লীলা খেলা ! পর্ব-০২
নীল কিছুই বলে নি বরং নীল স্নিগ্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি
হেসেছিল শুধু। নীল শূন্যতাকে মানা করেনি কারন যে তার জীবন থেকে চলে যেতে
চায় তাকে সে কিভাবে বাধা দিবে। তার যোগ্যতা এখনো সৃষ্টি হয়নি। নীলও ভাল
ভার্সিটির স্টুডেন্ট। পড়াশোনায় বেশ ভাল।শূন্যতা নীলের এই গুণ দেখে রিলেশন
করতে রাজি হয়েছিল।।
ব্রেকাপের এই তিনদিন নীল কষ্ট ভুলতে একটি উপায় পেয়েছে তা হল মদ ও সিগারেট খাওয়া। শূন্যতা নীলকে সিরিয়াসলি ভাল না বাসলেও নীল শূন্যতাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবেসেছে। মদ আর সিগারেট খেলে সে শূন্যতাকে ভুলে থাকতে পারে। নীলের বন্ধুরাও তাকে এই কাজ অনেক বাধা দেই। কিন্তু সে কারো কথাই শুনত নাহ।।
নীলকে জন্ম দিয়েই মা মারা গেছে। বাবার কাছেই মা-বাবা দুইজনেরই ভালবাসা পেয়েছে। বাবার শরীর এখন আর তেমন ভাল নয়। বাবাকে তার সব কথা শেয়ার করে। এই কথাও শেয়ার করল।।
বাবা ছেলের কষ্ট দেখে নিজেই কষ্ট পেতে লাগল।মদ সিগারেট খাচ্ছে জেনেও ছেলেকে কিছু বলছে না কারণ বেশি কষ্টে যদি ছেলেটা আত্মহত্যা করে সে ভয়ে। তাই তিনি চোখ ভরে ছেলের কষ্ট দেখতে লাগলেন। নীলের জীবন জুড়ে ছিল শুধু তার বাবা ও শূন্যতা।।
যে ছেলে সিগারেটকে ঘৃণা করতো তার জীবন মদ আর সিগারেটের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।নীলের বাবা শূন্যতার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও সে বাবাকে যেতে দেয়নি। তার মতে শূন্যতা যার কাছে থাকলে খুশি থাকবে তার কাছেই থাকুক।
আজ শূন্যতার বিয়ে হচ্ছে। তাদের ব্রেকাপের একমাস মতন হবে। বেশ ধুমধামের সাথেই বিয়ে হচ্ছে শূন্যতার। কোনো কিছুর কমতি রাখে নাই শূন্যতার বাবা বিয়েতে।
নীল শূন্যতার বিয়েতে শূন্যতাকে লুকিয়ে দেখতে গিয়েছে। লাল বেনারসি শাড়িতে শূন্যতাকে পরির মত লাগছে। কথা ছিল নীল আর শূন্যতার বিয়ে হবে। শূন্যতার বিয়ে হচ্ছে ঠিকই তবে নীল বরের জায়গায় নেই।। নীল একনজর দেখেই চলে আসল।
ব্রেকাপের এই কয়দিন নীল একটুও কাঁদে নি। কিন্তু আজ নীলের চোখ দিয়ে শুধু পানিই পড়ছে,,, নীলের কান্না থামছেই নাহ। আজ নীলের খুব কষ্ট হচ্ছে তাই কষ্ট কমানোর জন্য নীল আবার মদ সিগারেট নিয়ে বসল। একদিকে শূন্যতা তার স্বামীর সাথে বাসর রাত কাটাচ্ছে অন্যদিকে একটা ছেলে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। একদিন নীল সকালে রক্ত বমি করল। তাহ নীলের বাবা দেখে,,,
বাবাঃ বাবা কি হয়েছে তোর??
নীলঃ কিছু নাহ আব্বা,, এমনি ঠিক হয়ে যাবে।।
বাবাঃ আমি তোর কোনো কথা শুনবো নাহ,, তুই এখন আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যাবি। তোর কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো?? এই দুনিয়া আমার তুই ছাড়া কে আছে বল??
নীলঃ আচ্ছা ঠিক আছে। বিকালে যাবো।।
বাবাঃ আচ্ছা।।
তারপর৷ বিকালে নীল তার বাবার সাথে ডাক্তারের কাছে যায়। অনেক কিছু চেক করে ডাক্তার নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। নীলের বাবা নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করল। ডাক্তার আরও চেকআপ করে নীলের বাবাকে যাহ বলল,,, তাহ শুনে মনে হয় নীলের বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।
ডাক্তারের মতে নীলের ব্লাড ক্যানসার হয়েছে। আর নীল বেশি দিন বাচবে না। নীলের বাবার খুব কষ্ট লাগলো এই কথা শুনে। নীলেরর মায়ের মৃত্যুর পর তিনি নীলের কথা ভেবে আর বিয়ে করেন নি কিন্তু সেই নীলও কিছুদিন পর তাকে ছেড়ে নাহ ফেরার দেশে চলে যাবে।
ডাক্তার নীলের বাবাকে কথাগুলো আলাদা ভাবে বললেও নীল দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থেকে সব শুনল। কিন্তু তার একটুও কষ্ট হচ্ছে না বরং খুশি হল যে তার আর এই নিষ্টুর পৃথিবীতে থাকতে হবে না। নীলের বাবা নীলের কাছে পৌছাতেই নীল বেশ শান্ত ভাবে বলল,,,,
নীলঃ আব্বা আমি জানি আমি বেশি দিন বাচব না। আমি আড়াল থেকে সব শুনেছি। তোমার পেনশনের টাকা দিয়ে তোমার বাকি জীবন চলে যাবে। আমার একটাই অনুরোধ আমার জন্য কখনো কাদবে না। মনে করবে তোমার কোনো ছেলে ছিল না।।
নীলের বাবা নীলকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল। নীল তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে আবার বলল,,,,
নীলঃ আমি কোন ভুল করলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমাকে নিয়ে তোমার স্বপ্নগুলো আমি পূরণ করতে পারলাম না।
নীল তার নীল ডাইরীটা তার বাবাকে দিয়ে বলল,,,,
নীলঃ কোন দিন যদি শূন্যতা আমার খুঁজে আসে তাহলে তাকে এই ডাইরিটা দিও।।
নীলের বাবা ডাইরিটা নিয়ে কান্না করতে করতে বলল,,,,
বাবাঃ তোর মা ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে এখন তুইও চলে যাবি😭😭
নীলঃ বাবা এই পৃথিবীতে সবাইকে তো মরতেই হয়। আমি নাহয় একটু আগেই মরে গেলাম।।
ব্রেকাপের এই তিনদিন নীল কষ্ট ভুলতে একটি উপায় পেয়েছে তা হল মদ ও সিগারেট খাওয়া। শূন্যতা নীলকে সিরিয়াসলি ভাল না বাসলেও নীল শূন্যতাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালবেসেছে। মদ আর সিগারেট খেলে সে শূন্যতাকে ভুলে থাকতে পারে। নীলের বন্ধুরাও তাকে এই কাজ অনেক বাধা দেই। কিন্তু সে কারো কথাই শুনত নাহ।।
নীলকে জন্ম দিয়েই মা মারা গেছে। বাবার কাছেই মা-বাবা দুইজনেরই ভালবাসা পেয়েছে। বাবার শরীর এখন আর তেমন ভাল নয়। বাবাকে তার সব কথা শেয়ার করে। এই কথাও শেয়ার করল।।
বাবা ছেলের কষ্ট দেখে নিজেই কষ্ট পেতে লাগল।মদ সিগারেট খাচ্ছে জেনেও ছেলেকে কিছু বলছে না কারণ বেশি কষ্টে যদি ছেলেটা আত্মহত্যা করে সে ভয়ে। তাই তিনি চোখ ভরে ছেলের কষ্ট দেখতে লাগলেন। নীলের জীবন জুড়ে ছিল শুধু তার বাবা ও শূন্যতা।।
যে ছেলে সিগারেটকে ঘৃণা করতো তার জীবন মদ আর সিগারেটের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।নীলের বাবা শূন্যতার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও সে বাবাকে যেতে দেয়নি। তার মতে শূন্যতা যার কাছে থাকলে খুশি থাকবে তার কাছেই থাকুক।
আজ শূন্যতার বিয়ে হচ্ছে। তাদের ব্রেকাপের একমাস মতন হবে। বেশ ধুমধামের সাথেই বিয়ে হচ্ছে শূন্যতার। কোনো কিছুর কমতি রাখে নাই শূন্যতার বাবা বিয়েতে।
নীল শূন্যতার বিয়েতে শূন্যতাকে লুকিয়ে দেখতে গিয়েছে। লাল বেনারসি শাড়িতে শূন্যতাকে পরির মত লাগছে। কথা ছিল নীল আর শূন্যতার বিয়ে হবে। শূন্যতার বিয়ে হচ্ছে ঠিকই তবে নীল বরের জায়গায় নেই।। নীল একনজর দেখেই চলে আসল।
ব্রেকাপের এই কয়দিন নীল একটুও কাঁদে নি। কিন্তু আজ নীলের চোখ দিয়ে শুধু পানিই পড়ছে,,, নীলের কান্না থামছেই নাহ। আজ নীলের খুব কষ্ট হচ্ছে তাই কষ্ট কমানোর জন্য নীল আবার মদ সিগারেট নিয়ে বসল। একদিকে শূন্যতা তার স্বামীর সাথে বাসর রাত কাটাচ্ছে অন্যদিকে একটা ছেলে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। একদিন নীল সকালে রক্ত বমি করল। তাহ নীলের বাবা দেখে,,,
বাবাঃ বাবা কি হয়েছে তোর??
নীলঃ কিছু নাহ আব্বা,, এমনি ঠিক হয়ে যাবে।।
বাবাঃ আমি তোর কোনো কথা শুনবো নাহ,, তুই এখন আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যাবি। তোর কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো?? এই দুনিয়া আমার তুই ছাড়া কে আছে বল??
নীলঃ আচ্ছা ঠিক আছে। বিকালে যাবো।।
বাবাঃ আচ্ছা।।
তারপর৷ বিকালে নীল তার বাবার সাথে ডাক্তারের কাছে যায়। অনেক কিছু চেক করে ডাক্তার নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। নীলের বাবা নীলকে হাসপাতালে ভর্তি করল। ডাক্তার আরও চেকআপ করে নীলের বাবাকে যাহ বলল,,, তাহ শুনে মনে হয় নীলের বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।
ডাক্তারের মতে নীলের ব্লাড ক্যানসার হয়েছে। আর নীল বেশি দিন বাচবে না। নীলের বাবার খুব কষ্ট লাগলো এই কথা শুনে। নীলেরর মায়ের মৃত্যুর পর তিনি নীলের কথা ভেবে আর বিয়ে করেন নি কিন্তু সেই নীলও কিছুদিন পর তাকে ছেড়ে নাহ ফেরার দেশে চলে যাবে।
ডাক্তার নীলের বাবাকে কথাগুলো আলাদা ভাবে বললেও নীল দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থেকে সব শুনল। কিন্তু তার একটুও কষ্ট হচ্ছে না বরং খুশি হল যে তার আর এই নিষ্টুর পৃথিবীতে থাকতে হবে না। নীলের বাবা নীলের কাছে পৌছাতেই নীল বেশ শান্ত ভাবে বলল,,,,
নীলঃ আব্বা আমি জানি আমি বেশি দিন বাচব না। আমি আড়াল থেকে সব শুনেছি। তোমার পেনশনের টাকা দিয়ে তোমার বাকি জীবন চলে যাবে। আমার একটাই অনুরোধ আমার জন্য কখনো কাদবে না। মনে করবে তোমার কোনো ছেলে ছিল না।।
নীলের বাবা নীলকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল। নীল তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে আবার বলল,,,,
নীলঃ আমি কোন ভুল করলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমাকে নিয়ে তোমার স্বপ্নগুলো আমি পূরণ করতে পারলাম না।
নীল তার নীল ডাইরীটা তার বাবাকে দিয়ে বলল,,,,
নীলঃ কোন দিন যদি শূন্যতা আমার খুঁজে আসে তাহলে তাকে এই ডাইরিটা দিও।।
নীলের বাবা ডাইরিটা নিয়ে কান্না করতে করতে বলল,,,,
বাবাঃ তোর মা ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে এখন তুইও চলে যাবি😭😭
নীলঃ বাবা এই পৃথিবীতে সবাইকে তো মরতেই হয়। আমি নাহয় একটু আগেই মরে গেলাম।।
লীলা খেলা ! পর্ব-০২
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
11:56 AM
Rating:
No comments