বুকের ভিতর রাখবো তোকে! পর্ব-০২
###__বুকের_ভিতর_রাখবো_তোকে__###💞
পাখি দেখল তার পেছন পেছন একটা ছেলে হাঁটছে।
--এই ছেলেটা আমার পেছন পেছন হাঁটছে কেন? আমি এমনিতেও একা একা হাঁটতে ভয় পাচ্ছি। এই ঝামেলাটা আবার কোথা থেকে উড়ে আসল। আচ্ছা ছেলেটা কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আমার পিছু নিচ্ছে নাতো। না না আমি হয়তো একটু বেশি ভাবছি।
পাখি আবার হাঁটা ধরল। কিন্তুু না যতই হাঁটছে ছেলেটা ততই তার পিছু হাঁটছে। পাখি এমনিতেই অনেক ভিতু। সাহসও নেই যে আগ বাড়িয়ে ছেলেটাকে কিছু বলবে। একসময় পাখি তার হাতে কারও স্পর্শ অনুভব করল। ফিরে তাকাতেই দেখে ছেলেটা তার হাত ধরে ফেলেছে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই পাখির দুই বাহু ধরে হেঁচকা টান দিয়ে রাস্তার পাশে থাকা দেয়ালে চেপে দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগল
--How dare you! You stupid girl. অরণ্য চৌধুরীকে তুমি ইগনোর করো। Have you any idea! কতো মেয়ে এই অরণ্যের জন্য পাগল। আর তুমি কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার দিকে একটা বারও তাকালে না। অরণ্য চৌধুরী কারও অবহেলা পছন্দ করে না। আমাকে সবাই চায় আর তোমার মতো একটা তুচ্ছ মেয়ে কিনা আমাকে অবহেলা করো।
--আপনি কে? এভাবে আমার হাত চেপে ধরেছেন কেন? আমার হাতে ব্যথা লাগছে। ছাড়ুন আমাকে। নাহলে আমি চিতকার করব।
--তোমার এতো বড় সাহস আমাকে তুমি থ্রেট দিচ্ছ। তোমার কলেজ নির্মাতার একমাত্র ছেলে আমি। এখন তুমি বুঝতে পারছো Who i am! তোমাকে কলেজ থেকে বের করতে আমার এক মিনিটও লাগবে না। বুঝতে পারছো তুমি। আর কোনো কলেজেই যাতে তুমি পড়তে না পারো সেই ব্যবস্থাটাও আমি করব।
পাখি এবার কান্না করে দিল। এবং অরণ্যকে বলতে লাগল
--দয়া করে আমার এতো বড় ক্ষতি করবেন না স্যার। আমি খুব গরীব ঘরের একজন সাধারণ মেয়ে। আমার পড়াশোনাটা আপনি বন্ধ করবেন না। প্লিজ স্যার। আমি আসলে ছেলেদের দিকে তেমন তাকাই না। আমি ছেলেদের ভিষণ ভয় পাই। তাই আপনার দিকে ওই সময়ে তাকাই নি।
--কেন ছেলেরা বাঘ নাকি ভাল্লুক যে ভয় পাও?
--আমি জানি না স্যার। এমনি ভয় লাগে। আমার পড়াশোনাটা আটকাবেন না স্যার প্লিজ।
পাখির কান্নাটা অরণ্যের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ল। এবার অরণ্য পাখির দিকে ভালো করে কাছ থেকে লক্ষ্য করল। রাস্তার লেম পোস্টের আলো পাখির পুরো শরীরে মুখে পড়ছে। পাখিকে দেখতে অনেকটাই বাচ্চা টাইপের মেয়ে। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের। উচ্চতা মনে হয় ৫ ফুট ২। চেহারাটা অনেক মায়াবী। চোখ দুটো বড়ো বড়ো টানা টানা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পোশাকটি পাখির পরণে। একটা গোলাপি কালারের থ্রি পিজ পরেছে পাখি। সব মিলিয়ে খুব কিউট একটা মেয়ে পাখি। অরণ্য পাখির এই বাচ্চাদের মতো কান্না দেখে নিজের রাগটা আর ধরে রাখতে পারল না। অরণ্য বলল
--ঠিক আছে। তোমার কলেজে পড়াশোনা করাটা আমি আটকাবো না।
-- সত্যি স্যার! আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার।
-- হুম৷ তবে তুমি এভাবে এতো রাতে একা একা রাস্তায় হাঁটছ কেন? তোমার বন্ধুরা কোথায়?
--আমাকে একা ফেলে চলে গেছে।
এবার অরণ্য পাখির হাতটা ধরে বলল
--আমি তোমাকে বাসায় পৌছে দিব। তুমি শুধু আমাকে তোমার বাসার রাস্তাটা চিনিয়ে দিবে।
--ঠিক আছে স্যার। আমার সাথে চলুন। এমনিতেও এভাবে একা একা রাস্তায় হাঁটতে আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম।
পাখি রাস্তায় লাফাতে লাফাতে হাঁটছে। একদম বাচ্চাদের মতো। আর অরণ্য তা দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। রাস্তায় কুকুরদের চেচামেচি শুনে আর তার সাথে কুকুরদের দেখে পাখি ভয়ে অরণ্যর হাতটা শক্ত করে ধরল।
--কি হলো? এমন করছো কেন?
--আমি কুকুর দেখলে খুব ভয় পাই।
--ভিতু মেয়ে একটা।
--আমি ভিতু তা আমি জানি স্যার।
অরণ্য পাখির কথায় মুচকি হেসে দিল। অরণ্য সাধারণত সবসময় হাসে না কিন্তুু পাখির এই বোকা বোকা কথায় সে না হেসে পারল না।
--এটাই আমার বাসা স্যার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
--ধন্যবাদ দেওয়ার লাগবে না। এমনিতেও আমাদের আবার দেখা হবে।
--মানে?
--বুঝবে না।
।
।
।
#চলবে?
পাখি দেখল তার পেছন পেছন একটা ছেলে হাঁটছে।
--এই ছেলেটা আমার পেছন পেছন হাঁটছে কেন? আমি এমনিতেও একা একা হাঁটতে ভয় পাচ্ছি। এই ঝামেলাটা আবার কোথা থেকে উড়ে আসল। আচ্ছা ছেলেটা কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে আমার পিছু নিচ্ছে নাতো। না না আমি হয়তো একটু বেশি ভাবছি।
পাখি আবার হাঁটা ধরল। কিন্তুু না যতই হাঁটছে ছেলেটা ততই তার পিছু হাঁটছে। পাখি এমনিতেই অনেক ভিতু। সাহসও নেই যে আগ বাড়িয়ে ছেলেটাকে কিছু বলবে। একসময় পাখি তার হাতে কারও স্পর্শ অনুভব করল। ফিরে তাকাতেই দেখে ছেলেটা তার হাত ধরে ফেলেছে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই পাখির দুই বাহু ধরে হেঁচকা টান দিয়ে রাস্তার পাশে থাকা দেয়ালে চেপে দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগল
--How dare you! You stupid girl. অরণ্য চৌধুরীকে তুমি ইগনোর করো। Have you any idea! কতো মেয়ে এই অরণ্যের জন্য পাগল। আর তুমি কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমার দিকে একটা বারও তাকালে না। অরণ্য চৌধুরী কারও অবহেলা পছন্দ করে না। আমাকে সবাই চায় আর তোমার মতো একটা তুচ্ছ মেয়ে কিনা আমাকে অবহেলা করো।
--আপনি কে? এভাবে আমার হাত চেপে ধরেছেন কেন? আমার হাতে ব্যথা লাগছে। ছাড়ুন আমাকে। নাহলে আমি চিতকার করব।
--তোমার এতো বড় সাহস আমাকে তুমি থ্রেট দিচ্ছ। তোমার কলেজ নির্মাতার একমাত্র ছেলে আমি। এখন তুমি বুঝতে পারছো Who i am! তোমাকে কলেজ থেকে বের করতে আমার এক মিনিটও লাগবে না। বুঝতে পারছো তুমি। আর কোনো কলেজেই যাতে তুমি পড়তে না পারো সেই ব্যবস্থাটাও আমি করব।
পাখি এবার কান্না করে দিল। এবং অরণ্যকে বলতে লাগল
--দয়া করে আমার এতো বড় ক্ষতি করবেন না স্যার। আমি খুব গরীব ঘরের একজন সাধারণ মেয়ে। আমার পড়াশোনাটা আপনি বন্ধ করবেন না। প্লিজ স্যার। আমি আসলে ছেলেদের দিকে তেমন তাকাই না। আমি ছেলেদের ভিষণ ভয় পাই। তাই আপনার দিকে ওই সময়ে তাকাই নি।
--কেন ছেলেরা বাঘ নাকি ভাল্লুক যে ভয় পাও?
--আমি জানি না স্যার। এমনি ভয় লাগে। আমার পড়াশোনাটা আটকাবেন না স্যার প্লিজ।
পাখির কান্নাটা অরণ্যের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ল। এবার অরণ্য পাখির দিকে ভালো করে কাছ থেকে লক্ষ্য করল। রাস্তার লেম পোস্টের আলো পাখির পুরো শরীরে মুখে পড়ছে। পাখিকে দেখতে অনেকটাই বাচ্চা টাইপের মেয়ে। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের। উচ্চতা মনে হয় ৫ ফুট ২। চেহারাটা অনেক মায়াবী। চোখ দুটো বড়ো বড়ো টানা টানা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পোশাকটি পাখির পরণে। একটা গোলাপি কালারের থ্রি পিজ পরেছে পাখি। সব মিলিয়ে খুব কিউট একটা মেয়ে পাখি। অরণ্য পাখির এই বাচ্চাদের মতো কান্না দেখে নিজের রাগটা আর ধরে রাখতে পারল না। অরণ্য বলল
--ঠিক আছে। তোমার কলেজে পড়াশোনা করাটা আমি আটকাবো না।
-- সত্যি স্যার! আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার।
-- হুম৷ তবে তুমি এভাবে এতো রাতে একা একা রাস্তায় হাঁটছ কেন? তোমার বন্ধুরা কোথায়?
--আমাকে একা ফেলে চলে গেছে।
এবার অরণ্য পাখির হাতটা ধরে বলল
--আমি তোমাকে বাসায় পৌছে দিব। তুমি শুধু আমাকে তোমার বাসার রাস্তাটা চিনিয়ে দিবে।
--ঠিক আছে স্যার। আমার সাথে চলুন। এমনিতেও এভাবে একা একা রাস্তায় হাঁটতে আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম।
পাখি রাস্তায় লাফাতে লাফাতে হাঁটছে। একদম বাচ্চাদের মতো। আর অরণ্য তা দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। রাস্তায় কুকুরদের চেচামেচি শুনে আর তার সাথে কুকুরদের দেখে পাখি ভয়ে অরণ্যর হাতটা শক্ত করে ধরল।
--কি হলো? এমন করছো কেন?
--আমি কুকুর দেখলে খুব ভয় পাই।
--ভিতু মেয়ে একটা।
--আমি ভিতু তা আমি জানি স্যার।
অরণ্য পাখির কথায় মুচকি হেসে দিল। অরণ্য সাধারণত সবসময় হাসে না কিন্তুু পাখির এই বোকা বোকা কথায় সে না হেসে পারল না।
--এটাই আমার বাসা স্যার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
--ধন্যবাদ দেওয়ার লাগবে না। এমনিতেও আমাদের আবার দেখা হবে।
--মানে?
--বুঝবে না।
।
।
।
#চলবে?
বুকের ভিতর রাখবো তোকে! পর্ব-০২
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
1:46 PM
Rating:
No comments