দুষ্টু মিষ্টি প্রেম! পর্ব-০১
-ওই হয়েছেটা কি রিকু দিয়েছি একসেপ্ট করেন।
এরকম একটা কমেন্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটার রিকু একসেপ্ট করলাম।
তারপর মেয়েটার আইডি রিভিউ করলাম দেখলাম উনি একজন লেখিকা।
আবার নিজের কাজে মন দিলাম। কিছুক্ষণ পর মেসেজের শব্দ দেখলাম মেয়েটা মেসেজ দিয়েছে।
-ওই হ্যালো।
-জ্বি বলুন।
-আপনার এতো অহংকার কিসের হ্যাঁ?
-মানে কি?
-কতক্ষণ থেকে আমার পোস্ট Approve হচ্ছে না কেন?
-সরি একটা কাজে ব্যাস্ত ছিলাম তাই apv করতে পারি নাই।😅
-আচ্ছা ঠিক আছে। এবার থেকে পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে Apv করবেন নয়তো। আপনাকে আমি।
-কি করবেন শুনি?
-কিছু না।
কি মেয়েরে বাবা। কি ডাইনি একটা। নিজে তো একজন লেকিকা তবুও কি ভাবে রেগে কথা বলে।
আমি আসাদ গল্প লিখার পাশাপাশি। ফেসবুক গল্পের গ্রুপে টুকটাক কাজ করি। আমি ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্র। (গল্পে শুধু)
পড়ালেখায় তেমন ভালো ছাত্র না।
কয়েকদিন পর আবার। সেই মেয়েটার মেসেজ দেখে চমকে উঠলাম।
-ওই যে আপনাকে কাছে পেলে না।
-মানে কি? কি করলাম আমি?
-আমার পোস্ট Apv হচ্ছে না কেন?
-সরি।
-সব সময় শুধু সরি বলেন কেন। বলেছিলাম না। আমি পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে Apv করবেন।
-সরি।
-আবার সরি।
-আপনি হয়তো যানেন না। আমাদের গ্রুপে কয়েকজন মডারেটর আছে। আর তাদের পড়ালেখার চাপে ফেসবুকে আসে না। তাই আমাকে একাই কাজ করতে হয়।
-ওহ আচ্ছা ভালো।
-এবার থেকে। গল্প পোস্ট করার পর, আমাকে একটা করে মেসেজ দিয়েন ওকে। পোস্ট Apv করে দিবো।
-আচ্ছা দিবো। আর শুনুন।
-হুম বলুন।
-আপনার পিক কি দেওয়া যাবে?
-সরি দিতে পারবো না।
-ওকে ওকে দিতে হবে না।
-হুম
এভাবেই লিখিকা আমাকে মেসেজ দেয় আর আমি তার পোস্ট Apv করে থাকি।
মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুধু করে দেয়।
কয়েকদিন ধরেই লেখিকার গল্প পড়ছি। বেস ভালোই গল্প লিখে।
তবে গল্প যেমন তার ব্যবহার। বাস্তবে তো একটা ডাইনি। আরে না ডাইনি বললে কম হবে। একটা রাক্ষসী।
আবার মেসেজ দেয়েছে দেখি লেখিকা আবার কি মেসেজ দিয়েছে।
-ওই তুই আমার পোস্ট Apv, করবি?
-আরে তুই করে কেন বলছেন?
-আগে বল পোস্ট Apv করবি কি না।
-আচ্ছা করতেছি।
-হুম
-করেছি।
-গুড বয়।
-......
-তুই একটা হাবলা।
-আরে আরে আমাকে হাবলা বলছেন কেন।
আর আমাকে তুই করে বলবেন না।
-তাহলে তোকে কি করে বলবো?
-আমার নাম আছে। আসাদ, আসাদ বুঝছেন। আসাদ বলতে পারেন।
-আমি তোকে তুই করে বলবো। আসাদ বলতে পারবো না ওকে।
-আরে আজব তো। আপনি আমাকে চিনেন না যানেন না। আর তুই করে বলবেন এটা আবার কেমন কথা?
-আমার ইচ্ছে।
কি আজব মেয়েরে বাবা আমাকে চিনে না যানে না আর তুই করে বলছে।
আমি নরম ছেলে বটে। তাই বলে হাবলা বলে অপমান করবে।
এটা কিন্তু ওই বদমাইস লেখিকা ঠিক করলো না।
-ওই আপনার পিক দেন।(মেয়ে)
-না দিতে পারবো না। (ছেলে)
-না দিলে আপনাকে আমি।
-কি করবেন শুনি?
-মার লাগাবো।
-হা হা আমাকে কিভাবে মার লাগাবেন। আমাকে তো আপনি চিনেন না।
-আমি যা বলি তাই করি ওকে। বেশি কথা না বলে। পিক দে বলছি।
-সরি লেখিকা মেডাম আমি আপনাকে পিক দিতে পারবো না।
-দিবি কিনা বল
-দিবো না ওকে। আগে আপনার দেন।
-না আমি দিবো না। আমি অনেক কালো।
-ওহ আচ্ছা আমিও কালো। তাই দিচ্ছি না।
-আচ্ছা ফোন নম্বার দে।
-না দিবো না
-দিবি কিনা বল
-আচ্ছা দিচ্ছি ০১৭****
-ফোন দিচ্ছি রিসিভ করবি।
-আচ্ছা।
মেয়েটা আমাকে কল দিয়েছে। মিষ্টি সুরে বলে উঠলো।
হ্যালো। কন্ঠ শুনে। একদম মনে হচ্ছে না। মেয়েটা রাগি।
শুধু হ্যালো হ্যালো করেই গেলো।
ফোন কেটে দিলাম আমি।
আবার মেসেজ দিয়েছে।
-ওই কল কেটে দিলি কেন। তোকে না।
-কি
-মার লাগাতে ইচ্ছে করছে।
-সরি আমি অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলি না।
-ওই আমি অপরিচিত?
-তা নয়তো কি?
-আচ্ছা আমি তোর সঙ্গে কতোদিন ধরে কথা বলছি বলতে পারবি?
-এই তো এক মাস হয়েছে।
-তাহলে আমরা অপরিচিত কিভাবে শুনি?
-কি যে বলেন। আমি শুধু যানি আপনার নাম রাইসা। আপনার বাসা কোথায়। আপনি আমার চেয়ে বড় কিনা। কিছুই তো যানি না।
তবে আপনি আমার অপরিচিত নয়তো কি হ্যাঁ?
-ওরে সালা। তোর ধান্দা তো খুব খরাপ। আচ্ছা তোর বাসা কোথায় বল।
-বলবো না।
-বলবি না তো।
-আচ্ছা বলছি।
-হুম বল
-আগে আপনি বলেন।
-না তুই আগে বল।
-আমার রাজশাহী, নওগাঁ, সাপাহার।
-মানে?
-মানে আবার কি? আপনার বলেন।
-আমারও সেম।
(চলবে?)
এরকম একটা কমেন্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটার রিকু একসেপ্ট করলাম।
তারপর মেয়েটার আইডি রিভিউ করলাম দেখলাম উনি একজন লেখিকা।
আবার নিজের কাজে মন দিলাম। কিছুক্ষণ পর মেসেজের শব্দ দেখলাম মেয়েটা মেসেজ দিয়েছে।
-ওই হ্যালো।
-জ্বি বলুন।
-আপনার এতো অহংকার কিসের হ্যাঁ?
-মানে কি?
-কতক্ষণ থেকে আমার পোস্ট Approve হচ্ছে না কেন?
-সরি একটা কাজে ব্যাস্ত ছিলাম তাই apv করতে পারি নাই।😅
-আচ্ছা ঠিক আছে। এবার থেকে পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে Apv করবেন নয়তো। আপনাকে আমি।
-কি করবেন শুনি?
-কিছু না।
কি মেয়েরে বাবা। কি ডাইনি একটা। নিজে তো একজন লেকিকা তবুও কি ভাবে রেগে কথা বলে।
আমি আসাদ গল্প লিখার পাশাপাশি। ফেসবুক গল্পের গ্রুপে টুকটাক কাজ করি। আমি ইন্টার ২য় বর্ষের ছাত্র। (গল্পে শুধু)
পড়ালেখায় তেমন ভালো ছাত্র না।
কয়েকদিন পর আবার। সেই মেয়েটার মেসেজ দেখে চমকে উঠলাম।
-ওই যে আপনাকে কাছে পেলে না।
-মানে কি? কি করলাম আমি?
-আমার পোস্ট Apv হচ্ছে না কেন?
-সরি।
-সব সময় শুধু সরি বলেন কেন। বলেছিলাম না। আমি পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে Apv করবেন।
-সরি।
-আবার সরি।
-আপনি হয়তো যানেন না। আমাদের গ্রুপে কয়েকজন মডারেটর আছে। আর তাদের পড়ালেখার চাপে ফেসবুকে আসে না। তাই আমাকে একাই কাজ করতে হয়।
-ওহ আচ্ছা ভালো।
-এবার থেকে। গল্প পোস্ট করার পর, আমাকে একটা করে মেসেজ দিয়েন ওকে। পোস্ট Apv করে দিবো।
-আচ্ছা দিবো। আর শুনুন।
-হুম বলুন।
-আপনার পিক কি দেওয়া যাবে?
-সরি দিতে পারবো না।
-ওকে ওকে দিতে হবে না।
-হুম
এভাবেই লিখিকা আমাকে মেসেজ দেয় আর আমি তার পোস্ট Apv করে থাকি।
মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুধু করে দেয়।
কয়েকদিন ধরেই লেখিকার গল্প পড়ছি। বেস ভালোই গল্প লিখে।
তবে গল্প যেমন তার ব্যবহার। বাস্তবে তো একটা ডাইনি। আরে না ডাইনি বললে কম হবে। একটা রাক্ষসী।
আবার মেসেজ দেয়েছে দেখি লেখিকা আবার কি মেসেজ দিয়েছে।
-ওই তুই আমার পোস্ট Apv, করবি?
-আরে তুই করে কেন বলছেন?
-আগে বল পোস্ট Apv করবি কি না।
-আচ্ছা করতেছি।
-হুম
-করেছি।
-গুড বয়।
-......
-তুই একটা হাবলা।
-আরে আরে আমাকে হাবলা বলছেন কেন।
আর আমাকে তুই করে বলবেন না।
-তাহলে তোকে কি করে বলবো?
-আমার নাম আছে। আসাদ, আসাদ বুঝছেন। আসাদ বলতে পারেন।
-আমি তোকে তুই করে বলবো। আসাদ বলতে পারবো না ওকে।
-আরে আজব তো। আপনি আমাকে চিনেন না যানেন না। আর তুই করে বলবেন এটা আবার কেমন কথা?
-আমার ইচ্ছে।
কি আজব মেয়েরে বাবা আমাকে চিনে না যানে না আর তুই করে বলছে।
আমি নরম ছেলে বটে। তাই বলে হাবলা বলে অপমান করবে।
এটা কিন্তু ওই বদমাইস লেখিকা ঠিক করলো না।
-ওই আপনার পিক দেন।(মেয়ে)
-না দিতে পারবো না। (ছেলে)
-না দিলে আপনাকে আমি।
-কি করবেন শুনি?
-মার লাগাবো।
-হা হা আমাকে কিভাবে মার লাগাবেন। আমাকে তো আপনি চিনেন না।
-আমি যা বলি তাই করি ওকে। বেশি কথা না বলে। পিক দে বলছি।
-সরি লেখিকা মেডাম আমি আপনাকে পিক দিতে পারবো না।
-দিবি কিনা বল
-দিবো না ওকে। আগে আপনার দেন।
-না আমি দিবো না। আমি অনেক কালো।
-ওহ আচ্ছা আমিও কালো। তাই দিচ্ছি না।
-আচ্ছা ফোন নম্বার দে।
-না দিবো না
-দিবি কিনা বল
-আচ্ছা দিচ্ছি ০১৭****
-ফোন দিচ্ছি রিসিভ করবি।
-আচ্ছা।
মেয়েটা আমাকে কল দিয়েছে। মিষ্টি সুরে বলে উঠলো।
হ্যালো। কন্ঠ শুনে। একদম মনে হচ্ছে না। মেয়েটা রাগি।
শুধু হ্যালো হ্যালো করেই গেলো।
ফোন কেটে দিলাম আমি।
আবার মেসেজ দিয়েছে।
-ওই কল কেটে দিলি কেন। তোকে না।
-কি
-মার লাগাতে ইচ্ছে করছে।
-সরি আমি অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলি না।
-ওই আমি অপরিচিত?
-তা নয়তো কি?
-আচ্ছা আমি তোর সঙ্গে কতোদিন ধরে কথা বলছি বলতে পারবি?
-এই তো এক মাস হয়েছে।
-তাহলে আমরা অপরিচিত কিভাবে শুনি?
-কি যে বলেন। আমি শুধু যানি আপনার নাম রাইসা। আপনার বাসা কোথায়। আপনি আমার চেয়ে বড় কিনা। কিছুই তো যানি না।
তবে আপনি আমার অপরিচিত নয়তো কি হ্যাঁ?
-ওরে সালা। তোর ধান্দা তো খুব খরাপ। আচ্ছা তোর বাসা কোথায় বল।
-বলবো না।
-বলবি না তো।
-আচ্ছা বলছি।
-হুম বল
-আগে আপনি বলেন।
-না তুই আগে বল।
-আমার রাজশাহী, নওগাঁ, সাপাহার।
-মানে?
-মানে আবার কি? আপনার বলেন।
-আমারও সেম।
(চলবে?)
দুষ্টু মিষ্টি প্রেম! পর্ব-০১
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
10:28 AM
Rating:
No comments