লীলা খেলা! পর্ব-০৩
আর এইদিকে শূন্যতা আর রাজীবের (শূন্যতার স্বামী) সংসারটা ভালো যাচ্ছে
না। প্রথম কয়েকদিন রাজীব শূন্যতাকে অনেক কেয়ার করত,, সময় দিতো আর অনেক
গুরুত্বও দিতো শূন্যতাকে। কিন্তু এখন আর তেমন কেয়ারও করে নাহ আর গুরুত্বও
দেয় না। এখন শূন্যতাকে দেখিয়ে দেখিয়ে অন্য মেয়েদের সাথে সারারাত কথা বলে।
তার নাকি বিয়ের আগে থেকে অন্য একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। বাবার কথায়
শূন্যতাকে বিয়ে করেছে।।
রাজীব প্রতিরাতে মদ খেয়ে দেরি করে বাসায় আসে। শূন্যতা কিছু বলতেও পারে না। কিছু বললেই রাজীব শূন্যতার গায়ে হাত তোলে। শূন্যতা এখন শুধু গোপনে কান্না করে। শূন্যতা মনে মনে ভাবে,, আজ যদি সে নীলের সাথে থাকত তবে কি তাকে এত কষ্ট পেতে হত,, এতো অবহেলিত হতে হতো কি,, নীল কি তাকে এমন করে মারতে পারত,, তাকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে কি সারারাত কথা বলতে পারত??? শূন্যতা মাঝে মাঝে এইসব ভেবে অনেক কান্না করত। এখন রাতেও ঠিক মতন ঘুম হয় নাহ শূন্যতার,, সারারাত জেগে শুধু কান্না করে।।
নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে আর বেশিহ্মন বাঁচবে নাহ। নীলের বাবা নীলের মাথার পাশে বসে কান্না করছে।
বাবাঃঃ বাবা তুই আমাকে রেখে চলে গেলে আমি কাকে নিয়া বাঁচবো?? তোর আগে আল্লাহ আমার মরণ দিলো নাহ কেনো?? এই পৃথিবীতে যে আমার বেঁচে থাকার আর কোনো কারন রইল নাহ।।
নীল নিজের মুখের উপর থেকে অক্সিজেন মাক্সটা খুলে বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।।
নীলঃ বাবা আমি জানি আমি আর বেশিহ্মন বাঁঁচবো নাহ। আমার একটা কথা রাখবা??
বাবাঃ বল কি কথা,, আমি তোর সব কথা রাখমু তুই বল😭😭😭
নীলঃ আমার মরে গেলে কখনো তুমি আমার কথা মনে করে কষ্ট পাবে নাহ আর কান্না করবে নাহ,, কথা দেও আমাকে😑😇
বাবাঃ তুই আমার সন্তান,, তোর কথা মনে পড়লেই আমার কষ্ট হবে,, কিন্তু কথা দিলাম তোর কথা পড়লে কখনো কান্না করবো নাহ যতই কষ্ট হোক।
অবশেষে নীল মারা গেল। শূন্যতা জানতে পারল না যে নীল আর এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম দৃশ্য বাবার কাধে সন্তানের লাশ। আজ এই নির্মম সত্যের কবলে পড়তে হয়েছে নীলের বাবার। তার ছেলের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত ছিল। কিন্তু নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মানুষ তা হতে দিল না। নীলের বাবার চোখে আজ পানি নেই। প্রতিদিনের কান্নায় তার মুখে আর চোখে আসে না,, আবার ছেলেকে দেওয়া কথা রাখতে যতই কষ্ট হোক কান্নাকে আটকে রেখেছে,, কিন্তু বুক ফেটে যায়। কষ্টে তার বুক পাথর হয়ে গেছে। সেই পাথরের ভারে যেন নীলেরর বাবার দম বন্ধ হয়ে এল।।
রাজীব আজ শূন্যতার কাছে পরকিয়ার ধরা খেল। শূন্যতা রাজীবের মুখে মুখে কথা বলাতে রাজীব তাকে ইচ্ছামত মেরে বলল,,,,
রাজীবঃ আমি তোকে ডিভোর্স দিব বলে ভাবছিলাম। কিন্তু কিভাবে বলব তা বুঝতে পারছিলাম না। আজ সুযোগটা এসে গেল। তুই বেরিয়ে যা আমার বাসা থেকে। আমি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো।।
শূন্যতা কিছু নাহ বলে চুপচাপ কাদতে কাদতে তার কাপড় গুছিয়ে বাপের বাড়ী চলে গেল।
শূন্যতাকে বাড়িতে আসতে দেখে তার মা বলল,,,
শূন্যতার মাঃ না বলে আসলি যে?? আর জামাই আসে নাই সাথে??
শূন্যতাঃ মা আমি একেবারে চলে এসেছি।।
শূন্যতার মাঃ মানে??
শূন্যতা তার মাকে রাজীবের সব কথা বলল। শূন্যতার মা সব শুনে মুখ নিকৃত করে বলল,,,
শূন্যতার মাঃ তুই কেমন মেয়ে নিজের স্বামীকে বেধে রাখতে পারিস না। আমি এখন পাড়া-পড়শীকে কিভাবে মুখ দেখাব। ডিভোর্সী মেয়েদের এই সমাজ গ্রহণ করে না।।
শূন্যতা তার মায়ের কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে বলল,,,
শূন্যতাঃ মা এখানে আমার কি দোষ। তুমি আমাকে এইসব বলছো কেন??
শূন্যতার মা মুখ ভেংচে বলল,,,,
শূন্যতার মাঃ সব দোষ আমার। হায় হায়!! কি পোড়া কপাল আমার।।
শূন্যতার বুঝতে পারছে না তার মা কেন তার সাথে এইরকম ব্যবহার করছে। প্রতিবেশীরাও সকলে তারই দোষ ধরছে। পুরো এলাকায় শুধু তার নামে বদনাম হচ্ছে। রাজীবের দোষ তা কেউ ধরছে না। এই কয়দিনে শূন্যতা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছি।
ব্রেকাপের পর থেকে কখনো শূন্যতা নীলের কথা একবারো চিন্তা করে নি। এখন তার নীলকে খুব মনে পড়ছে। তার নিজের দোষেই আজ তার এই পরিণতি। শূন্যতা সিদ্ধান্ত নিল নীলের কাছে যাবে। নীল যদি তাকে ভালবেসে থাকে তাহলে এখনও তাকে মেনে নেবে।।
শূন্যতা নীলের নাম্বারে কল করল কিন্তু নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছে। শূন্যতা নীলের বাসা আগে থেকেই চিনত। তাই সে সরাসরি নীলের বাসায় চলে গেল।।
চলবে,,,,,
রাজীব প্রতিরাতে মদ খেয়ে দেরি করে বাসায় আসে। শূন্যতা কিছু বলতেও পারে না। কিছু বললেই রাজীব শূন্যতার গায়ে হাত তোলে। শূন্যতা এখন শুধু গোপনে কান্না করে। শূন্যতা মনে মনে ভাবে,, আজ যদি সে নীলের সাথে থাকত তবে কি তাকে এত কষ্ট পেতে হত,, এতো অবহেলিত হতে হতো কি,, নীল কি তাকে এমন করে মারতে পারত,, তাকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে কি সারারাত কথা বলতে পারত??? শূন্যতা মাঝে মাঝে এইসব ভেবে অনেক কান্না করত। এখন রাতেও ঠিক মতন ঘুম হয় নাহ শূন্যতার,, সারারাত জেগে শুধু কান্না করে।।
নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে আর বেশিহ্মন বাঁচবে নাহ। নীলের বাবা নীলের মাথার পাশে বসে কান্না করছে।
বাবাঃঃ বাবা তুই আমাকে রেখে চলে গেলে আমি কাকে নিয়া বাঁচবো?? তোর আগে আল্লাহ আমার মরণ দিলো নাহ কেনো?? এই পৃথিবীতে যে আমার বেঁচে থাকার আর কোনো কারন রইল নাহ।।
নীল নিজের মুখের উপর থেকে অক্সিজেন মাক্সটা খুলে বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।।
নীলঃ বাবা আমি জানি আমি আর বেশিহ্মন বাঁঁচবো নাহ। আমার একটা কথা রাখবা??
বাবাঃ বল কি কথা,, আমি তোর সব কথা রাখমু তুই বল😭😭😭
নীলঃ আমার মরে গেলে কখনো তুমি আমার কথা মনে করে কষ্ট পাবে নাহ আর কান্না করবে নাহ,, কথা দেও আমাকে😑😇
বাবাঃ তুই আমার সন্তান,, তোর কথা মনে পড়লেই আমার কষ্ট হবে,, কিন্তু কথা দিলাম তোর কথা পড়লে কখনো কান্না করবো নাহ যতই কষ্ট হোক।
অবশেষে নীল মারা গেল। শূন্যতা জানতে পারল না যে নীল আর এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মম দৃশ্য বাবার কাধে সন্তানের লাশ। আজ এই নির্মম সত্যের কবলে পড়তে হয়েছে নীলের বাবার। তার ছেলের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত ছিল। কিন্তু নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মানুষ তা হতে দিল না। নীলের বাবার চোখে আজ পানি নেই। প্রতিদিনের কান্নায় তার মুখে আর চোখে আসে না,, আবার ছেলেকে দেওয়া কথা রাখতে যতই কষ্ট হোক কান্নাকে আটকে রেখেছে,, কিন্তু বুক ফেটে যায়। কষ্টে তার বুক পাথর হয়ে গেছে। সেই পাথরের ভারে যেন নীলেরর বাবার দম বন্ধ হয়ে এল।।
রাজীব আজ শূন্যতার কাছে পরকিয়ার ধরা খেল। শূন্যতা রাজীবের মুখে মুখে কথা বলাতে রাজীব তাকে ইচ্ছামত মেরে বলল,,,,
রাজীবঃ আমি তোকে ডিভোর্স দিব বলে ভাবছিলাম। কিন্তু কিভাবে বলব তা বুঝতে পারছিলাম না। আজ সুযোগটা এসে গেল। তুই বেরিয়ে যা আমার বাসা থেকে। আমি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো।।
শূন্যতা কিছু নাহ বলে চুপচাপ কাদতে কাদতে তার কাপড় গুছিয়ে বাপের বাড়ী চলে গেল।
শূন্যতাকে বাড়িতে আসতে দেখে তার মা বলল,,,
শূন্যতার মাঃ না বলে আসলি যে?? আর জামাই আসে নাই সাথে??
শূন্যতাঃ মা আমি একেবারে চলে এসেছি।।
শূন্যতার মাঃ মানে??
শূন্যতা তার মাকে রাজীবের সব কথা বলল। শূন্যতার মা সব শুনে মুখ নিকৃত করে বলল,,,
শূন্যতার মাঃ তুই কেমন মেয়ে নিজের স্বামীকে বেধে রাখতে পারিস না। আমি এখন পাড়া-পড়শীকে কিভাবে মুখ দেখাব। ডিভোর্সী মেয়েদের এই সমাজ গ্রহণ করে না।।
শূন্যতা তার মায়ের কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে বলল,,,
শূন্যতাঃ মা এখানে আমার কি দোষ। তুমি আমাকে এইসব বলছো কেন??
শূন্যতার মা মুখ ভেংচে বলল,,,,
শূন্যতার মাঃ সব দোষ আমার। হায় হায়!! কি পোড়া কপাল আমার।।
শূন্যতার বুঝতে পারছে না তার মা কেন তার সাথে এইরকম ব্যবহার করছে। প্রতিবেশীরাও সকলে তারই দোষ ধরছে। পুরো এলাকায় শুধু তার নামে বদনাম হচ্ছে। রাজীবের দোষ তা কেউ ধরছে না। এই কয়দিনে শূন্যতা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছি।
ব্রেকাপের পর থেকে কখনো শূন্যতা নীলের কথা একবারো চিন্তা করে নি। এখন তার নীলকে খুব মনে পড়ছে। তার নিজের দোষেই আজ তার এই পরিণতি। শূন্যতা সিদ্ধান্ত নিল নীলের কাছে যাবে। নীল যদি তাকে ভালবেসে থাকে তাহলে এখনও তাকে মেনে নেবে।।
শূন্যতা নীলের নাম্বারে কল করল কিন্তু নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছে। শূন্যতা নীলের বাসা আগে থেকেই চিনত। তাই সে সরাসরি নীলের বাসায় চলে গেল।।
চলবে,,,,,
লীলা খেলা! পর্ব-০৩
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
11:57 AM
Rating:
No comments