এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০২

গল্পঃ #এ_আবার_কেমন_বউ
 (পর্ব-২)
-ওগো তুমি এমন করতেছো কেন।? আমাকে মেরে ফেলবা নাকি? (আসাদ)
-খুব বেশি আদর দিলাম। তাই না।
-হু অনেক
আসাদ ব্যথ্যায় চেঁচিয়ে উঠে। রাইসা তা দেখে আসাদের কাছে এসে বলে।
-বাবু তোমাকে আদর দিলাম আর তুমি কান্না করছো কেন? (আসাদ বলে উঠে। --ওগো তুমি একটু বেশি আদর দিয়েছো তাই ব্যথ্যা করতাছে।
-আচ্ছা অনেক রাত্র হয়ে গেছে। চলো দুজনে সুয়ে পরি।
আসাদ আর রাইসা দুজনে বিছানায় সুয়ে পরে। এদিক আসাদ রাত্রে ব্যথ্যায় চেচিয়ে উঠে।
খুব সকালে আসাদ রুম থেকে বের হলে। আসাদের ছোট্ট বোন বলে উঠে।
-ভাইয়া তোমার মুখ লাল হয়ে গেছে কেন?
-কিছু না বোন
-কিছু না বললে হবে। কালকে তো তোমার বাসর রাত ছিলো। দেখে তো মনে হচ্ছে কেউ তোমাকে মেরেছে।
-আরে না।
-তোমার কপাল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আর তুমি বলছো কিছু না?
আসাদের বোন মিতু আম্মুকে সবকিছু বলতে চলে যায়। এদিকে আসাদ ফ্রেস হয়ে আসে।
রুমে গিয়ে দেখে রাইসা। গোসল করে এসে চুল মুচছে। রাইসা আসাদকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে আসাদের কাছে আসে। আর বলে উঠে।
-বাবু আমার চুল গুলো দেখো তো। সুন্দর তাই না?
-হ্যাঁ সুন্দর
-ধ্যাৎ তুমিও না। একটু সুভাস নেও না?
আসাদ মনে মনে বলে। এই মেয়ে তো পাগলের চেয়ে বেশি পাগল।
-না আমার ভালো লাগছে না।
-আমার চুল থেকে সুভাস না নিলে। মার দিবো।
আসাদ মার কথা শুনার মাত্র। রাইসার চুলের মুঠি টেনে ধরে বলে। ওই আমাকে কি তোর দ্যাস মনে হয়?
-উহুহু ব্যথ্যা পাচ্ছি তো।
-ব্যথ্যা পেলে পাবি। আর শোন আমি তোর সাথে সংসার করতে পারবো না ওকে। পাগল কোথাকার। বলে আসাদ রুম থেকে বের হয়ে যায়।
)-হ্যাঁ রাইসা পাগল। তবে রাইসার মনটাকে কেউ বুঝতে চায় না। তাকে যা বলা হয় তাই করে বেচারি। একটা খেলনা পুতুলের মতো রাইসা। মাথায় কোনো বুদ্ধি নেই।
আসাদ আম্মুকে বলে রাইসাকে ছেরে নেওয়া কথা বলে। এরকম মেয়ের সঙ্গে সংসার করা। আর পাগলকে বাড়িতে রাখা একি কথা। কখন কি করে বসবে আল্লাহ ভালো যানেন। এদিকে রাইসা মুখ গোমড়া করে বসে আছে। ওই জামইটা কি বলে গেলো। আমি খুব খারাপ তাই না? আমার বান্ধবীরা বলতো আমি নাকি পাগল। আজকে জামাই আমাকে পাগল বললো। জামাই আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছে হয়তো। যাই বাবা সরি চেয়ে আসি।
আসাদ রুমে ডুকার মাত্র
রাইসা আসাদকে বলে উঠে।
-জামাই
-কি হয়েছে। আর কি করতে চাও তুমি?
-সরি, আমি তো পাগল। এই পাগলীটাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ।
-আচ্ছা ঠিক আছে। ক্ষমা করলাম।
দেখুন কালকে মেরে কি করেছেন। কেউ
এভাবে বাসর করে? কে বলেছে আপনাকে বাসর রাত্রে মারামারি করে।
-কেন আপনি তো বললেন।
-আমি তো মজা করে বলছিলাম।
রাইসা এবার জামাইয়ের কাছে এসে জামাইয়ের মুখে আল্ত করে হাত দেয়।
আর দেখে মুখটা লাল হয়ে গেছে। কালকে ঝারু দিয়ে মেরেছে রাইসা।
রাইসা আসাদের গালে আল্ত করে চুমু দিয়ে বলে।
-জামাই দেখো। ভালো হয়ে যাবে।
-তাই
-হু
আসলে রাইসা মেয়েটা অবুঝ আর সে কোনো পাগল না। রাইসা একটা ছেলেকে ভালোবাসতো আর ছেলেটা রাইসার সঙ্গে প্রতারণা করে। আর সুইসাইড করার চেষ্টা করে। তবে রাইসা বেঁচে যায়। রাইসার সৃতি হারিয়ে গেছে। মেয়েটাকে যে যাই বলে তাই করে। আর নিজে যা বুঝে তাই করতে ব্যাস্ত থাকে। তার যা মন চায় তাই করে। তবে এরকম পাগল মেয়েকে নিয়ে আসাদ সংসার করতে চায় না। কয়েকদিনের ভিতর ছেরে নিবে।
(চলবে?)
 মূল লিখক- আসাদ