এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০৪
গল্পঃ #এক_টুকরো_চোখের_জল
(পর্ব-৪)
-এই কাশছিস কেন?
-কই'নাতো,
-যেগুলা খেতে পারবিনা' সেগুলা খেতে যাস কেন?
-কে বললো পারবো না।
রিফাত সিগারেট'টা নিয়ে অনেক গুলা টান'মারে। তারপর কাশতে কাশতে মাটিতে ফেলে দেয় সিগারেট। রিফাত আবার সজিবকে বলে উঠে।
-এই আর সিগারেট আছে? (রিফাত)
-ওই কি বলছিস'টা কি? তোর মাথা কি ঠিক আছে? একটা খেয়ে তোর এই অবস্থা। আর' আরো খেতো চাইছিস। বলতো তোর কি হয়েছে। কালকে তো তোর বাসররাত ছিলো। ভাবি কি খারাপ?
রিফাত এবার সজিবের কলার ধরে বলতে থাকে।)
-এই কি বলছিস, ও'খারাপ হতে যাবে কেন? ও'অনেক ভালো। আমি খারাপ। আচ্ছা তুই থাক, আমি বাসায় গেলাম।
রিফাত কাশতে কাশতে আবার বাড়ির দিকে চলে যায়। এদিকে সজিব রিফাতকে ডাক দিতে শুরু করে।
-এই রিফাত কোথায় যাচ্ছিস।
তবে কোনো সারাদেয় না রিফাত। রিফাত বাড়ির ভিতর ডুকা মাত্র' হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই রিফাত কোথায় গিয়েছিলিস।
-বাইরে,
-কেন,
-তোকে বলতে হবে নাকি?
রিফাত কথা বলার সময় কাশিদিতে শুরু করে।
-এই তোর কি হয়েছে দেখি।
-ধুর কিছু হয়নি আমার।
কথা বলার সময় রিফাতের মুখদিয়ে দূরগন্ধ বের হচ্ছিলো। তাই হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই তোর মুখদিয়ে কি বিশ্রি গন্ধ বের হচ্ছে।
-কই নাতো,
-সিগারেট খেয়েছিস তাই না। (বলে রিফাতের গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে দেয় হাওয়া। রিফাত হাওয়ার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে, আর রাগে ফুসছে। রিফাত কিছু না বলে রুমে চলে'যায়। এদিকে হাওয়া রিফাতের পিছন পিছন আসতে থাকে।
রিফাত রুমে এসে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাওয়া রুমে এসে রিফাতকে বলতে শুরু করে।
-এই আমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিস না কেন?
-,,,,,,,,
-সিগারেট খেয়েছিস তাই না?
-এই তুই চুপ কর। আমি যা মানে তাই খাই, তোর কি হ্যাঁ। (চিৎকার দিয়ে)
হাওয়া এবার চুপ করে আছে। হাওয়া আবার বলে উঠে।
-রিফাত, তুই তো এমন ছিলিস না। তোকে তো কখনো সিগারেট খেতে দেখিনাই। তবে আজকে কেন সিগারেট খেলি? তুই তো বলতিস আমি সিগারেট খাওয়া তো দূরের কথা, সিগারেটের গন্ধ সয্য করতে পারিস না।
-,,,,,,,,,,,
-কথা বলছিস না কেন। উত্তর দে,
রিফাত আর হাওয়ার ঝগড়ার আওয়াজ পেয়ে, আম্মু রুমে চলে আসে।
-এই তোরা ঝগড়া করছিস কেন? বউমা রিফাত তোমাকে কিছু বলেছে। কালকে বাসররাত ছিলো তোদের। আর আজ'থেকেই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিস।
-আম্মু তুমি রুম থেকে যাও তো। (রিফাত)
-কেন?
-এমনিতেই, ভালো লাগছেনা কিছু।
-আচ্ছা যাচ্ছি, তোরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করিস না। বউমা এই পাজি ছেলেটাকে দেখে রেখো।
-আচ্ছা মা,
আম্মু রুম থেকে বের হয়ে'গেলে। হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই শুনলি তো, আম্মু কি বলে গেলো। আর শুন আজকে সিগারেট খেয়েছিস ঠিক আছে। তবে আর কক্ষনো সিগারেট মুখে দিবিনা নয়তো তোকে আমি!!
-আরে আজব তো, তুই আমার কে হ্যাঁ। আমি যা ইচ্ছে তাই খেতে চাই। তোর হুকুম নিতে পারবো না আমি ওকে।
-তোকে হুকুম নিতে কে বলেছে। শুধু বলেছি বাজে জিনিস গুলো খাবি না। এগুলা খেলে তারাতাড়ি মানুষ মারা যায়।
-ওহ আচ্ছা ভালো, তবে আমি মরলে তোর কি হ্যাঁ।
কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে হওয়ার রিফাতের কাছে আসে। রিফাতের মুখে হাত দিয়ে বলে।
-এই শোন মরার কথা কক্ষনো বলবি না।
-কেন, আমি মরলে তোর কি।
-অনেককিছু, খবরদার মরার কথা বলবি না। নয়তো আবার থাপ্পড় দিবো।
রিফাত এবার, হওয়ার গালে ঠাস ঠাস
করে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে বলে।
-তুই আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিলিস তাই না। প্রতিশোধ নিলাম।
হাওয়া গালে হাত'দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর চোখ'দিয়ে টপটপ করে বৃষ্টি ঝরে যাচ্ছে। রিফাত আমাকে থাপ্পড় দিতে পারলো। দিবে না কেন? সেই রিফাত তো আর নেই।
আর আমি'তো আগে থাপ্পড় দিয়েছি পাগল ছেলেটাকে। রিফাত তো এখন বুঝতে শিখে'গেছে। প্রতিশোধ নিতে শিখে গেছে।)
হওয়া রিফাতের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। হাওয়া নিজের চোখের জল গুলো মুছে নিয়ে' একটা মুচকি হাঁসি দিয়ে উঠে।
হাওয়া খাটে গিয়ে বসে পরে। হাওয়াকে দেখে মনে হচ্ছে ওর কিছুই হয়নি। রিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আঘাত পেয়ে পেয়ে কার্ঠ হয়ে গেছে রিফাত। কালকে অনেক কান্না করেছে রিফাত। তাই হয়তো চোখ দিয়ে আর বৃষ্টি ঝরছে না।
[কথায় আছে। একটা মানুষ কষ্ট পেতে থাকলে কার্ঠ হয়ে যায়। সবকিছু বুঝতে শিখে যায়। তখন আর অপেক্ষা করেনা কারো জন্য। চোখ ঝড়ে বৃষ্টি পরেনা তখন।]
(চলবে?)
(পর্ব-৪)
-এই কাশছিস কেন?
-কই'নাতো,
-যেগুলা খেতে পারবিনা' সেগুলা খেতে যাস কেন?
-কে বললো পারবো না।
রিফাত সিগারেট'টা নিয়ে অনেক গুলা টান'মারে। তারপর কাশতে কাশতে মাটিতে ফেলে দেয় সিগারেট। রিফাত আবার সজিবকে বলে উঠে।
-এই আর সিগারেট আছে? (রিফাত)
-ওই কি বলছিস'টা কি? তোর মাথা কি ঠিক আছে? একটা খেয়ে তোর এই অবস্থা। আর' আরো খেতো চাইছিস। বলতো তোর কি হয়েছে। কালকে তো তোর বাসররাত ছিলো। ভাবি কি খারাপ?
রিফাত এবার সজিবের কলার ধরে বলতে থাকে।)
-এই কি বলছিস, ও'খারাপ হতে যাবে কেন? ও'অনেক ভালো। আমি খারাপ। আচ্ছা তুই থাক, আমি বাসায় গেলাম।
রিফাত কাশতে কাশতে আবার বাড়ির দিকে চলে যায়। এদিকে সজিব রিফাতকে ডাক দিতে শুরু করে।
-এই রিফাত কোথায় যাচ্ছিস।
তবে কোনো সারাদেয় না রিফাত। রিফাত বাড়ির ভিতর ডুকা মাত্র' হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই রিফাত কোথায় গিয়েছিলিস।
-বাইরে,
-কেন,
-তোকে বলতে হবে নাকি?
রিফাত কথা বলার সময় কাশিদিতে শুরু করে।
-এই তোর কি হয়েছে দেখি।
-ধুর কিছু হয়নি আমার।
কথা বলার সময় রিফাতের মুখদিয়ে দূরগন্ধ বের হচ্ছিলো। তাই হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই তোর মুখদিয়ে কি বিশ্রি গন্ধ বের হচ্ছে।
-কই নাতো,
-সিগারেট খেয়েছিস তাই না। (বলে রিফাতের গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে দেয় হাওয়া। রিফাত হাওয়ার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে, আর রাগে ফুসছে। রিফাত কিছু না বলে রুমে চলে'যায়। এদিকে হাওয়া রিফাতের পিছন পিছন আসতে থাকে।
রিফাত রুমে এসে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাওয়া রুমে এসে রিফাতকে বলতে শুরু করে।
-এই আমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিস না কেন?
-,,,,,,,,
-সিগারেট খেয়েছিস তাই না?
-এই তুই চুপ কর। আমি যা মানে তাই খাই, তোর কি হ্যাঁ। (চিৎকার দিয়ে)
হাওয়া এবার চুপ করে আছে। হাওয়া আবার বলে উঠে।
-রিফাত, তুই তো এমন ছিলিস না। তোকে তো কখনো সিগারেট খেতে দেখিনাই। তবে আজকে কেন সিগারেট খেলি? তুই তো বলতিস আমি সিগারেট খাওয়া তো দূরের কথা, সিগারেটের গন্ধ সয্য করতে পারিস না।
-,,,,,,,,,,,
-কথা বলছিস না কেন। উত্তর দে,
রিফাত আর হাওয়ার ঝগড়ার আওয়াজ পেয়ে, আম্মু রুমে চলে আসে।
-এই তোরা ঝগড়া করছিস কেন? বউমা রিফাত তোমাকে কিছু বলেছে। কালকে বাসররাত ছিলো তোদের। আর আজ'থেকেই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিস।
-আম্মু তুমি রুম থেকে যাও তো। (রিফাত)
-কেন?
-এমনিতেই, ভালো লাগছেনা কিছু।
-আচ্ছা যাচ্ছি, তোরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করিস না। বউমা এই পাজি ছেলেটাকে দেখে রেখো।
-আচ্ছা মা,
আম্মু রুম থেকে বের হয়ে'গেলে। হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই শুনলি তো, আম্মু কি বলে গেলো। আর শুন আজকে সিগারেট খেয়েছিস ঠিক আছে। তবে আর কক্ষনো সিগারেট মুখে দিবিনা নয়তো তোকে আমি!!
-আরে আজব তো, তুই আমার কে হ্যাঁ। আমি যা ইচ্ছে তাই খেতে চাই। তোর হুকুম নিতে পারবো না আমি ওকে।
-তোকে হুকুম নিতে কে বলেছে। শুধু বলেছি বাজে জিনিস গুলো খাবি না। এগুলা খেলে তারাতাড়ি মানুষ মারা যায়।
-ওহ আচ্ছা ভালো, তবে আমি মরলে তোর কি হ্যাঁ।
কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে হওয়ার রিফাতের কাছে আসে। রিফাতের মুখে হাত দিয়ে বলে।
-এই শোন মরার কথা কক্ষনো বলবি না।
-কেন, আমি মরলে তোর কি।
-অনেককিছু, খবরদার মরার কথা বলবি না। নয়তো আবার থাপ্পড় দিবো।
রিফাত এবার, হওয়ার গালে ঠাস ঠাস
করে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে বলে।
-তুই আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিলিস তাই না। প্রতিশোধ নিলাম।
হাওয়া গালে হাত'দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর চোখ'দিয়ে টপটপ করে বৃষ্টি ঝরে যাচ্ছে। রিফাত আমাকে থাপ্পড় দিতে পারলো। দিবে না কেন? সেই রিফাত তো আর নেই।
আর আমি'তো আগে থাপ্পড় দিয়েছি পাগল ছেলেটাকে। রিফাত তো এখন বুঝতে শিখে'গেছে। প্রতিশোধ নিতে শিখে গেছে।)
হওয়া রিফাতের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। হাওয়া নিজের চোখের জল গুলো মুছে নিয়ে' একটা মুচকি হাঁসি দিয়ে উঠে।
হাওয়া খাটে গিয়ে বসে পরে। হাওয়াকে দেখে মনে হচ্ছে ওর কিছুই হয়নি। রিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আঘাত পেয়ে পেয়ে কার্ঠ হয়ে গেছে রিফাত। কালকে অনেক কান্না করেছে রিফাত। তাই হয়তো চোখ দিয়ে আর বৃষ্টি ঝরছে না।
[কথায় আছে। একটা মানুষ কষ্ট পেতে থাকলে কার্ঠ হয়ে যায়। সবকিছু বুঝতে শিখে যায়। তখন আর অপেক্ষা করেনা কারো জন্য। চোখ ঝড়ে বৃষ্টি পরেনা তখন।]
(চলবে?)
এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০৪
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
12:52 PM
Rating:
No comments