সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৫

গল্পঃ (সুন্দর ভালোবাসা)
লেখকঃ #Asad_AF
(শেষপার্ঠ ৫+৬)
-
রাইসার জন্য চকলেট আনতে গেলাম।
মেয়েটা দিন দিন পিচ্চি হয়ে যাচ্ছে। চকলেট খেতে হবে কেন? নিজের বাচ্চা হলে কি করবে তখন। বেবিটাকে চকলেট খাওয়াবে না নিজে খাবে। আল্লাহ ভালো যানেন।
তবে রাইসার পাগলামি গুলো আমার ভালোই লাগে। চকলেট নিয়ে এসে রাইসার হাতে দিতেই। বললো।
-থান্কু বাবুটা।
-আর বলতে হবে না।
-কেন আমার বাবুটা কত্ত ভালো। আমার সব কথা শুনে।
-তাই না?
-হুম
-আর কত্তদিন পিচ্চি থাকবে বলো? আমাদের যখন একটা পিচ্চি বেবি হবে। তখন কি করবে?
-তখন কি করবো হুমমম,,
-বলো
-আমরা দুজনে চকলেট খাবো।😊😍
-ও তাই না।😣
-হ্যাঁ, এবার এসো তো খাবারটা খেয়ে নেও।😊
-রান্না করেছো?
-হুম
-কেমন হবে কে যানে।😑। খেতে পারবো তো?
-কান্না করে দিবো কিন্তু। আয়ায়ায়ায়া😭
-মাইরালা, 😙কান্না করছো কেন?,। আচ্ছা কি রান্না করেছো রুমে নিয়ে আসো।
-আচ্ছা
রাইসা। খাবারটা রুমে নিয়ে আসলো। বললো খেয়ে নাও।😒
-রাগ করেছো?
-না😒
-আচ্ছা আমাকে খাইয়ে দেও।
-তোমাকে খাইয়ে দিবো? (মিষ্টি কন্ঠে)
-হুম
রাইসা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
-কেমন হয়েছে?
-দারুণ....।
-সত্যি বলছো?
-হুম,
রাইসা আমাকে খাইয়ে দেওয়ার পর। ওকে আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
-জানু শুনো না। (ছেলে)
-বলো
-আমাকে একটু আদর দেও না। (ছেলে)
-একদম না।
-কেন? তুমি আমার বউ না বুঝি?
-হ্যাঁ
-তো আদর দেও plz...
-না
-ওকে দিতে হবে না। (রাগ করে)
-বাবু রাগ করেছো?
-হুম অনেক রাগ করেছি।
-তুমি ওই পচা কথা বলো কেন বলো তো।
আমার একদম ভালো লাগে না।
-হুম তোমার তো ভালো কথা গুলো ভালো লাগে না।
কিছুক্ষণ পর শশুর বাড়ীর লোকজন আসলো। সন্ধ্যার আগে আগে রওনা দিলাম।
শশুরবাড়ি গিয়ে। অনেক জামাই আদর করলো সবাই। রাইসার বান্ধবীরা বলছে।
কালকে T20 কেমন হলো। দুলাভাই। আমি খুব কষ্টে বললাম, ভালো।😭
আর মনে মনে বললাম। আমার এই কপালে মনে হয় বউয়ের আদর নেই।
রাত্রে রাইসা আমার বুকে মাথা রেখে সুয়ে আছে। পাগলী একটা।
আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
পাগলীটা কবে যে পিচ্চি থেকে বড় হবে কে যানে? শুধু বয়সে বড় হয়েছে। মনটা এখনো বাচ্চাদের মতো। রাইসার মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে আছি।
ভোরবেলায় আমি উঠে রাইসাকে। ডাক দিচ্ছি।
-ওই রাইসা শুনো না।
-........
রাইসা কিছু বলছে না। মনে হয় গভীর ঘুমে আছে। কিছুক্ষণ পর আবার বললাম।
-জানু
-হুমমমমমম
-ওঠো plz...
-হমমমমম
এই আর উঠবে না দেখছি। এতো অলস।
কালকে আবার কিভাবে উঠেছিলো কে যানে? আবার বলে উঠলাম।
-জানু আদর আদর
-ওই ফাজিল। (ঘুমের মধ্যে)
আবার আদর বলে যেমনি উঠেছি। সঙ্গে সঙ্গে রাইসা আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে। আমার উপর চড়ে বসেছে। রাইসা আমাকে বলতাছে আদর নিবে না।
আমি বললাম হুম।
(মেয়ে) তোমাকে দুষ্টুমি করা দেখাচ্ছি।
তারপর রাইসা আমার বুকে কিল ঘুশি দিতে লাগলো।
রাইসা আমার কপালে ছোট্ট করে চুমু দিয়ে আমার উপর থেকে নেমে গেলো। আমি বলে উঠলাম।
-আমি নামাজ পড়তে যাবো যে।
-আচ্ছা এই কথা।
-হুম
-তোমাদের এখানে মসজিদ কোথায়?
রাইসা আমাকে মিষ্টি করে বললো। আজ আর মসজিদে যেতে হবে না। আমরা দুজনে ঘরে নামাজটা পড়ে নিই। আমি বললাম ঠিক আছে জানু।
আমরা দুজনে ওজু করে এসে। নামাজটা পড়ে নিলাম। জায়নামাজটা রাইসা রেখে আসলো। রুমে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে আমি রাইসাকে জরিয়ে ধরলাম।
-ওই কি শুরু করলে আবার। (মেয়ে)
-কি আবার শুরু করলাম। আমার বউটাকে একটু আদর করছি।
রাইসা আমার কাছ থেকে নিজেকে ছেরে নিয়ে বললো। এরকম করলে কিন্তু তোমার সঙ্গে আঁড়ি। কথা বলবো না আর।
আমি বললাম। জানু এরকম করে বলো না। আচ্ছা ঠিক আছে আর আদর চাইবো না।তুমি খুব রাগ করছো না?
-হুম।
রাইসা সুয়ে পড়লো। আমি রাইসাকে আবার বুকে জরিয়ে নিলাম।
এদিকে রাইসা মনে মনে ভাবছে। পাগল একটা। শুধু আদরের ধান্দা। সব হবে বাবু কয়েকদিন পর।
আমি তোমার সঙ্গে কয়েকদিন মজা করলাম। দেখলাম তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো। ছেলেটা একদম পাগল। আমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে। আমার সব কথা শুনে। আমি একটু অভিমান করলে। অভিমান ভাঙ্গানোর জন্য কতই না কি করে। তবে সত্যি বলতে আমি এই পাগলটাকে অনেক ভালোবাসি।
আর এদিকে। ছেলেটা ভাবছে।
পাগলী একটা আর কতদিন বাচ্চা থেকে যাবে কে যানে। কয়েকদিন পর তো একটা পিচ্চির আম্মু হবে। তখন কি করবে কে যানে। ও হ্যাঁ রাইসা তো বলেছিলো দুজনে বসে চকলেট খাবে।
রাইসা আমার বুকে মাথা দিয়ে আছে। এভাবেই কেটে গেলো ভোরবেলা।
সকালে আমি রাইসাকে বুকে নিয়ে সুয়ে আছি। সেই সময়। রাইসার পিচ্চি ভাই মেহেদী আর রাইসার বান্ধবী আমাদের ঘরে আসে।
.
.
রাইসার পিচ্ছি ভাই। মেহেদী আমার কাছে দৈড়ে আসে আমি ওকে কোলে তুলে নেই।
একদম পিচ্চি তো তাই। আর রাইসার বান্ধবী দুইজন। আমাকে বলে উঠে।
দুলাভাই ঘুম কেমন হলো। আমি বলে উঠলাম। অনেক ভালো হয়েছে। রাইসার দিকে তাকিয়ে দেখি। একদম মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
আমি রাইসার বান্ধবীদের উদ্দেশ্য করে বলি। দেখো তোমার বান্ধবী। কতটা লজ্জা পেয়েছে।
রাইসার বান্ধবী বললো। লজ্জা তো পাবেই। দুলাভাই। দুলাভাই। আজকে চলেন ঘুরতে যাবো। আমি বললাম আচ্ছা যাওয়া যাবে। কিন্তু তোমাদের দুজনের নামটাই তো যানা হলো না। তোমাদের নাম কি। রাইসার এক বান্ধবী বলে উঠলো আমার নাম। নীলিমা। আরেকজন বলে উঠলো। নীলা।
-ও আচ্ছা তোমার তো এক রকম নাম দেখছি।
দুজন বললো হ্যাঁ দুলাভাই। আপনারা এখন আসেন। সকালের নাস্তা করবেন।
আমি আর রাইসা সকালের নাস্তা করে এসে। আমি মেহেদী নীলাদ্রি নিলা। আমার মিষ্টি বউ রাইসা। সকলে ঘুরতে বের হলাম।
To be continue......
সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৫ সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৫ Reviewed by গল্প প্রেমিক on 12:42 PM Rating: 5

No comments

হৃদয়স্পর্শী গল্প

হৃদয়স্পর্শী গল্প