চেয়েছিলো না। তবে আব্বু জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়।
অবশ্য আসাদের মন থেকে মত ছিলো। উপরে উপরে বলেছে আমি বেকার এখন না বিয়ে করলেই ভালো হতো। আব্বু বলে দিয়েছে বিয়ে করার পর চাকরি করিস। কি আর করার। আব্বুর কথা মতো বিয়ে করে ফেলে আসাদ। বাইরে থেকে ফ্রেস হয়ে এসে।
খাটে বসে আছে ছেলেটা। মুখটা লাল হয়ে গেছে। এদিকে রাইসা আসাদকে ডাক দিলে আসাদ রাইসার কাছে যায়।
রাইসা জানালার পার্শে দাঁড়িয়ে আছে। আসাদ ছেলেটা নরম ভদ্র বটে।
তবে রেগে গেলে অনেক ভয়ংকর।
-এই যে বলুন।
-বলবো
-হু বলো
-আচ্ছা জামাই আমি কি সত্যি পাগল? (আসাদ রাইসার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বলে)
-মেয়েরা আবার পাগল হয়নাকি? পাগলী হয়।
-ওহ আচ্ছা
-হু
-তাহলে আমি কি পাগলী?
-নাতো
-যানো জামাই। সকলে আমাকে পাগল বলে আর আজকে তুমি আমাকে পাগল বলছো। আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে যানো জামাই।
-আচ্ছা
-জামাই তোমার যদি কষ্ট হয় তাহলে আমাকে বলবা ওকে।
-আচ্ছা বলবো। আর শুনো?
-হু বলো
-তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
-ডিভোর্স আবার কি জামাই?
-ডিভোর্স মানে বুঝো না?
-হু বুঝি না তো। ডিভোর্স কি খাবারের নাম?
-নাহ
-তাহলে
-ডিভোর্স হচ্ছে তালাক। আর তালাক মানে তো বুঝো। তোমাকে ত্যাগ করে দিবো। মানে তুমি আমার কাছে আর থাকতে পারবে না।
-কি বলছো এইসব জামাই। (বলে রাইসা হুহুহু করে কেঁদে ফেলে)
-আরে কান্না করছো কেন?
-আমাকে ডিভোর্স দিবেন কেন জামাই আমাকে ভালোবাসেন না তাই না?
-হু
-কেন?
-কারন আপনি একটা পাগল। আর একটা পাগলের সঙ্গে আমি সংসার করতে পারবো না।
এবার রাইসা চুপ হয়ে যায় কিছু বলে না। হ্যাঁ সে তো পাগল সকলে বলে এ আর নতুন কি? রাইসা হুহু করে কেঁদে বলে।
-আচ্ছা জামাই আমাকে ডিভোর্স দিয়ে ভালো থাকবেন?
-হুম
রাইসা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। আর অনেক কান্না করে। রাইসার কান্না দেখে আসাদের বোন মিতু বলে উঠে।
-ভাবি
-হু
-কান্না করছেন কেন?
-এমনি
-ভাইয়া কিছু বলেছে?
-না
-ভাবি আমার ভাইয়াটা অনেক ভালো ভাইয়াটাকে কষ্ট দিয়েন না।
-হু
-ভাবি সকালের নাস্তাগুলো রুমে নিয়ে যান। টেবিলে সেজে রেখেছি। আর হ্যাঁ ভাইয়াকে না খাইয়ে ছারবেন না।
-হু
রাইসা চখের জল গুলো মুছে। সকালের নাস্তাগুলো রুমে নিয়ে যায়। রুটি আর তরকারি।
আসাদ খাটে বসে বসে ফোন টিপছে। রাইসা সকালের খাবার গুলো টেবিলে রেখে বলে।
-জামাই। এই যে সকালের নাস্তা নিয়ে এসেছি খেয়ে নেন।।
-আচ্ছা এখানে রেখে দেও।
-না
-কেন?
-পিচ্চি মিতুটা বলেছে আপনাকে খাইয়ে দিতে।
-আবার পাগলামি শুরু করেছো?
-জামাই প্লিজ,
-আচ্ছা
রাইসা জেদ করে আসাদকে খাইয়ে দিচ্ছে। একটু একটু করে রুটি ছিরে আসাদকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর হিহিহি করে হেঁসে যাচ্ছে মেয়েটা। আসাদ রাইসার পাগলামী গুলো দেখে মায়ায় পরে যাচ্ছে।
-জামাই একটা কথা বলি
-হু
-আমাকে ডিভোর্স দিয়ো না প্লিজ। আমার কোথাও ভুল থাকলে বলবে প্লিজ। দরকার হলে আমাকে মার লাগাবে। যানো আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। আমাকে জানো অনেক গুলো জামাই বিয়ে করতে এসেছিলো। তবে সবাই আমাকে পাগল বলে চলে গেছে। (আসাদ এবার হেঁসে উঠে। অনেক গুলো জামাই মানে অনেক ছেলে রাইসাকে দেখতে এসেছিলো।
তবে সকলে পাগল বলে চলে গেছে।
রাইসা মেয়েটা পাগল বাট দেখতে বেশি সুন্দর না হলেও। মায়াবী চেহেরা। আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী, আচ্ছা ডিভোর্স দিবো না। বাট আমার কথা মতো চলতে হবে। আমার কথা ছারা কারো কথা শুনলে চলবে না।
-আচ্ছা জামাই। তুমি যা বলবে তাই করবো।
-হু
-এবার তুমি (হা) করো দেখি।
-এই যে (হা) করেছি।
আসাদ রাইসাকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে।
আর রাইসা আসাদকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে। খাবার খাওয়া শেষে আসাদ রাইসাকে বুকে মাঝখানে নিয়ে ফেসবুকিং করছে। আর রাইসা আসাদের বুকে সুয়ে সুয়ে ফোন দেখছে আর হিহি করে হেঁসে যাচ্ছে।
রাইসা ফজরে উঠে গোসল করে নেয় তার কারন রাইসার আম্মু বলেছিলো। ফজরে উঠে গোসল করে নিতে। মেয়েটা পাগল বটে। যে যায় বলে তাই করে। তবে আসাদ বলে দিয়েছে আসাদের কথা শুনো চলতে হবে। তবে কতটা কথা শুনে চলতে পারে রাইসা দেখা যাক।
রাইসা আসাদের ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে। আসাদ রাইসার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর ফোন টিপছে। রাইসা বলে উঠে।
-জামাই
-হু
-এতো ফোন টিপো কেন? নষ্ট হয়ে যাবে তো। (আসাদ এবার মুচকি হেঁসে বলে)
-পাগলী মেয়ে একটা নষ্ট হবে না।
রাইসার কান্ড দেখে আসাদ হেঁসে যাচ্ছে দুপুরের দিকে আসাদ গোসল করে রুমে আসে। রাইসা তখন খাটে বসে আছে আর আসাদের ফোনটা টিপছে। আসাদ মাথা মুচতে মুচতে রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী
-হু
-ফোন নিয়ে কি করছো?
-এই তো গেম খেলছি।
(চলবে)
মূল লিখক- আসাদ
(পর্ব ৩)
-জামাই, ওই জামাই
-হু বলো
-আমার কাছে এসো।
-কেন?
-একটা কথা আছে এসো প্লিজ।
-আচ্ছা যাচ্ছি।
আসাদ খাটে বসে বসে ফোন টিপছিলো। বেকার ছেলে আসাদ বাবার হোটেলে খায় আর ঘুমায়। আসাদ বিয়ে করতে চেয়েছিলো না। তবে আব্বু জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়।
অবশ্য আসাদের মন থেকে মত ছিলো। উপরে উপরে বলেছে আমি বেকার এখন না বিয়ে করলেই ভালো হতো। আব্বু বলে দিয়েছে বিয়ে করার পর চাকরি করিস। কি আর করার। আব্বুর কথা মতো বিয়ে করে ফেলে আসাদ। বাইরে থেকে ফ্রেস হয়ে এসে।
খাটে বসে আছে ছেলেটা। মুখটা লাল হয়ে গেছে। এদিকে রাইসা আসাদকে ডাক দিলে আসাদ রাইসার কাছে যায়।
রাইসা জানালার পার্শে দাঁড়িয়ে আছে। আসাদ ছেলেটা নরম ভদ্র বটে।
তবে রেগে গেলে অনেক ভয়ংকর।
-এই যে বলুন।
-বলবো
-হু বলো
-আচ্ছা জামাই আমি কি সত্যি পাগল? (আসাদ রাইসার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বলে)
-মেয়েরা আবার পাগল হয়নাকি? পাগলী হয়।
-ওহ আচ্ছা
-হু
-তাহলে আমি কি পাগলী?
-নাতো
-যানো জামাই। সকলে আমাকে পাগল বলে আর আজকে তুমি আমাকে পাগল বলছো। আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে আছে যানো জামাই।
-আচ্ছা
-জামাই তোমার যদি কষ্ট হয় তাহলে আমাকে বলবা ওকে।
-আচ্ছা বলবো। আর শুনো?
-হু বলো
-তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
-ডিভোর্স আবার কি জামাই?
-ডিভোর্স মানে বুঝো না?
-হু বুঝি না তো। ডিভোর্স কি খাবারের নাম?
-নাহ
-তাহলে
-ডিভোর্স হচ্ছে তালাক। আর তালাক মানে তো বুঝো। তোমাকে ত্যাগ করে দিবো। মানে তুমি আমার কাছে আর থাকতে পারবে না।
-কি বলছো এইসব জামাই। (বলে রাইসা হুহুহু করে কেঁদে ফেলে)
-আরে কান্না করছো কেন?
-আমাকে ডিভোর্স দিবেন কেন জামাই আমাকে ভালোবাসেন না তাই না?
-হু
-কেন?
-কারন আপনি একটা পাগল। আর একটা পাগলের সঙ্গে আমি সংসার করতে পারবো না।
এবার রাইসা চুপ হয়ে যায় কিছু বলে না। হ্যাঁ সে তো পাগল সকলে বলে এ আর নতুন কি? রাইসা হুহু করে কেঁদে বলে।
-আচ্ছা জামাই আমাকে ডিভোর্স দিয়ে ভালো থাকবেন?
-হুম
রাইসা কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। আর অনেক কান্না করে। রাইসার কান্না দেখে আসাদের বোন মিতু বলে উঠে।
-ভাবি
-হু
-কান্না করছেন কেন?
-এমনি
-ভাইয়া কিছু বলেছে?
-না
-ভাবি আমার ভাইয়াটা অনেক ভালো ভাইয়াটাকে কষ্ট দিয়েন না।
-হু
-ভাবি সকালের নাস্তাগুলো রুমে নিয়ে যান। টেবিলে সেজে রেখেছি। আর হ্যাঁ ভাইয়াকে না খাইয়ে ছারবেন না।
-হু
রাইসা চখের জল গুলো মুছে। সকালের নাস্তাগুলো রুমে নিয়ে যায়। রুটি আর তরকারি।
আসাদ খাটে বসে বসে ফোন টিপছে। রাইসা সকালের খাবার গুলো টেবিলে রেখে বলে।
-জামাই। এই যে সকালের নাস্তা নিয়ে এসেছি খেয়ে নেন।।
-আচ্ছা এখানে রেখে দেও।
-না
-কেন?
-পিচ্চি মিতুটা বলেছে আপনাকে খাইয়ে দিতে।
-আবার পাগলামি শুরু করেছো?
-জামাই প্লিজ,
-আচ্ছা
রাইসা জেদ করে আসাদকে খাইয়ে দিচ্ছে। একটু একটু করে রুটি ছিরে আসাদকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর হিহিহি করে হেঁসে যাচ্ছে মেয়েটা। আসাদ রাইসার পাগলামী গুলো দেখে মায়ায় পরে যাচ্ছে।
-জামাই একটা কথা বলি
-হু
-আমাকে ডিভোর্স দিয়ো না প্লিজ। আমার কোথাও ভুল থাকলে বলবে প্লিজ। দরকার হলে আমাকে মার লাগাবে। যানো আমি তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। আমাকে জানো অনেক গুলো জামাই বিয়ে করতে এসেছিলো। তবে সবাই আমাকে পাগল বলে চলে গেছে। (আসাদ এবার হেঁসে উঠে। অনেক গুলো জামাই মানে অনেক ছেলে রাইসাকে দেখতে এসেছিলো।
তবে সকলে পাগল বলে চলে গেছে।
রাইসা মেয়েটা পাগল বাট দেখতে বেশি সুন্দর না হলেও। মায়াবী চেহেরা। আসাদ রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী, আচ্ছা ডিভোর্স দিবো না। বাট আমার কথা মতো চলতে হবে। আমার কথা ছারা কারো কথা শুনলে চলবে না।
-আচ্ছা জামাই। তুমি যা বলবে তাই করবো।
-হু
-এবার তুমি (হা) করো দেখি।
-এই যে (হা) করেছি।
আসাদ রাইসাকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে।
আর রাইসা আসাদকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছে। খাবার খাওয়া শেষে আসাদ রাইসাকে বুকে মাঝখানে নিয়ে ফেসবুকিং করছে। আর রাইসা আসাদের বুকে সুয়ে সুয়ে ফোন দেখছে আর হিহি করে হেঁসে যাচ্ছে।
রাইসা ফজরে উঠে গোসল করে নেয় তার কারন রাইসার আম্মু বলেছিলো। ফজরে উঠে গোসল করে নিতে। মেয়েটা পাগল বটে। যে যায় বলে তাই করে। তবে আসাদ বলে দিয়েছে আসাদের কথা শুনো চলতে হবে। তবে কতটা কথা শুনে চলতে পারে রাইসা দেখা যাক।
রাইসা আসাদের ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে। আসাদ রাইসার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর ফোন টিপছে। রাইসা বলে উঠে।
-জামাই
-হু
-এতো ফোন টিপো কেন? নষ্ট হয়ে যাবে তো। (আসাদ এবার মুচকি হেঁসে বলে)
-পাগলী মেয়ে একটা নষ্ট হবে না।
রাইসার কান্ড দেখে আসাদ হেঁসে যাচ্ছে দুপুরের দিকে আসাদ গোসল করে রুমে আসে। রাইসা তখন খাটে বসে আছে আর আসাদের ফোনটা টিপছে। আসাদ মাথা মুচতে মুচতে রাইসাকে বলে উঠে।
-পাগলী
-হু
-ফোন নিয়ে কি করছো?
-এই তো গেম খেলছি।
(চলবে)
মূল লিখক- আসাদ
এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০৩
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
10:13 AM
Rating:
No comments