লীলা খেলা! পর্ব-০১
"স্বামীর অবহেলা আর প্রতিবেশীদের নিন্দার কারণে আত্মহত্যা এক তরুণীর"।নিচে লেখা আছে,,, "স্বামীর পরকীয়া ধরা পরার পর প্রতিবাদ করে শূন্যতা নামের এক তরুণী।অতঃপর স্বামী তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।নিজ বাড়িতে এসেও শান্তি পায়নি এই তরুণী।চারদিকের সবাই তার নামে নিন্দা করতে থাকে।কেউ কেউ সরাসরি অপয়া আর ভাগ্যহীনা বলে গালি দিতে থাকে।এইসব কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে শূন্যতা নামের তরুণীটি।পুলিশ বিষয় তদন্ত করছে।"
সজিব প্রতিদিন সকালের মত আজও পেপার পড়ছিলেন। উপরে লেখা গুলো পেপারেই পড়েছে সজিব। সজিব মেয়েটাকে খুব ভালো করে চিনে কারন তার বেষ্টফ্রেন্ডের এক্স-গার্লফ্রেন্ড মেয়েটি। আর এই মেয়েটির জন্যই আজ তার বেষ্টফ্রেন্ড এই দুনিয়াতে নাই।
৪বছর আগের কথা,,,,
নীল, সজিব আরও তাদের অনেক ফ্রেন্ড মিলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বটগাছটার নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো,, তখনি নীলের চোখ আটকে যায় একটা লাল থ্রী-পিস পড়া অপ্সরার দিকে। দেখতে সেই লেভেলের সুন্দর আর মারাত্মক কিউট মেয়ে। নীল অপলক তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।
নীলঃ মামা ওই মাইটারে কেডা রে??
সজিবঃ কোনডা??
নীলঃ ওইযে লাল থ্রী-পিস পড়া মেয়েটা।।
বাবুঃ আমি চিনি মাইয়াটারে মামা😎
নীলঃ কেডা মামা কস নাহ??
বাবুঃ কেন প্রেম করবি??
নীলঃ কি কিউট মাইয়া,,, এমন কিউট মাইয়া আমি আর দেখি নাই🙈🙈
বাবুঃ বন্ধু থাক আর মাইয়া গো মতন লজ্জা পাইতে হইবো নাহ,,, মাইয়াটার নাম শূন্যতা,, এইবার অনার্স ১ম বর্ষে নতুন ভর্তি হয়ছে।।
সজিবঃ এতো কিছু তুই জানোস কেমনে?? তলে তলে টেম্পু চালাও নাকি মামা😒😒
বাবুঃ আরে বেটা নাহ,, মাইয়াটা আমাদের পাশের বাসায় থাকে,, তাই একটু-আধটু চিনি এই আর কি। দুই-একবার আমাদের বাসায়ও যেতে দেখছি। কিন্তু কখনো কথা বলি নাই।।
নীলঃ আর বলতেও হয়বো নাহ,, আর বললে এখন থেইকা ভাবী বইলা ডাকবি🙊🙊
বাবুঃ আমার তোহ ভাই নাই তাইলে ওই মাইয়া আমার ভাবী হয়লো কেমনে😒😒
নীলঃঃ ওইই বেটা তোর ভাই নাই মানে তাইলে আমি কেডা😡😡
বাবুঃ আচ্ছা বাদ দে😊
সজিবঃ মামা আসলেই মাইয়াটা সেই😎😎
নীলঃ মামা নজর দিও নাহ😑😑
সজিবঃ হুহ😤😤😤
নীলঃ বাবু মাইটার লগে প্রেম করাই দে নাহ।।
বাবুঃ মামা আমি পারতাম নাহ তোমার টাহ তুমি করো গা।।
নীলঃ আমি নাহ তোর ভাই🤗🤗
বাবুঃ আচ্ছা পাম দিতে হইবো নাহ,, যাইতাছি😑
বাবু বসা থেকে উঠে শূন্যতার কাছে যায়।।
বাবুঃ ভালো আছেন ভাবী??
শূন্যতাঃ কি বলছে ভাইয়া,, আবার একটু বলবেন😒😒
বাবুঃ ভালো আছেন ভাবী??
শূন্যতাঃ আমি জানি আপনের কোন ভাইয়ের বউ🤗🤗
বাবুঃ ওই যে নীলের বউ হবা আর কি😑
নীলের দিকে অংগুল দিয়ে দেখিয়ে বলল।।
সজিবঃ মামা হালায় কি জানি কইল তোর দিকে আংগুল দিয়া দেখাই?? 😶😶
নীলঃ হ আমিও তোহ দেখলাম🧐🧐
শূন্যতাঃ বাবু ভাই আমি কিন্তু আন্টির কাছে বিচার দিবো।।
বাবুঃ কোন আন্টির কাছে বিচার দিবা,, আর আন্টির কাছে বিচার দিলে আমার কি প্রেম তোহ করবো আমার বন্ধু,,, ওর নামে বিচার দিবা😁😁
শূন্যতাঃ দাঁত বাইর কইরা হাসতে হইবো নাহ,,, আপনের মায়ের কাছে আপনের নামেও দিমু আর আপনের বন্ধুর নামেও দিমু। কি জানি নাম🤔
ও হ্যা নীল😑
বাবুঃ থা.. থাক বি.. বিচার দিতে হবে নাহ,, আমি যাইতাছি গা 😥😥
বাবু তার মায়েরে অনেক ভয় পায়। তাই মায়ের নাম শুনে ভয় পেয়ে গেলো।
এগিলা আজাইরা পেচাল আমার লেখতেই ভালো লাগতে লাগতাছে নাহ তাইলে আপনেগো পড়তে কেমনে ভালো লাগবো।। গল্পটা যে কাহিনি নিয়ে লেখতে চাইছি সরাসরি এগিলা নিয়াই লেখাই ভালো। এইসব ভার্সিটি আর কলেজের প্রেম-ট্রেমের গল্প প্রতিদিনই পড়েন। তাই এইখানে কি হয়বো আমার থিকা ভালো আপনেরে জানেন😑😑
নীল অনেক কিছু করে শূন্যতাকে নিজের গার্লফ্রেন্ড বানায়। আজ ৪বছর হলো তাদের সম্পর্কের কিন্তু শূন্যতাহ এখন আর নীলের জীবনে নাই।।
আজ তৃতীয় দিন হলো শূন্যতা আর নীলের ব্রেকাপ হয়েছে। এই ৪বছর শূন্যতা আর নীল বেশ চুটিয়ে প্রেম করছিল। কিন্তু এখন তা অতীত। তিনদিন আগে শূন্যতাই সম্পর্কটা শেষ করে দিয়েছিল।
শূন্যতাঃ নীল,, এই সম্পর্কটা আর আমি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো নাহ। কারন আমি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করতে পারবে না। আর বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে আর আমি তাকেই বিয়ে করতে চায়। তুমি পড়ালেখা শেষ করেছে এক বছর হলো কিন্তু এখনো তুমি বেকার। তাই আর আমাদের একসাথে থাকা হবে নাহ। আমার নিজের একটা ভবিষ্যৎ আছে। আমার বাবা যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে সে একজন ইঞ্জিনিয়ার। আমি কিভাবে আমার উজ্জল ভবিষ্যত রেখে তোমার হাত ধরবো বলো।
নীল চুপচাপ দাঁড়িয়ে শূন্যতার কথাগুলো শুনল। এই ৪বছরে যে শূন্যতা তাকে কতটুক ভালোবেসেছে তাহ নীলের বুঝা শেষ তাই সে আর কথা নাহ বাড়িয়ে শূন্যতার সুখের জন্য সম্পর্কটা শেষ করে দেয়।
শূন্যতা চলে যাবার আগে অবশ্য প্রত্যেক প্রেমিকার মত সেও এটা জানাতে ভুলে নি যে নীল তার চেয়ে অনেক ভাল মেয়ে পাবে। শূন্যতা নিজেই তার জীবন থেকে নীলকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। নীল একজন বেকার ছেলে। নীল ভার্সিটি থেকে বের হয়েছে এক বছর হচ্ছে।এখনও চাকরি পায় নি। কিছুদিন পর হয়ত ভাল চাকরি হবে।কিন্তু শূন্যতা তত দিন অপেক্ষা করতে রাজি নয়।।
শূন্যতার হাতের কাছে একজন ইঞ্জিনিয়ার বর ছেড়ে সে কিভাবে এক অনিশ্চিত ছেলের হাত ধরবে। তাই সে বাবাকে আর মানা করেনি।
চলবে,,,,,,
লীলা খেলা! পর্ব-০১
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
11:55 AM
Rating:
No comments