সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৪
গল্পঃ (সুন্দর ভালোবাসা)
(পার্ঠ_৪)
_
বউকে ঘরে রেখে, দিলাম এক দৈর😁
বাইরে এসে ফেসবুকে ডুকলাম। ফোন টিপতে টিপতে অনেক টাইম কেঁটে গেছে।
ভাবি আপিরা আমাকে বাসর ঘরে জোর করে ডুকিয়ে দিচ্ছে।
আমি ঘরে ডুকতেই রাইসা আমাকে সালাম করে। খাটে গিয়ে বসলো। আমি রাইসার কাছে গিয়ে বসলাম। মেয়েটার লজ্জায় চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। আমি ঘোমটা সারাতেই ওপাশ ঘুরে গেলো।
-লজ্জা পেয়েছো? (ছেলে)
-হুম
-এদিকে তাকাও...।
-আচ্ছা (মেয়ে)
-দেখি দেখি আমার বউটাকে...।
- কি দেখবে,?
-আমার বউটাকে দেখবো তো...।
-আচ্ছা পরে দেখো। আমার ঘুম পাচ্ছে। (ছেলে)
-ওই বলো কি?
-কেন কি বললাম (অভিমানী কন্ঠে)
-কিছু না। আচ্ছা তোমার খুব ঘুম পাচ্ছে?
-হুম
-ওকে সুয়ে পরো আমি ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি।
-আচ্ছা
-আচ্ছা রাইসা তোমার কোন স্বপ্ন ছিলো না আমাদের এই রাতটাকে নিয়ে?
-ছিলো তো।
-কি স্বপ্ন ছিলো শুনি?(ছেলে)
-আমার এই দুষ্টু বরটার কোলে ঘুমিয়ে পড়বো।
-আর কিছু না?
-হুম ছিলো তো। অনেক গল্প পড়েছি তো। গল্প গুলোতে মেয়ে ছেলেটাকে সালাম করে। তারপর গল্প করে দুজনে ঘুমিয়ে পরে। হিহিহি তাই না বলো।
-হুম😨
বুজতে পাচ্ছি মেয়েটা বড় হয়ে গেলেও মনটা বাচ্চার মতো হয়ে আছে।
কি করবো কপাল আমার।
পাগলীটাকে ঘুম পারিয়ে দিচ্ছি।
আর ও আমার বুকে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে।
-বাবু একটা কথা বলবো? (মেয়ে)
-হুম বলো
-আমার না অনেক অস্থি হচ্ছে। (মেয়ে)
-ওহ কাপড় পালটাবে?
-হুম। তুমি বাইরে যাও plz...
-আমি তোমার জামাই তো। সমস্যা নেই আমি এদিকে ঘুরে থাকছি তুমি কাপড় বদলাতে পারো।
-না তা হবে না। তুমি বাইরে যাও। হুম
-জানু শুনো এখন যদি বাইরে যাই তাহলে তো সকলে হাঁসাহাঁসি করবে।
-আচ্ছা তুমি ওদিকে ঘুরে থাকো।
-আচ্ছা
-দেখবে না কিন্তু।
-হুম
পাগলী একটা কাপড় পালটানোর পর। রাইসাকে আরো সুন্দর লাগছে।
-বাহ আমার বউটাতো অনেক সুন্দরী।
-কি যে বলো না।
-সত্যি বললেই দোষ? (ছেলে)
-আর সত্যি বলতে হবে না। আমাকে ঘুম পারিয়ে দেও। (অভিমানী কন্ঠে)
-আচ্ছা আমার বুকে এসো।
-হুম
রাইসা আবার, আমার বুকে গুটিশুটি হয়ে সুয়ে পড়লো। আর আমি ওর চুলে বেলি কাটিয়ে দিচ্ছি। আর ও ওর কোমল হাত দিয়ে আমাকে জরিয়ে শুয়ে আছে।
পাগলীটাকে ঘুম পারিয়ে দিতে দিতে কখন যে ফজর হয়ে গেছে। নিজেও যানি না।
ফজরের আজান দিচ্ছে। আমি পানজাবিটা পরবো সেই সময়,, রাইসাকে দেখি। ঘুম থেকে উঠেছে........
-আরে আরে এতো ফজরে উঠলে কেন?
-আমি গোসল করবো না? হিহিহি😊
-গোসল করবে কেন?😒 (ছেলে)
-আমি তো যানি বাসর রাতের ফজরে গোসল করে নিতে হয়। আমি তো গল্পে পড়েছি। বাসর রাতের ফজরে মেয়েরা গোসল করে।
-ওকে তুমি গোসল করে নিও। আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসি।
-আচ্ছা যাও। আর শুনো।
-বলো
-আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবা।
-এতো ফজরে চকলেটের দোকান কোথায় পাবো শুনি?
-ওহ সরি বাবুটা। দোকান খুললে নিয়ে এসো।
-ওকে নিয়ে আসবো।
এই মেয়েটা এমন কেন বুঝি না।
মাঝে মাঝে এমন এমন পাগলামি শুরু করে। তবে সত্যি বলতে ওর পাগলামি গুলো আমার ভালোই লাগে।
মনের ভিতর অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।
ওর আবদার গুলো পূরণ না করলে আবার আমার উপর অনেক রাগ করে।
তবে মেয়েটার আবদার গুলো অনেক ছোট্ট ছোট্ট।
আজ আবার আবদার করেছে চকলেট নিয়ে আসবা।
রাইসা গল্প পড়তে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু এতোটা অবুঝ কেন? বুঝি না।
যাই নামাজটা পড়ে আসি।
ওজু করে মসজিদে গেলাম। নামাজটা পরে এসে। রুমে এসে ঢুকলাম। রাইসাকে দেখি গোসল করে। ঘুমিয়ে পরেছে। আর বাচ্চাদের মতো সুয়ে পড়েছে। আমি ওর দিখে এক দিষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
নিজের ঘোর কাটলো। আমি রাইসার কাছে সুয়ে পরলাম। ঘুম পাচ্ছে না। তাই ফেসবুকে ঢুকলাম। অনেকদিন গল্প দেওয়া হইনি। আমি আবার ফেসবুকে গল্প লিখি।
অনেকে মেসেজ দিয়েছে ভাই বউ পেয়ে আমাদের ভুলে গেলে নাকি।😀
আমি মুচকি মুচকি হাসছি আর ফেসবুকিং করছি। এমন সময় বুকে ভারি অনুভব করলাম। তাকিয়ে দেখি রাইসা আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
আমি ফোনটা রেখে রাইসাকে জরিয়ে নিলাম বুকে।
.
.
সকালে হাতে গরম গরম🙆 অনুভব করলাম। তাকিয়ে দেখি রাইসা আমার হাতের আঙ্গুলে চায়ের কাপ রেখে দিয়েছে।
-উফফফ এই তুমি কি করছো এসব? (ছেলে)
-আহারে মহারাজের দেখছি ঘুম ভেঙ্গেছে।😇
-ঘুম তো ভেঙেছে। তবে তোমাকে দেখাচ্ছি দাঁড়াও।
-চা টা আগে খেয়ে নেও😊
-তুমি চা বানাতে যানো?😒
-হুম যানি।
-আমি তো যানতামি না।
-আরে অনেক কিছু বানাতে যানি।😊
-আমার তো মনে হয় না।
-ওই কি বললে তুমি।
-কিছু না।
-আমি চা বানাতে পারি, রান্না করতে পারি সবকিছু পারি বুঝলে। আম্মু আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে।
-সব কিছু বানাতে যানো?
-হুম
-শুধু আদর দিতে যানো না?
-আবার সেই পচা কথা শুরু করছো।😡😠
-আদর আবার পচা কথা নাকি?😒😢
-হ্যাঁ পচা কথা।
-বাচ্চা নিবা কিভাবে?
-বিয়ে করেছি বাচ্চা এমনিতেই হয়ে যাবে।
-ও মোর আল্লাহ
-আমাদের পার্শের বাড়ির ভাবিরো তো বিয়ের পর। কিউট একটা বাচ্চা হইছে। আরো অনেকের তো।😊
-ঠিক আছে।😟
মনে মনে বলতাছি,, প্রভু তুমি এই পাগলটাকে কি দিয়া বানাইছো। সব কিছু যানে শুধু ওইটাই যানে না।🙈😟😭
-আচ্ছা বাবু আমার চকলেট নিয়ে আসবা কখন? (মেয়ে)
-পিচ্চি একটা।😒
-আমি পিচ্চি না। দেখছো না আমি কতত বড় হয়ে গেছি।😊
-তা তো দেখতেই পাচ্ছি। শুধু গাধাই রয়ে গেছো।
-কি বললা
-কিছু না।
-আচ্ছা চা টা খেয়ে নেও।
আরেকটু পর সকালের নাস্তা করার জন্য ডাকতে আসবো।
নাস্তা খেয়ে আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবা।
-ওকে
-আর শুনো আমাকে পাপ্পি দেও......😊
- পাপ্পি কেন?
-তুমি কিছুই যানো না। দেখছি। গল্পে পড়েছি জামাই তার বউকে পাপ্পি দেয়।
-ও আচ্ছা।
-হুম এবার দেও।
-ওকে
পাগলীটাকে আলতো করে চুম্বন দিলাম।
ওরে বাবা লজ্জা পেয়েছে দেখছি।
আর কি যানেন। রাইসা যে গল্প গুলো পড়ে সে গল্প গুলো আমার লিখা।
তবে রাইসা যানে না। ওই গল্প গুলো আমার লিখা।
এবার আদরের কথাটাও লিখে দিবো😋😒😍
সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৪
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
12:41 PM
Rating:
No comments