এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০২

গল্পঃ #এক_টুকরো_চোখের_জল
(পর্ব-২)
রিফাতের যখন ঘুম ঘুম ভাব", তখন একটু একটু ঠান্ডা করতে শুরু করছে। তাই রিফাত জানালা'গুলো লাগিয়ে দিতে যায়। জানালা গুলো লাগিয়ে দেওয়া সময় রিফাত লক্ষ করে, হাওয়া ঠান্ডায় কাঁপতেছে।
রিফাত আলমারী থেকে চাদর বের করে দুইটা। হওয়ার কাছে কিছুক্ষণ বসে থাকে। ঘুমের মাঝে মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে একটু ছুঁয়ে দেই। তবে তা হবার না। রিফাত হাওয়ার শরীলে চাদর পরিয়ে দেয়। মেয়েটা চুপটি করে ঘুমিয়ে আছে।
রিফাত হাওয়ার শরীলে চাদর দিয়ে। মেঝেতে এসে সুয়ে পরে, চাদরটা শরীলে পেঁচিয়ে।
ফজরের আজান পড়ছে, রিফাত গভীর ঘুমে। তবুও আল্লাহ ডাকে ছেলেটা ঘুম থেকে উঠে যায়। ঘুমটাও ভালোমতো হয়নি। রিফাত ঘুমের মাঝে ওজু করতে যায়। রুমের ভিতর এসে দেখে। হাওয়া ঘুমিয়ে আছে। রিফাত মুচকি হেঁসে হাওয়াকে ডাক দিতে শুরু করে।
-এই,
-,,,,,,,
-এই শোন
-,,,,,,,,
-এই তুই নামাজ পড়বি না?
-হু
-তাহলে উঠ,
-আজকে পড়তে পারবোনা রে, খুব ঘুম পেয়েছে।
-আচ্ছা ,,
রিফাত আর হাওয়া সবসময় দুষ্টুমি করতো দুজনে। দুজনে ছিলো বেস্ট ফ্রেন্ড। তবে রিফাত হাওয়াকে ভালোবাসতো। কিন্তু কখনো বলতে পারেনি। রিফাত মুচকি হেঁসে। বাইরে চলে যায়। রিফাত এক গ্লাস পানি এনে হাওয়ার মুখে ছিটিয়ে দেয়। হওয়ার চমকে উঠে।
-এই, কি করছিস'টা কি,
-কেন, কি আবার করলাম?
-চোখে পানি ছিটিয়ে দিলি কেন?
-ঘুম থেকে উঠছিলিনা কেন তাই।
-তোকে না আমি।
-কি করবি।
-কিছু না। আচ্ছা তুই মসজিদে যাবি না?
-নাহ, (রিফাত)
-কেন
-আজকে রাতে আমাদের বাসররাত ছিলো কে যানে কে কি বলে বসে। তাই রুমে নামাজ পড়বো আজ। বুঝলি।
-আচ্ছা ঠিক আছে। আমি ওজু করে আসি। তুই এখানে বসে থাক।
-আচ্ছা,
রিফাত আর হাওয়া এক সঙ্গে ওজু করার জন্য যেতে পারতো। তবে হাওয়াতো রিফাতকে ভালোবাসে না। তাই রিফাত হাওয়াকে ডাকেনি। এদিকে হাওয়া ওজু করে এসে রিফাতকে বলে উঠে।
-এই শোন।
-হুম
-কিছু না থাক,
রিফাত সামনে আর হাওয়া পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে নেয়। নামাজ শেষে রিফাত দাঁড়িয়ে আছে দেখে, হাওয়া রিফাতকে বলে উঠে।
-এই ঘুমাবি না?
-না'রে ঘুম আসতেছে না। তুই সুয়ে পর।
-আচ্ছা তুই কোথায় সুয়েছিলি সারারাত।
-এই তো মেঝেতে।
-মানে
-,,,,,
-থাপ্পড় দিবো কিন্তু,
-কেন থাপ্পড় দিবি কেন?
-খাটে সুতে পারিসনি?
-নাহ, তুই আবার রাগ করবি। তাই খাটে ঘুমোতে যাইনি আমি।
-আচ্ছা এখন কোথায় সুবি?
-এই তো মেঝেতে।
হাওয়া এবার চোখ বড় বড় করে রিফাতের দিকে তাকিয়ে আছে।
-তোকে আমি,
-কি
-তোকে আমি,,
-কি বলবি তো,
-খাটে গিয়ে সুয়ে পর গিয়ে।
-তাহলে তুই কোথায় ঘুমাবি?
-আমি গোসল করতে গেলাম। আমি আর ঘুমাইবো না ওকে।
-আচ্ছা, তাহলে গোসল করতে যা।
-হু
হওয়া গোসল করতে চলে যায়। এদিকে রিফাত খাটে সুয়ে পরেছে। রিফাত সুয়ে সুয়ে কান্না করতে থাকে। এক টুকরো চোখের জল মিলিয়ে হাজার কান্না ভেষে বেড়াচ্ছে রিফাতের চোখে। রিফাতের পুরনো দিনের কথাগুলো মনে পরে যাচ্ছে।
)-পাগলীটার সঙ্গে অনেক ঝগড়া করতাম আমি। কখনো বা পাগলীটা আমাকে মার লাগাতো। ওর জন্য তো আমি বিয়েতে রাজিছিলাম না। তবে ওর সাথে আমার বিয়ে যানতাম না। পাগলীটা আবার অন্যকাউকে ভালোবাসে যানতাম না তো কখনো। তাহলে লুকিয়ে প্রেম করেছে। আল্লার তুমি যার লাইগা আমারে বানাও নাই। তার মায়ায় বারবার ফেলোনা প্লিজ।)
রিফাত কথা গুলো বলে কান্না করতে থাকে। কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পরেছে।
রিফাত ছেলেটা খুব সহজসরল। যার কোনো বন্ধুছিলো না। প্রতেদিন কলেজের এককোনায় বসে থাকতো ছেলেটা। ডাইরিতে কি যেন লিখতো। একদিন হঠাৎ করে হাওয়ায় সঙ্গে রিফাতের দেখা। হাওয়া প্রায় লক্ষ্য করতো একটা ছেলে গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর ছেলেটা সব ছেলেদের থেকে আলাদা। তাই রিফাতের কাছে বন্ধুত্বের হাত বারিয়ে দিয়েছিলো হাওয়া। রিফাত না করতে আর পারেনি। দু'জনের খুনসুটির কোনো অভাব ছিলো না। আস্তে আস্তে রিফাত হাওয়ার প্রেমে পরে যায়। তবে কখনো বলতে পারেনি ভালোবাসি। হাওয়া অন্যএকটা ছেলেকে ভালোবাসে, কখনো ভাবতে পারেনি রিফাত।
(চলবে?)
এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০২ এক টুকরো চোখের জল! পর্ব-০২ Reviewed by গল্প প্রেমিক on 12:50 PM Rating: 5

No comments

হৃদয়স্পর্শী গল্প

হৃদয়স্পর্শী গল্প