এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০৩
গল্পঃ #এক_টুকরো_চোখের_জল
(পর্ব- ৩)
-এই রিফাত
-,,,,,,,,,,
-এই ঘুম থেকে উঠ বলছি,
-হু
-তোর আম্মু তোকে ডাকতেছে। সকালের নাস্তা করার জন্য।
-হু
-হু, হু করতেছিস কেন? উঠ বলছি।
-,,,,,,,,,,,,
-তোকে আমি,
হাওয়া রিফাতের হাত ধরে'টান মরে। রিফাত' না উঠে আর পারে না।
-এই' এমন করছিস কেন?
-তোর আম্মু তোকে ডাকতেছে।
-তো আমি কি করবো?
-কি করবি মানে, সকালের নাস্তা করবি না নাকি?
-হ্যাঁ করবো,
-পেটুক একটা
-এই কাকে পেটুক বলছিস?
-কেন তোকে
-আমি পেটুক তাই না তাহলে তুই কি? পেত্নী,
-কি বললি।
-কি আবার বললাম। আমাকে আর ডাকবি না ওকে। আমি ঘুমিয়ে পরলাম।
(রিফাত কথাটা বলে আবার সুয়ে পরেছে দেখে হাওয়া রিফাতকে বলতে শুরু করে।)
-এই আবার শুয়ে পরলি কেন? তোর আম্মুকে ডাকবো কিন্তু।
-ডাক গিয়ে, সমস্যা নেই। (কোলবালিশ জরীয়ে ধরে)
-ওই উঠ বলছি।
-না,
-তোর আম্মুকে ডেকে নিয়ে আসতেছি দাঁড়া।
-ওই থাম,
-হ্যাঁ এবার পথে আয়।
রিফাত খাট থেকে উঠে হওয়ার কাছে আসে। হওয়ার নাকটাতে গুঁতো দিয়ে বলে উঠে।
-এই তুই আমার আম্মুকে, তোর আম্মু তোর আম্মু বলছিস কেন? (রিফাত)
-কেন তোরি, তো আম্মু। আমার আম্মু নাকি?
-এই শোন তুই পালিয়ে যাবি, ঠিক আছে। তবে আম্মুকে মা বলে ডাকবি।
-পারবো না।
-কেন পারবি না? আমরা এখন স্বামী স্ত্রী। সম্পর্কে তুই আমার বউ ওকে।
-বয়ে গেছে তোর বউ হইতে।
-এই তোকে আমি।
-কি করবি?
-কিছু না। শোন আমার আম্মুকে, মা বলে ডাকবি কেমন। লোকজন নয়তো সন্দেহ করবে তুই আমাকে মেনে নিসনাই।
-আচ্ছা ডাকবো। এবার চল সকালের নাস্তা করে নিবি।
-এই শোন, একটা'কথা বলি। (রিফাত)
-হ্যাঁ বল (হওয়া)
-তোর বয়ফ্রেন্ডের নাম কি?
-আনিছ
-ও আচ্ছা, দেখতে অনেক সুন্দর তাই না রে?
-হুম
-আচ্ছা চল, সকালের নাস্তা করার জন্য। (রিফাত)
রিফাত আর হওয়া সকালের নাস্তা করতে চলে যায়। তাদের পরিবার বলতে আব্বু, আম্মু আর রিফাত। তিনজন মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা পরিবার। তবে আজকে চারজন হয়েছে। কয়দিন বা চারজন থাকবে। তাই হওয়াকে তাদের পরিবারের সঙ্গে না ধরাই ভালো।
হাওয়া আর রিফাত খাবার টেবিলে গিয়ে বসে। আব্বু আম্মু পার্শে বসেছে। আব্বু রিফাতকে বলে উঠে।
-রিফাত রাত কেমন কাটলো?
-এই তো আব্বু কোনোরকমে। সারারাত যেই মশার কামর।
-মানে
-না আব্বু কিছু না।
হাওয়া রিফাতের দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে। এদিকে আম্মু সকালের খাবার'গুলো রিফাতের প্লেটে আর হওয়ার প্লেটে দিয়ে দেয়।
হওয়া আর রিফাত সকালের নাস্তা খেয়ে নিজেদের রুমে চলে আসে। হওয়া খাটে বসে বসে ফোন টিপতে শুরো করে। আর এদিকে রিফাত টেবিলে বসে বসে ডাইরিতে কি যেন লিখছে।
হওয়া কাকে যেন ফোন করেছে।
-হ্যালো বাবু, কেমন আছো, ধুর এ আমার শরীলে ছোঁয়ার চান্স পাবে নাকি। এ ছেলেটাতো একটা ফালতু পাগল। বাবু এখন রাখি ওকে, পরে কথা বলবো। উম্মমমমমম্মা।
রিফাতের কানে সব কথাগুলো আসে। রিফাতের মাথার উপর দিয়ে যায় সবকিছু।
রিফাত হওয়ার কাছে এসে, বলে উঠে।
-ওই আমি বোকা, আমি পাগল। কাকে বলছিলিস এগুলো?
-আনিছকে বলছিলাম। আমার কলিজাটাকে।
রিফাত এবার চুপ হয়ে যায়। হ্যাঁ রিফাত তো বোকা। পাগল। রিফাত রুম থেকে বের হয়ে যায়। এদিকে হাওয়া রিফাতকে পিছন থেকে ডাক দিতে শুরু করে।
-এই রিফাত কোথায় যাচ্ছিস। এই রাগ করলি নাকি আবার।
রিফাত কোন'কথা না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিফাত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে আজ। রিফাত সজিবকে বলে উঠে।
-সজিব তোর কাছে সিগারেট আছে।
-হ্যাঁ আছে তো, তবে কি করবি সিগারেট নিয়ে?
-খাবো
-মানে কি বলচ্ছিস এইসব?
-তোর কাছে সিগারেট আছে কিনা বল। থাকলে তারাতাড়ি দে হয়তো। গেলাম আমি।
-আচ্ছা দিচ্ছি।
সজিব জোর করে রিফাতকে সিগারেট খাওয়ানোর চেষ্টা করছে তবে কক্ষনো পারেনি সবিজ। রিফাত সিগারেট মুখে ছোঁয়া কি, গন্ধ সয্য করতে পারে না। রিফাত সিগারেট মুখে নিয়ে একটা টান মারে। তারপর কাশতে লাগে ছেলেটা।
(চলবে?)
(পর্ব- ৩)
-এই রিফাত
-,,,,,,,,,,
-এই ঘুম থেকে উঠ বলছি,
-হু
-তোর আম্মু তোকে ডাকতেছে। সকালের নাস্তা করার জন্য।
-হু
-হু, হু করতেছিস কেন? উঠ বলছি।
-,,,,,,,,,,,,
-তোকে আমি,
হাওয়া রিফাতের হাত ধরে'টান মরে। রিফাত' না উঠে আর পারে না।
-এই' এমন করছিস কেন?
-তোর আম্মু তোকে ডাকতেছে।
-তো আমি কি করবো?
-কি করবি মানে, সকালের নাস্তা করবি না নাকি?
-হ্যাঁ করবো,
-পেটুক একটা
-এই কাকে পেটুক বলছিস?
-কেন তোকে
-আমি পেটুক তাই না তাহলে তুই কি? পেত্নী,
-কি বললি।
-কি আবার বললাম। আমাকে আর ডাকবি না ওকে। আমি ঘুমিয়ে পরলাম।
(রিফাত কথাটা বলে আবার সুয়ে পরেছে দেখে হাওয়া রিফাতকে বলতে শুরু করে।)
-এই আবার শুয়ে পরলি কেন? তোর আম্মুকে ডাকবো কিন্তু।
-ডাক গিয়ে, সমস্যা নেই। (কোলবালিশ জরীয়ে ধরে)
-ওই উঠ বলছি।
-না,
-তোর আম্মুকে ডেকে নিয়ে আসতেছি দাঁড়া।
-ওই থাম,
-হ্যাঁ এবার পথে আয়।
রিফাত খাট থেকে উঠে হওয়ার কাছে আসে। হওয়ার নাকটাতে গুঁতো দিয়ে বলে উঠে।
-এই তুই আমার আম্মুকে, তোর আম্মু তোর আম্মু বলছিস কেন? (রিফাত)
-কেন তোরি, তো আম্মু। আমার আম্মু নাকি?
-এই শোন তুই পালিয়ে যাবি, ঠিক আছে। তবে আম্মুকে মা বলে ডাকবি।
-পারবো না।
-কেন পারবি না? আমরা এখন স্বামী স্ত্রী। সম্পর্কে তুই আমার বউ ওকে।
-বয়ে গেছে তোর বউ হইতে।
-এই তোকে আমি।
-কি করবি?
-কিছু না। শোন আমার আম্মুকে, মা বলে ডাকবি কেমন। লোকজন নয়তো সন্দেহ করবে তুই আমাকে মেনে নিসনাই।
-আচ্ছা ডাকবো। এবার চল সকালের নাস্তা করে নিবি।
-এই শোন, একটা'কথা বলি। (রিফাত)
-হ্যাঁ বল (হওয়া)
-তোর বয়ফ্রেন্ডের নাম কি?
-আনিছ
-ও আচ্ছা, দেখতে অনেক সুন্দর তাই না রে?
-হুম
-আচ্ছা চল, সকালের নাস্তা করার জন্য। (রিফাত)
রিফাত আর হওয়া সকালের নাস্তা করতে চলে যায়। তাদের পরিবার বলতে আব্বু, আম্মু আর রিফাত। তিনজন মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা পরিবার। তবে আজকে চারজন হয়েছে। কয়দিন বা চারজন থাকবে। তাই হওয়াকে তাদের পরিবারের সঙ্গে না ধরাই ভালো।
হাওয়া আর রিফাত খাবার টেবিলে গিয়ে বসে। আব্বু আম্মু পার্শে বসেছে। আব্বু রিফাতকে বলে উঠে।
-রিফাত রাত কেমন কাটলো?
-এই তো আব্বু কোনোরকমে। সারারাত যেই মশার কামর।
-মানে
-না আব্বু কিছু না।
হাওয়া রিফাতের দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে। এদিকে আম্মু সকালের খাবার'গুলো রিফাতের প্লেটে আর হওয়ার প্লেটে দিয়ে দেয়।
হওয়া আর রিফাত সকালের নাস্তা খেয়ে নিজেদের রুমে চলে আসে। হওয়া খাটে বসে বসে ফোন টিপতে শুরো করে। আর এদিকে রিফাত টেবিলে বসে বসে ডাইরিতে কি যেন লিখছে।
হওয়া কাকে যেন ফোন করেছে।
-হ্যালো বাবু, কেমন আছো, ধুর এ আমার শরীলে ছোঁয়ার চান্স পাবে নাকি। এ ছেলেটাতো একটা ফালতু পাগল। বাবু এখন রাখি ওকে, পরে কথা বলবো। উম্মমমমমম্মা।
রিফাতের কানে সব কথাগুলো আসে। রিফাতের মাথার উপর দিয়ে যায় সবকিছু।
রিফাত হওয়ার কাছে এসে, বলে উঠে।
-ওই আমি বোকা, আমি পাগল। কাকে বলছিলিস এগুলো?
-আনিছকে বলছিলাম। আমার কলিজাটাকে।
রিফাত এবার চুপ হয়ে যায়। হ্যাঁ রিফাত তো বোকা। পাগল। রিফাত রুম থেকে বের হয়ে যায়। এদিকে হাওয়া রিফাতকে পিছন থেকে ডাক দিতে শুরু করে।
-এই রিফাত কোথায় যাচ্ছিস। এই রাগ করলি নাকি আবার।
রিফাত কোন'কথা না বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিফাত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে আজ। রিফাত সজিবকে বলে উঠে।
-সজিব তোর কাছে সিগারেট আছে।
-হ্যাঁ আছে তো, তবে কি করবি সিগারেট নিয়ে?
-খাবো
-মানে কি বলচ্ছিস এইসব?
-তোর কাছে সিগারেট আছে কিনা বল। থাকলে তারাতাড়ি দে হয়তো। গেলাম আমি।
-আচ্ছা দিচ্ছি।
সজিব জোর করে রিফাতকে সিগারেট খাওয়ানোর চেষ্টা করছে তবে কক্ষনো পারেনি সবিজ। রিফাত সিগারেট মুখে ছোঁয়া কি, গন্ধ সয্য করতে পারে না। রিফাত সিগারেট মুখে নিয়ে একটা টান মারে। তারপর কাশতে লাগে ছেলেটা।
(চলবে?)
এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০৩
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
12:52 PM
Rating:
No comments