দুষ্টু মিষ্টি প্রেম! পর্ব-০৩ (শেষ পর্ব)
(শেষ পর্ব-৩)
-আজকে খুব সকালেই উঠেছি। নামাজ পড়ে। সকালের নাস্তা করার পর। কলেজে যাচ্ছি। মনের ভিতর একটা কেন যানি। ভয় কাজ করছে। আমি যদি লিখিকা রাক্ষসীটাকে না চিনতে পারি।
আরে যা হবার হবে। আগে যাই তো।
পার্কে এসেই দেখি তিনজন মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনজনি দেখতে অনেক সুন্দর বাট। তাদের মধ্যে তো আমাকে রাইসাকে খুজে বের করতে হবে। চিন্তা করলাম। এই তো সেই মেয়েটা যাকে কালকে দেখেছিলাম। আরে নাহ এটা না। মেয়েটা দেখতে তো অনেক নরম এই মেয়েটা রাইসা না। এবার মাঝখানের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম। হ্যাঁ এই মেয়েটাই হয়তো রাইসা।
-তিন নম্বার মেয়েটা দেখতে বেশ ভালো বাট। হিরয়িনরা সব সময় মাঝখানে থাকে। আর দেখতেও ডাইনির মতো। এবার একটু মুচকি হেঁসে। মাঝখানের মেয়েটাকে গিয়ে জরীয়ে ধরলাম। আমি বলে উঠলাম। তুমি রাইসা না?
মেয়েটা কার্ঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি এবার ওকে ছেরে দিলাম। ৩ নম্বার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি। হেঁসেই যাচ্ছে। আরে আজব তো এতো হাঁসির কি আছে।
এবার প্রথম মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি। একবারে রেগে আগুন হয়ে গেছে। আর চখ দিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।
আমি মাঝখানের মেয়েটাকে বলে উঠলাম।
-রাইসা ওই মেয়েটা রেগে যাচ্ছে কেন?
মাঝখানের মেয়েটা মুচকি হেঁসে বললো।
-আমি রাইসা না। যে মেয়েটা রেগে যাচ্ছে ওইটা রাইসা।
এবার আমি কি করবো। কি বলবো
বুঝতে পাচ্ছি না। পুরাই আহামোক হয়ে গেছি। তিন নম্বর মেয়েটা হেঁসেই যাচ্ছে।
আর প্রথম মেয়েটা আমার দিকে মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমিও মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি। আর একবার করে। চখ নামিয়ে নিচ্ছি। এবার প্রথম মেয়েটাকে আমি জরীয়ে ধরলাম খুব শক্ত করে।
-ওই কি করছেনটা কি ছারুন বলছি। (রাইসা)
-সরি
(জরীয়ে ধরে আছি।)
-সরি কিসের জন্য। (রাইসা)
-আমি যানতাম নাকি আমার বাবুটা এতোটা কিউট আর বাচ্চাদের মতো দেখতে।
-তাই
-হুম তাই।
আমি রাইসাকে খুব শক্ত করে জরীয়ে ধরে আছি। রাইসার দুজন বান্ধবীদের দেখলাম তারা চলে গেলো।
আমি রাইসার চখের পানি গুলো মুছে দিয়ে বলে উঠলাম।
ওই পাগলী কান্না করিস কেন বল।
-কান্না করবো না। তুই আমাকে চিনতে পারলি না কেন? (বলেই আমার বুকে কিল-ঘুষি দিতে লাগলো। আমি মুচকি হেঁসে রাইসাকে জরীয়ে ধরলাম।
আমার রাক্ষসীটা তাহলে অনেক কষ্ট পেয়েছে না।
-হুম
-তোমার বান্ধবীকে না আরেকটু জরীয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে।
এবার রাইসা আমার দিকে বড় বড় চখ করে বললো।
-কি বললি তুই
-ওই তো আমার রাক্ষসীর রুপ বের হচ্ছে। হা হা পাগলী একটা।
-তুই আমাকে ভালোবাসিস? সত্যি বলবি।
-হ্যাঁ বাসি তো।
-তাহলে প্রমান দিতে হবে।
-আচ্ছা কি প্রমান দিতে হবে।
-তুই আমাকে ভালোবাসিস কিনা আমার তো সন্দেহ লাগে। আমাকে চিনতে পারলি না কেন?
-সরি ভুল হয়ে গেছে।
-না আমাকে প্রমান দে। আমাকে ভালোবাসিস। এই যে একটা বিলেট নিয়ে এসেছি হাত কাট।
-ওই কি বলছো এইসব?
-হ্যাঁ হাত কেটেই আমাকে প্রমান দে।
-এসব না করলেই কি হয় না।😅 আমার না রক্ত দেখলেই মাথা ঘুরে।
-যা বলছি তাই করতে পারলে ভাববো। তুই আমাকে ভালোবাসিস। নয়তো না। ওই যে বিলেট ধর।
-আমি বিলেটটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। রাইসা আমার সামনে দাঁড়িয়ে। পাঁচমিনিট কেটে গেলো। আমি দাঁড়িয়েই আছি বিলেটটা নিয়ে। রাইসা এবার পিছন ফিরে চলে যাচ্ছে। আমি চখ বন্ধ করে বিলেট দিয়ে হাতে দিলাম এক টান গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। রাইসা এবার পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে আমার হাত থেকে রক্ত বের হয়ে মাটিতে পরছে। তা দেখে রাইসা দৌরে আমার কাছে এসে। বলতে লাগলো। ওই কি করলে এইটা। আমি বললাম তাই এইসব করতে হবে বলো। রাইসার কিছুটা কাপর ছিরে আমার হাত বেন্ডেজ করে দিচ্ছে। আর আমি রাইসা দিকে তাকিয়ে আছি।
রাইসা কাপর দিয়ে বেন্ডেজ করে দেওয়া পর কান্না করতে করতে আমাকে জরীয়ে ধরলো। আমি উফফফ করে উঠলাম।
-কি হলো তোমার?
-হাতে খুব ব্যথ্যা পেলাম।
রাইসা আমাকে জরীয়ে ধরে আছে।
রাইসা বলে উঠলো।
-আমি বললাম তাই এমন করতে হবে বলো। (রাইসা)
(এবার আমি রাইসাকে শক্ত করে জরীয়ে ধরে বললাম।)
-হুম তোমার জন্য সব করতে পারি।
-তাই বলে হাত কাঁটতে হবে। এতোটা ভালোবাসো আমায়।
-হ্যাঁ তুমি প্রমান চাইলে। তাই তো এই ছোট্ট একটু প্রমান দিলাম।
এবার আমি রাইসার দুইচখের পানি গুলো মুছে দিলাম।
-উফফফ
-আবার ব্যথ্যা পেয়েছো তাই না?
-হ্যাঁ একটু ব্যথ্যা পেয়েছি। আর তোমাকে একটা সত্যি কথা বলবো?
-হ্যাঁ বলো।
-আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি।
-হুম আমিও খুব। (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)
-আর যানো ওই গুলো রক্ত না।
-মানে?
-এই গুলা রং হ হা। (হেঁসে)
-মানে কি।(রাইসা)
-আমি যানতাম তোমাকে যদি আমি না চিনতে পরি। তাহলে তুমি এমন কিছু আমাকে করতে বলবে।
-ওই কি তুই সত্যি হাত কাটিস নাই।
-হিহিহিহি হ্যাঁ
এবার রাইসা আমার হাতের বেন্ডেজ খুলে দেখে এগুলা রং। বেন্ডেজ করে দেওয়া সময় খিয়াল করি নি।
রইসা আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
-রাক্ষসীটা কি রাগ করেছে (বলতেই রাইসা নিছে পরে থাকা ইটের টুকরোটা হাতে নিয়েছে।
আমি বুঝতে পেরে গেলাম। কি করতে চাইছে রাইসা। এবার আমি বিলেট টা হাতে নিয়ে বললাম। দেখো তখন তো তোমাকে ধোকা দিলাম। এবার তোমার সামনে হাত কাঁটি।
এবার রাইসা দৌরে এসে। বিলেট টা আমার হাত থেকে নিয়ে। একটা ইটেল দিয়ে বিলেট টাকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে। আমাকে জরীয়ে ধরে কান্না করতে থাকলো।
-ইসসস রে পাগলীটা। এতো কান্না যে কোথায় পায় কে যানে।
রাইসা আমার বুকে কিল গুশি দিয়ে বলে উঠলো। এইসব কক্ষনো করতে যাবে না।
রাইসা আমার হাতে হাত রাখলো। আমি রাইসার হাত। খুব শক্ত করে ধরে বললাম। কক্ষোনো ছারবো না তোমার এই হাত।
-হুম এডমিন তাহলে খুব পাজি। দেখে তো বুঝতে পারায় যায় না হিহিহি(রাইসা)
-হুম। আর আমার লিখিকা মেডাম যে। মেসেনজারে যতটা রাক্ষসী বাস্তবে কিন্তু তার চেয়ে অনেক কিউট। বলেই রাইসাকে জরীয়ে ধরলাম। শুরু হয়ে গেলো।এডমিন/লেখিকার দুষ্টু মিষ্টি প্রেম।
সমাপ্ত
দুষ্টু মিষ্টি প্রেম! পর্ব-০৩ (শেষ পর্ব)
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
10:30 AM
Rating:
No comments