সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৩

গল্পঃ (সুন্দর ভালোবাসা)
লেখকঃ #Asad_AF
(পার্ঠ_৩+৪)
__
আমি রাইসাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলাম।
-আম্মু আম্মু
-ওই কি হয়েছে চেচাচ্ছিস কেন?
-দেখ তো কাকে নিয়ে আসছি।
-কই দেখি দেখি।
-এবার কি হলো আম্মু (আমি)
-এইটাতো বউমা তাই না?
-ঠিকি ধরেছো। ওকে বেশি বেশি করে খাইয়ে বাসায় দিয়ে পাটাবে আম্মু।
যেন মটু গলু হয়ে যায়। কাল থেকে না খেয়ে আছে।
-কি বলিস কি তুই,,
-হ্যাঁ
°এদিকে দেখতাছি আমার পাগলীটা রেগে গিয়েছে। আম্মু আমাদের রুমে যেতে বললো। আমি রাইসাকে রুমে নিয়ে আসলাম।
-এই যে এটা আমার রুম বুঝলে।
-বুঝেছি,, শুধু তোমার আমার না বুঝি।
-তুমি আমার বউ হবা আর তোমার হবেনা তা কি হয় বলো। এই রুমটা তো তোমারি।
-বুঝছি।
-কি বুঝছো।
-আম্মুকে ওগুলো কি বললা।
-কি বললাম😁
-বেশি বেশি করে খাইয়ে পাটাবা,, কেন বললে। আম্মু কি মনে করলো কে যানে?
-আরে কিছু মনে করবে না।
-সত্যি বলছো?
-হুম সত্যি,, আচ্ছা আমাদের রুমটা তোমার কেমন লাগছে?😅(ছেলে)
-একদম পচা,, কি করে রাখছো সব।
গুছিয়ে রাখতে পারো না।
-না পারি না।
-কেন?
-তুমি তো আছো।
-কেন আমি কি করবো?
-তুমি আমার অগোছালো জীবনটা গুছিয়ে দিবে।
-পারবো না।😒
-কেন?
-আমি শুধু গুছিয়ে দিলেই হবে বলো।
তুমি আমাকে help করবা না?
-হুম করবো তো...।(ছেলে)
আম্মু খাবার নিয়ে আসলো।
-এই যে বউমা শুনো(আম্মু)
রাইসাঃ বলেন আম্মা (ধির কন্ঠে)
-আমার এই অপদার্থ ছেলেটাকে একটু শাসন করবা বুঝলে।
-হুম
-আম্মু ওর সামনে কি বলছো এসব।
-যা বলছি ঠিক বলছি,, বউমা শুনো,, দরকার হলে এই অপদার্থটাকে ঠাডাবে বুঝলে। "বলে আম্মু বাইরে চলে গেলো।
আম্মু যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাইসা মুচকি মুচকি হেঁসেই যাচ্ছে।
আর আমি, এদিকে চুপটি করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
-ওই কি দেখছো এভাবে।
-কিছু না
-আম্মু কি বলে গেলো দেখলে তো?
-দেখছি😒 আমার বদনাম করে গেলো(ছেলে)
-তোমাকে শাসন করতে বলে গেছে।
-হ্যাঁ, আমাকে কি শাসন করবে শুনি?
-হিহিহিহি যানি না তবে কি শাসন করবো তুমি বলে দেও।😊
-আমাকে ভালোবাসতে হবে।
-হুম ভালোবাসবো তো।😊 একটা কথা বলবো।(মেয়ে)
-বলো (ছেলে)
-আমার না খুব ক্ষিদে লেগেছে।
-ওহ সরি বাবু,, ভুলে গেছিলাম।।
-তোমাকে খাইয়ে দিবো। (ছেলে)
-হ্যাঁ,, শুধু আজ না বিয়ের পরে প্রতেদিন খাইয়ে দিতে হবে নয়তো খাবো না হুম (অভিমানী কন্ঠে)
-তাই বুঝি
-হুম
-আচ্ছা হা করো এবার।
-অকে হা (মেয়ে)
-উফফফ আমার হাতে কামরে দিলে কেন?
-সরি আর কামরে দিবো না সত্যি সরি সরি
-আর সরি বলতে হবে না। পাগলী মেয়ে একটা এবার হা করো।
পাগলামি করতাছে মেয়েটা। আর আমি ওকে খাইয়ে দিচ্ছি।
-বাবু শুনো? (মেয়ে)
-হুম বলো।
-আমাকে সারাজীবন এভাবে খাইয়ে দিবে তো?
-হ্যাঁ দিবো তো।
-প্রোমিজ😢
-প্রোমিজ
-এবার আমাকে বাসায় রেখে আসো।
-এখনি চলে যাবে?
-হুম,
-আচ্ছা,, বিয়ের পর তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবো না। আমার বউ করে রেখে দিবো।😉
-দূর ফাজিল কি যে বোলো না।😊
-কি বললাম আবার।
-কিছু না চলো এবার।
আমি রাইসাকে ওর বাসায় রেখে আসার জন্য রওনা দিলাম।
এভাবে অনেকটাদিন কেঁটে গেলো আমাদের।
কালকে আমাদের বিয়ে। রাইসাকে ফোন দিচ্ছি রিসিভ করতেছে না। হাতে মেহেদী লাগাচ্ছে হয়তো।
রাত ১২ টার দিকে ফোন দিয়েছে।।
-hallo
-এতোক্ষণে ফোন রিসিভ করার সময় হলো তোমার?😒
-সরি,
-আর সরি বলতে হবে না। কি করতেছিলে বলো।
-হাতে মেহেদী লাগাচ্ছিলাম।😊
-এতোক্ষণ লাগে?😒
-রাগ করছো আমার উপর?😢
-না😒
-সরি বলছি তো।
-হইছে আর সরি বলতে হবে না।
রাত্রের খাবার খাইছো?
-হ্যাঁ তুমি?
-এখনো না।
-এতো রাত্র হয়ে গেছে এখনো খাওনাই?
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরো বলছি।
-যা হুকুম করবেন মহারানী। তাহলে কালকে আমার বউ হয়ে যাচ্ছো তাহলে?
-যাহহ দুষ্টু
-কালকে দেখাবো আমি কতোটা দুষ্টু।
-ওকে দেখা যাবে এবার রাখো। শুভ্র রাত্রি
-শুভ্র রাত্রি
খাবার খেয়ে এসে এক ঘুম দিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেক কান্ড হলো।।
বিয়ে পড়ানো শেষ হওয়ার পর। যখন আমাদের বিদায় দিবে। রাইসা অনেক কান্নাকাটি করছে। সে সময় রাইসার চোখের জল দেখে কেন যানি। আমার চোখে জল চলে এসেছে।
বিয়ের গাড়িতে উঠলাম আমরা,, রাইসা কান্না করেই যাচ্ছে। আমি শান্তনা দিতে চাইলেও পাচ্ছি না।
এদিকে বাসায় এসে গেড আটকিয়ে ধরেছে।
টাকা ছারা নাকি ডুকতে দিবে না। পিচ্চি গুলো ফাজিল একেকটা। টাকা নেওয়া পর ওরা আবার বলতাছে।
বউকে কোলে করে রুমে নিয়ে যেতে হবে।
এবার তো আমার হাত পাঁ কাঁপতে লেগেছে।😩
যদি নিয়ে যেতে যেতে পরে যাই😭
তাহলে তো আমার মানসম্মান কিছুই থাকবে না। আমি অনেক না না করলেও ওরা আমার কথা শুনলো না।
শেষে বউকে কোলে তুলে নিলাম। রাইসা লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকিয়ে রাখছে।
ওর আবার কি,, যা দেখছে তো আমার।😒
আস্তে আস্তে নিয়ে যাচ্ছি😌 যেন ভুল করেও না পরে যাই।😌
অবশেষে বাসর ঘরে পৈচ্ছে গেলাম।
কি সান্তি বাবারে বাবা।
বউকে ঘরে রেখেই বাইরে দিলাম এক দৈড়😁
To be continue........
_________________________
সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৩ সুন্দর ভালোবাসা! পর্ব-০৩ Reviewed by গল্প প্রেমিক on 12:40 PM Rating: 5

No comments

হৃদয়স্পর্শী গল্প

হৃদয়স্পর্শী গল্প