এ আবার কেমন বউ! পর্ব-০১

গল্পঃ #এ_আবার_কেমন_বউ
 (পর্ব ১)
বউয়ের কান্ড দেখে কান্না করবে না হাঁসবে কিছু বুঝছে না আসাদ। বিয়ে পড়ানোর সময় কবুল কবুল তারাতাড়ি বলে দেয় রাইসা। এ আবার কেমন বউ। ছোট্ট থেকে দেখে এসেছে আসাদ বিয়ে শেষে। বরের গাড়ীতে উঠার সময় মেয়েরা কান্না করে। আর আসাদের বউ চখে চসমা মুখে হাঁসি দিয়ে গাড়ীতে উঠেছে।
আসাদ অনেক ভয় পেয়ে আছে। এ আবার কেমন মেয়েকে বিয়ে করলো সে। মাথার তার ছিরা মেয়ে।
গাড়ীতে উঠার পর পর। রাস্তায় আসার সময় আসাদকে নিম্নে দশ বার চুম্মা দিয়েছে রাইসা।
আসাদ কার্ঠ হয়ে বসে আছে আর অনেকটা ভয় পেয়ে।
হায় আল্লাহ এ আবার কেমন মেয়েকে বউ বানালাম আমি? একেবারে পাগল।
গাড়ী থেকে নেমে বউ বলে উঠলো।
-জামাই আমাদের বাড়ি কি এইটা?
আসাদ ধির কন্ঠে বলে উঠলো। হ্যাঁ।
আসাদ ছেলেটা সান্তসিষ্ঠ এবং ভদ্র। তার কপালে এমন বউ পরবে ভাবতে পারিনি সে। বউ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে আর সকলে তার পিছনে।
রাত্র বারোটার দিকে আসাদ তো ভয়ে বাসর ঘরে ডুকবে না। সকলে জোর করে বাসর ঘরে ডুকে দেয়।
আসাদ টেবিলে রাখা দুধটা খেয়ে নেয়। আর ঢুক গিলতে লাগে ভয়ে।
আসাদ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রাইসা সাধারণ মেয়ের মতোই বাসর ঘরে বসে আছে।
আসাদ মনে মনে চিন্তা করে এই মেয়ে যতই ডাইনি হোকনা কেন। সাধারণ মেয়ের মতোই লজ্জা আছে। তাই আসাদ দরজাটা লেগে দেয় ভিতর থেকে।
বউয়ের কাছে গিয়ে বসে আসাদ। ওলে বাবালে বউ দেখছি খুব লজ্জা পাইছে।
বউয়ের ঘোমটাটা উঠাইতেই। আসাদ ৩ টা থাপ্পড় খায়। খাটের সাথে হিলান দিয়ে বসে থাকে আসাদ। কি হয়েছে তার সাথে কিছুই বুঝছে না।
আবার মেয়েটা খাট
থেকে উঠে আসে।
আসাদ খাটে হেলান দিয়ে বসে আছে। আসাদের সামনে তার বিয়ে করা নতুন বউকে দেখে আসাদ ভয় পেয়ে চিল্লিয়ে উঠে।
-ওই চিল্লায়তেছেন কেন। (লজ্জা সুরে)
-(....) আসাদ ভয়ে কিছু বলতে পারে না।
-আরে চলুন না। দুজনে বসর করি।
এবার আসাদ মুখের জল পায়ে ফেলে খাটে গিয়ে বসে। কে যেন ফোন করেছে।
-হ্যালো কে বলতাছেন।
-আমি দুলাভাই। রাইসার ছোট্ট বোন।
-ওহ আচ্ছা তুমি
-হ্যাঁ দুলাভাই
-দুলাভাই একটা কথা ছিলো। আমার আপু অনেক গুলা রুপ নেয়। কখনো ভয়ংকর কখনো লজ্জাবতী। আপুর মধ্যে অনেক গুলা রং দেখতে পাবেন। আপনি ভয় পাবেন না দুলাভাই আপকে অনেক ভালোবাসবে আমার আপু।
ওরে আল্লাহ গো কোন মেয়ের সাথে আমার ভাগ্য লিখায়লা। পুরাই পাগল। মাথায় যে কয়টা তারছিরা আছে কে যানে। বাসর ঘরেই বরকে থাপ্পড় দিয়েছে।
আমার যে এখন কি হইবো তুমি আমারে বাঁচাও। (মনে মনে কথা গুলো বলে আসাদ।)
-এই যে শুনছেন?(রাইসা)
-হু বলেন
-বাসর করবেন না।
আচ্ছা বাসর কিভাবে করে?
-বাসর ঘরে মারামারি করে?
-ওহ বুঝছি
রাইসা এবার খাট থেকে নেমে গেলো। খাটের নিচে কি যেন খুজছে। আসাদ রাইসার কান্ড দেখে মুখে হাত দিয়ে হাঁসছে।
রাইসা একটা ঝারু বের করে আসাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
-ওই ওইটা দিয়া তুমি কি করবা?
-কেন দুজনে বাসর করবো।
আসাদ কিছু বলার আগেই। রাইসা ঝারু দিয়ে আসাদকে মারতে লাগে। আর আসাদ চিলাইতে লাগে। ওমাগো মোরে বাঁচাও।
তবে এ ঘরের আওয়াজ কোনো ঘরে যায় না। আর দরজা লেগে দিলে তো না।
(চলবে)

মূল লিখক- আসাদ