দুষ্টু মিষ্টি প্রেম! পর্ব-০২

পর্ব-০২
-আমারও সেম। গল্প পোস্ট করেছি Apv করো।
-আগে বললেন।
-ওই তুই আমার পোস্ট Apv করবি নয়তো।
-নয়তো কি?
-মার লাগাবো।
-আরে আজব তো। আপনি এমন কেন বলেন তো।
-কেমন।
-রেগে রেগে কথা বলেন কেন? একটু মিষ্টি ভাবে কথা বলতে পারেন না?
-ওই আমি তোর কে হ্যাঁ। যে মিষ্টি ভাবে কথা বলবো।
-ওহ হ্যাঁ, কেউ না তো।
-আজকে অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। নামাজ পড়ে এসে। ফোনটা হাতে নিয়েই দেখি। লেখিকা মেডামের মেসেজ। কি বলেছে তা তো আপনারা দেখলেনি।
সকালের নাস্তা খেয়ে। কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজ বছরের প্রথম দিন।
আমার মানিবেগ টা কোথায় গেলো ওহ হ্যাঁ ওই তো। আর ঘরিটা হাতে পড়ে নিলাম। চুলের একটু স্টাইল করলাম। বাহ ভালোই লাগছে।
এবার কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। সামনে আমার বন্ধু রাইসুল। দুজনে এক সঙ্গে কলেজে যাচ্ছি।
কলেজের সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নতুন মনে হয়। দেখতে একদম হেব্বি। চখ গুলো বড় বড়। সব মিলিয়ে একদম বাচ্চা টাইপের কারো জন্য হয়তো। অপেক্ষা করছে।
-ওই দেখ মেয়েটা দেখতে হেব্বি না?(রাইসুল)
-হ্যাঁ দেখলাম অনেক সুন্দরী মেয়েটা।
-চল কথা বলি।
-আরে কি যে বলছিস এসব ধান্দা বাদ দে।
-তোর সঙ্গে হেব্বি মানাবে।
-আরে না।
-কি না
-কিছু না। চল Class A যাই।
আমরা দুজনে কলেজে ডুকলাম। পিছন ফরে দেখলাম মেয়েটা তার বান্ধবীদের জন্য অপেক্ষা করছিলো। বান্ধবীরা আসার পর। কলেজে তারাও ডুকেছে।
বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে। সব গুলো Class করার পর বাসায় এসে। হাত মুখ ধুয়ে।
রুমে এসে দেখলাম আম্মু টেবিলে খাবার সাজিয়ে রাখেছে।
খাবার খেয়ে। দিলাম এক ঘুম। বিকেলের দিকে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে।
ওপাশ থেকে বলে উঠলো।
-হ্যালো
-জ্বী কে বলছেন।
-আমি
-কে আপনি?
-আমি রাইসা
-ওহ আচ্ছা
-কতক্ষণ থেকে পোস্ট করেছি। Apv করো না কেন?
-সরি করতাছি একটু অপেক্ষা করো।
-হুম তারাতাড়ি।
পোস্ট Apv করার পর নিজে থেকে লেখিকা মেডামকে মেসেজ দিলাম।
-পোস্ট Apv করে দিয়েছি।
-ধন্যবাদ
-আজকে এতো নরম ভাবে কথা বলছেন যে।
-আমার মন চাইছো তাই। তোর কি বল।
-আরে বাবারে বাবা। লেখিকা মেডামের দেখছি অনেক রাগ।
-ওই আমার রাগের কি দেখলি। আর আমাকে একদম মেডাম বলে ডাকবি না ওকে।
-তাহলে কি বলে ডাকবো শুনি। আচ্ছা রাক্ষসী বলে ডাকি। আপনার সঙ্গে বেশ বানাবে নামটা।
-ওই কি বললি। আমি রাক্ষসী না। আমাকে কি তোর রাক্ষসী মনে হয়। তোকে কাছে পেলে না। অনেক মার দিতাম।
-হা হা তাই। রাক্ষসী মেডাম দেখছি ভিষণ রেগে গেছে।
-ওই আমার একদম রাগ নেই ওকে।
-তাই আপনার রাগ নেই।
-হ্যাঁ নেই।
-তাহলে রাক্ষসী বলে ডাকি।
-ওই আবার। তোকে গিলে খেতে ইচ্ছে করছে।
-ওই তো রাক্ষসীর রুপ বের হতে লেগেছে।
-তোকে না।
-কি
-কিছু না। অনেক রাগ উঠছে তোর উপর।
-তাই। কিছুক্ষণ আগে বললেন যে। আমার রাগ নেই।
-না নেই। আর একদম আমার সাথে কথা বলবি না। নয়তো তোর খবর আছে।
-আচ্ছা কথা বলবো না।
-হুম
কিছুক্ষণ পর আবার লেখিকা রাক্ষসী।👻 আমাকে নিজে থেকেই মেসেজ দিয়েছে।
-ওই তুই আমার গল্প পড়িস না কেন?
-পড়ি তো।
-মিথ্যা বলবি না একদম।
-আরে সত্যি বলছি।
-তাহলে কমেন্ট করিস না কেন?
-চুপটি করে পড়ি তো তাই।
-কেমন লাগে আমার গল্প গুলো।
-ভালোই তবে গল্প পড়ে মনে হয় না। এই রাক্ষসীটা এতোটা? রাক্ষসী।
-আচ্ছা তাই।
-হুম
-আচ্ছা তোর বাসা কি সত্যি সাপাহার?(মেয়ে)
-হ্যাঁ
-ওই শোন আমি সাপাহার কলেজে ভর্তি হয়েছি কয়েকদিন হয়েছে।
-ওহ সত্যি।
-হ্যাঁ সত্যি।
-তাহলে একদিন দেখা করা যাক।(ছেলে)
-না
-কেন না?
-আমি বলছি তাই। একটা কাজ কর আমাকে চিনে নে। কালকে সকালে কলেজে আসবি। আমি আর আমার বান্ধবীরা পার্কে দাঁড়িয়ে থাকবো। আমাদের মধ্যে তুই আমাকে খুজে বের করবি ওকে। যদি খুজে বের করতে না পারিস। তোর খবর আছে বলে দিলাম।
-আচ্ছা এই ব্যপার। সমস্যা নেই। মানুষের ভিতরে রাক্ষসীদের খুব ভালো ভাবে চিনা যায়।
-ওই তুই আমাকে রাক্ষসী আর বলবি না।
-ওগো শুনছো তুমি কি রাগ করেছো?
-ওই সালা তোকে আমি।
-কি
-আমি তোর কবে থেকে ওগো হলাম।
-ওহ সরি।
-আমি তোর কেউ না ওকে। শুধু আমরা বন্ধু। আর কালকে সাকলের পার্কে আসবি। খুজে বের করতে না পারলে তোর খবর আছে।
আর জরীয়ে ধরবি।
-আজব তো জরীয়ে ধরবো কেন?
-আমি বলেছি তাই।
(চলবে?)