অহংকারী মেয়ে! পর্ব-০৭
#পর্ব_০৭
.
বাসায় যাওয়ার পরে শান্ত রুমে গিয়ে শুয়ে আছে এমন সময়.....
-এসব কি?(এনি)
-কোন সব?
-জুই এর সাথে এসব কি করছো?
-বউয়ের সাতে স্বামী এসব করে'ই
-আমি তোমার বউ, আমার সাথে করো।
-হি হি হি
-হাসো কেন?
-নতুন বছরের সেরা জোকস টা শুনলাম তাই হাসি আসতেই পারে।
-এটা কি জোকস?
-কেন নয়? তুমি কোনো মেয়ে না, তুমি কিছু মানুষের জীবনে বড় একটা বাধা।
.
-রাগ উঠাবানা বলে দিলাম।
-রাগ উঠিয়ে দিলে কি করবা?
-থাপ্পর দিবো
-থাপ্পর দিবা?
-হ্যা,
শান্ত তখন ঠাস ঠাস করে কয়েক টা থাপ্পর মারে।
-আমার আশে পাশে যেনো তোকে না দেখি বলে শান্ত রুম ছেড়ে চলে যায়, (শান্ত)
এই প্রথম শান্ত এর মুখ থেকে তুই করে কথা শুনে এনির একটু খারাপ লাগছে।
এনি কান্না করতে করতে একসময় ফ্রেশ হয়ে ছাদে গিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে। শান্ত আগে এমন ছিল না কিন্তু এখন কেন এমন হলো?
এসব ভেবে এনি নিজে নিজেই কান্না করে দেয়।
রাতে রুমের ভিতরে ঢুকে দেখে শান্ত শুয়ে আছে তখন এনি শাড়ির আঁচল মেলে শান্তর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শান্তকে কয়েকটা কিস করে ফেলে।
শান্ত হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে, শান্ত কখনো এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলো না।
শান্ত রেগে....
-এসব কি করছো?(শান্ত)
-আমার স্বামীকে আমি করছি (এনি)
-ওমাহহহহ,
-কি?
-তুমি আবার স্বামীকে আদরও করতে পারো? আমি কি তোমার স্বামী নাকি?
-হ্যা,
-আমি তো জুই এর স্বামী।
-অপস শুধু জুই আর জুই।
-কি হয়েছে?
-জুই এর মধ্যে এমন কি আছে যেটা আমার মধ্যে নেই?
-তোমার অনেক কিছুর অভাব আছে।
-প্লিজ তুমি আমাকে ভালোবাসো, তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবো।
-স্যরি, এই শান্ত শুধু জুইকে ভালোবাসে।
-আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-আমি ভালোবাসি না।
-কেন, কি কারণে?
-অনেক কারন আছে।
-কারণ গুলো বলো..
-জুইকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
- ওহহহ শীট আবার জুই??
-হুম শান্তর মুখে সারাক্ষণ'ই জুই থাকবে।
-আমাকে কি একটা চান্স দেওয়া যায় না?
-না।
-কেন?
-কারণ একটাই জুইকে ভালোবাসি।
-আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-হা হা হা
-কি? হাসো কেন?
-ভালোবাসি কথাটা শুনে হাসি পেলো আর কি?
-এতে হাসি পাওয়ার কি আছে?
-আমাকে তুমি ভালোবাসো না?
-ভালোবাসি।
-এটা ফেইক লাভ কারণ কয়দিন আগেই তুমি আমাকে সহ্য করতে না আর এখন ভালোবাসা উতলে উঠছে।
-কেউ কি অল্প সময়ে ভালোবাসতে পারে না?
-পারে কিন্তু তুমি পারো না বলে বিছানা থেকে পাতলা কাথা নিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরে।
সকাল সকাল শান্ত বাসা থেকে বের হওয়ার সময়...
-কোথায় যাও?(এনি)
-তোমার কাছে বলতে হব?
-হ্যা,
-আমার মন যেখানে চায় সেখানে যাবো।
-আমাকে নিয়ে যাও,
-আমি পারবো না।
-কেন?
-এমনি,
-জুই সাথে থাকবে তাই তো?
-ওমাহহ এত ভালো আন্দাজ করতে পারো?
-এনি তখন মন খারাপ করে ফেলে,
-বায় বলে শান্ত বের হয়ে যায়।
জুই এর সাথে শান্তর দেখা হওয়ার পরে শান্ত জুই এর হাত ধরে জুই এর চোখে চোখ রাখে,
-এই কান্না করছো কেন?(শান্ত)
জুই তখন শান্তর চোখের দিকে চেয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে।
-আরে কি হয়েছে সেটা তো বলো।
-আমি আর পারতেছি না।
-জুই আরেকটু ওয়েট করো প্লিজ
-শান্ত যদি ৬মাসের মধ্যে আমাকে তোমার করতে না পারো তাহলে তোমার কসম আমার মরা মুখ দেখবা বলে অন্যদিকে চেয়ে শব্দ করে কান্না করে দেয়।
-এসব দেখে শান্তও নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে কান্না করে দেয়।
শান্ত জুইকে বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে মন খারাপ করে বাসায় আসে।
শান্ত বাসায় আসার পরে এনির বাবা শান্ত কে ডাক দেয়।
এনির বাবা ডাক দেওয়ার পরে শান্ত ভাবে এনি কিছু বলে দেয় নাই তো? যদি কিছু বলে দেয় তাহলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে, এসব ভাবতে ভাবতে ভয় নিয়ে এনির বাবার সামনে যায়।
-বাবা আজকে সবাই মিলে তোমার ফুফির বাসায় যাবো, বিকালের দিকে রেডি হয়ে যাইয়ো।
-জ্বি আচ্ছা,
-ফ্রেশ হয়ে আসো, একসাথে খেতে বসবো।
-ওকে বলে শান্ত রুমে যেতে যেতে মনে মনে বলে যেটা ভাবছিলাম সেটা না।
-এতক্ষণে আসতে মন চাইছে?(এনি)
-নিজের পছন্দের মানুষের কাছে কার না থাকতে ভালো লাগে?
-ওহহ তার মানে এতক্ষণ জুই এর সাথে ছিলে।
-হ্যা বলে শান্ত সবকিছু নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে।
বিকাল হওয়ার পরে সবাই বের হবে, গাড়িতে উঠার সময় শান্ত আর এনি পিছনের সিটে আর এনির বাবা আর মা তাদের সামনের সিটে বসে।
গাড়ি তার নিজস্ব গতিতে চলছে হঠাৎ এনি শান্তকে কিস করে।
-এসব কি?(জুই)
-আদর করছি বলে আরেকটা দেয়।
-আরে এসব কি করতেছো?(শান্ত রেগে গিয়ে)
-বাবাকে ডাক দিবো?
-ব্ল্যাকমেইল করতেছো?
-সোজা-সুজি রাস্তায় যখন পায় না তাই বাকা রাস্তায় তো যেতেই হবে বলে আরেকটা কিস করে।
-এনি ভালো হচ্ছে না কিন্তু?
-কি করবা?
-প্লিজ এসব বন্ধ করো, আমার ভালো লাগছে না।
-ঠোঁটে আরেকটা চুমু দেয় ঠিক তখন শান্তর মোবাইলে ফোন আসে, শান্ত মোবাইলটা বের করে দেখে জুই এর নাম্বার থেকে ফোন আসছে।
.
এনি জুই এর নাম্বার দেখতে পেয়ে শান্তর হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে ফোন কেটে দেয়।
-ফোন টা কাটছো কেন?(শান্ত)
-আমার মন চাইছে তাই কাটছি বলে জুই এর নাম্বারটা ব্লক লিস্টে ফেলে।
-মোবাইল দাও।
-এনি তখন শান্তর কোলে উঠে বসে।
-এনি প্লিজ আমার সাথে এসব করো না।
-কি করবো?
-আমাকে ছাড়ো প্লিজ।
-না ছাড়লে?
-মানে?
-এনি তখন শান্তর নাকে মুখে অনেকগুলো কিস করে শান্তর বুকে মাথা রাখে।
-শান্ত আর থাকতে না পেরে এনিকে ঝাড়ি দিয়ে ফেলে দেয়।
-এখন কিন্তু বাবাকে ডাক দিবো।
-তোর বাবাকে ডাক দে।
-সত্যি সত্যি কিন্তু ডাক দিবো।
-এই ভয়টা কাজে লাগিয়ে তুই এতক্ষণ আমার সাথে এসব করছিস।
-তুই তোকারি করতেছো কেন?
-মন চাইছে তাই করতেছি।
-বেশি ভালো হবে না।
-বেশি খারাপ কি হবে?
-এনি তখন অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে যে কিভাবে শান্ত এত পরিবর্তন হলো? আগে কতো মানুষের সামনে থাপ্পর মারছি তখন মুখ ফুটে কিছু বলে নাই আর এখন কথায় কথায় উত্তর দেয় আর আগের মতো ভয়ও পায় না। এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি একসময় এনির ফুপির বাড়ির সামনে এসে থামে।
সবাই গাড়ি থেকে নামার পরে শান্ত সবাইকে সালাম দিয়ে রুমে ডুকে।
সবার সাথে কথা বলে শান্ত রুমে এসে শুয়ে আছে, শান্ত যখন প্রায়'ই ঘুমিয়ে গেছে তখন এনি রুমে ডুকে শান্তর উপরে শুয়ে পরে, নিজের উপর ওজন আবিষ্কার করার পরে শান্ত চোখ খুলে, শান্ত এসব কিছু দেখে এনিকে তার উপর থেকে জোর করে সরিয়ে দাড়িয়ে যায়।
-এনি তোমার প্রবলেম টা কি? আমার সাথে কেন এসব করো?(শান্ত)
-আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে করতেছি।
-আমি তোমাকে গ্রহন করিনি।
-তুমি করো নাই কিন্তু আমি গ্রহন করছি।
-বিয়ে কখনো এক পক্ষের কথা দিয়ে হয় না, বিয়ে হতে হলে দুই পক্ষের মত লাগে।
-তাহলে এ বিয়েতে মত দিলে কেন?
-তোমার বাবার জন্য।
-তাহলে আমার সাথে সুখে সংসার করো।
-তোমার সাথে সংসার করবো? তাও আবার সুখের? বলে শান্ত হাসতে থাকে।
-হাসো কেন?
-হাসির কথা বললে তো হাসি আসবেই
-এখানে হাসির কথা কি বলছি?
-এই যে সুখে সংসার করবা সেটা আর কি।
-সুখের সংসার করতে পারি না?
-যে মেয়ে আমাকে সবার সামনে লজ্জা দিতে ভালো লাগতো সবার সামনেই থাপ্পর দিতো আর সে আমার সাথে সুখের সংসার করবে কিভাবে?
-সংসার কি করতে পারে না?
-এনি আমি জুইকে ভালোবাসি, আমাকে জুই পাবে আর কেউ না।
-জুই এর জন্য এতো পাগল হলে কেন?
-কেন হবো না?
-জুই আর আমার মধ্যে কি পার্থক্য আছে?
-কি পার্থক্য নাই সেটা বলো?
-ও সুন্দর তা ঠিক আছে, আমি কি সুন্দর না?
-হ্যা।
-তো আর কিসের পার্থক্য?
-ওর মন টা পাক পবিত্র আর তোমার মন টা ডাস্টবিনের চেয়েও নোংরা।
এটা শুনে এনি মন খারাপ করে সোফায় গিয়ে বসে পরে।
শান্ত রুম থেকে বের হওয়ার পরে এনি দরজা আটকিয়ে বিছানার উপুর হয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবে শান্ত তো মিথ্যা কিছু বলেনি, আমার মন টা আসলেই নোংরা। এই নোংরা মন নিয়ে কখনো কি ভালোবাসা যায়?
তখন এনির মা দরজায় নক করে।
-শান্ত কোথায়?(এনির মা)
-রুম থেকে বের হয়েছে ৮-১০ মিনিট হয়।
-কার সাথে বের হয়েছে?
-মনে হয় রাফির সাথে বের হয়েছে (এনির ফুফাতো ভাই)
-ওহহ, ফ্রেশ হয়ে খেতে আয় বলে এনির মা চলে যায়।
শান্ত বারান্দায় গিয়ে সাথে সাথে জুইকে ফোন করে।
জুইও শান্তর ফোনের অপেক্ষায় বসে ছিলো তাই সাথে সাথে ফোন রিসিভ করে।
-এই কেমন আছো, তুমি ঠিক আছো তো?(জুই)
-হুম ভালো
-এনি কিছু বলছে?
-ও আর কি বলবে? মেন্টাল মাইয়া,
-ওর কাছ থেকে সাবধানে থাকবা।
-ওকে, খাইছো?
-না খাবো, তুমি খাইছো?
-তুমি আগে খাও তারপরে আমি খাবো।
-ওকে,
-ওকে বায়।
-এই শুনো,
-কি?
-উমমম্মাহহ,
-পাগল একটা
-পাগলী
শান্ত গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে বিকালের দিকে সবার রিকুয়েস্টে এনির কাজিনদের সাথে শান্তরও বের হতে হয়।
সবাই যখন হাটছে আর হাসাহাসি করতেছে তখন এনি গিয়ে শান্তর হাত ধরে হাটা শুরু করে, শান্ত তখন এনির দিকে তাকায় তখন এনি বুঝতে পারে যে শান্তর ইচ্ছা নাই তাও এনি শান্তর হাত ধরে হাটছে আর চারদিকের প্রকৃতি দেখতেছে।
এনির ফুফাতো ভাইয়ের বউ সহ তাদের সাথে বের হয়।
হঠাৎ শান্তকে বলে
-শান্ত ভাই এই পর্যন্ত কতোবার হয়েছে?(ভাবি)
-কি কত বার হয়েছে?
-বুঝেন না নাকি?
-স্পষ্ট করে বলেন।
-আরো স্পষ্ট করে বলবো?
-না বলা লাগবে না।
-আচ্ছা আজ রাতে কত বার হয়েছে?
-আরে কি কত বার হয়েছে?
-কিরে এনি কত বার হয়েছে?
-রাতে দুই বার হয়েছে, এখন চুপ করো। তখন সবাই হাসাহাসি শুরু করে ।
এসবের মাঝে জুই এর ফোন আসে, শান্ত মোবাইল হাতে নেওয়ার পরে এনি উকি দিয়ে দেখে জুই.............
.
.
বাসায় যাওয়ার পরে শান্ত রুমে গিয়ে শুয়ে আছে এমন সময়.....
-এসব কি?(এনি)
-কোন সব?
-জুই এর সাথে এসব কি করছো?
-বউয়ের সাতে স্বামী এসব করে'ই
-আমি তোমার বউ, আমার সাথে করো।
-হি হি হি
-হাসো কেন?
-নতুন বছরের সেরা জোকস টা শুনলাম তাই হাসি আসতেই পারে।
-এটা কি জোকস?
-কেন নয়? তুমি কোনো মেয়ে না, তুমি কিছু মানুষের জীবনে বড় একটা বাধা।
.
-রাগ উঠাবানা বলে দিলাম।
-রাগ উঠিয়ে দিলে কি করবা?
-থাপ্পর দিবো
-থাপ্পর দিবা?
-হ্যা,
শান্ত তখন ঠাস ঠাস করে কয়েক টা থাপ্পর মারে।
-আমার আশে পাশে যেনো তোকে না দেখি বলে শান্ত রুম ছেড়ে চলে যায়, (শান্ত)
এই প্রথম শান্ত এর মুখ থেকে তুই করে কথা শুনে এনির একটু খারাপ লাগছে।
এনি কান্না করতে করতে একসময় ফ্রেশ হয়ে ছাদে গিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে। শান্ত আগে এমন ছিল না কিন্তু এখন কেন এমন হলো?
এসব ভেবে এনি নিজে নিজেই কান্না করে দেয়।
রাতে রুমের ভিতরে ঢুকে দেখে শান্ত শুয়ে আছে তখন এনি শাড়ির আঁচল মেলে শান্তর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শান্তকে কয়েকটা কিস করে ফেলে।
শান্ত হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে, শান্ত কখনো এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলো না।
শান্ত রেগে....
-এসব কি করছো?(শান্ত)
-আমার স্বামীকে আমি করছি (এনি)
-ওমাহহহহ,
-কি?
-তুমি আবার স্বামীকে আদরও করতে পারো? আমি কি তোমার স্বামী নাকি?
-হ্যা,
-আমি তো জুই এর স্বামী।
-অপস শুধু জুই আর জুই।
-কি হয়েছে?
-জুই এর মধ্যে এমন কি আছে যেটা আমার মধ্যে নেই?
-তোমার অনেক কিছুর অভাব আছে।
-প্লিজ তুমি আমাকে ভালোবাসো, তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবো।
-স্যরি, এই শান্ত শুধু জুইকে ভালোবাসে।
-আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-আমি ভালোবাসি না।
-কেন, কি কারণে?
-অনেক কারন আছে।
-কারণ গুলো বলো..
-জুইকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
- ওহহহ শীট আবার জুই??
-হুম শান্তর মুখে সারাক্ষণ'ই জুই থাকবে।
-আমাকে কি একটা চান্স দেওয়া যায় না?
-না।
-কেন?
-কারণ একটাই জুইকে ভালোবাসি।
-আমি তোমাকে ভালোবাসি।
-হা হা হা
-কি? হাসো কেন?
-ভালোবাসি কথাটা শুনে হাসি পেলো আর কি?
-এতে হাসি পাওয়ার কি আছে?
-আমাকে তুমি ভালোবাসো না?
-ভালোবাসি।
-এটা ফেইক লাভ কারণ কয়দিন আগেই তুমি আমাকে সহ্য করতে না আর এখন ভালোবাসা উতলে উঠছে।
-কেউ কি অল্প সময়ে ভালোবাসতে পারে না?
-পারে কিন্তু তুমি পারো না বলে বিছানা থেকে পাতলা কাথা নিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরে।
সকাল সকাল শান্ত বাসা থেকে বের হওয়ার সময়...
-কোথায় যাও?(এনি)
-তোমার কাছে বলতে হব?
-হ্যা,
-আমার মন যেখানে চায় সেখানে যাবো।
-আমাকে নিয়ে যাও,
-আমি পারবো না।
-কেন?
-এমনি,
-জুই সাথে থাকবে তাই তো?
-ওমাহহ এত ভালো আন্দাজ করতে পারো?
-এনি তখন মন খারাপ করে ফেলে,
-বায় বলে শান্ত বের হয়ে যায়।
জুই এর সাথে শান্তর দেখা হওয়ার পরে শান্ত জুই এর হাত ধরে জুই এর চোখে চোখ রাখে,
-এই কান্না করছো কেন?(শান্ত)
জুই তখন শান্তর চোখের দিকে চেয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে থাকে।
-আরে কি হয়েছে সেটা তো বলো।
-আমি আর পারতেছি না।
-জুই আরেকটু ওয়েট করো প্লিজ
-শান্ত যদি ৬মাসের মধ্যে আমাকে তোমার করতে না পারো তাহলে তোমার কসম আমার মরা মুখ দেখবা বলে অন্যদিকে চেয়ে শব্দ করে কান্না করে দেয়।
-এসব দেখে শান্তও নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে কান্না করে দেয়।
শান্ত জুইকে বাসার কাছে নামিয়ে দিয়ে মন খারাপ করে বাসায় আসে।
শান্ত বাসায় আসার পরে এনির বাবা শান্ত কে ডাক দেয়।
এনির বাবা ডাক দেওয়ার পরে শান্ত ভাবে এনি কিছু বলে দেয় নাই তো? যদি কিছু বলে দেয় তাহলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে, এসব ভাবতে ভাবতে ভয় নিয়ে এনির বাবার সামনে যায়।
-বাবা আজকে সবাই মিলে তোমার ফুফির বাসায় যাবো, বিকালের দিকে রেডি হয়ে যাইয়ো।
-জ্বি আচ্ছা,
-ফ্রেশ হয়ে আসো, একসাথে খেতে বসবো।
-ওকে বলে শান্ত রুমে যেতে যেতে মনে মনে বলে যেটা ভাবছিলাম সেটা না।
-এতক্ষণে আসতে মন চাইছে?(এনি)
-নিজের পছন্দের মানুষের কাছে কার না থাকতে ভালো লাগে?
-ওহহ তার মানে এতক্ষণ জুই এর সাথে ছিলে।
-হ্যা বলে শান্ত সবকিছু নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে।
বিকাল হওয়ার পরে সবাই বের হবে, গাড়িতে উঠার সময় শান্ত আর এনি পিছনের সিটে আর এনির বাবা আর মা তাদের সামনের সিটে বসে।
গাড়ি তার নিজস্ব গতিতে চলছে হঠাৎ এনি শান্তকে কিস করে।
-এসব কি?(জুই)
-আদর করছি বলে আরেকটা দেয়।
-আরে এসব কি করতেছো?(শান্ত রেগে গিয়ে)
-বাবাকে ডাক দিবো?
-ব্ল্যাকমেইল করতেছো?
-সোজা-সুজি রাস্তায় যখন পায় না তাই বাকা রাস্তায় তো যেতেই হবে বলে আরেকটা কিস করে।
-এনি ভালো হচ্ছে না কিন্তু?
-কি করবা?
-প্লিজ এসব বন্ধ করো, আমার ভালো লাগছে না।
-ঠোঁটে আরেকটা চুমু দেয় ঠিক তখন শান্তর মোবাইলে ফোন আসে, শান্ত মোবাইলটা বের করে দেখে জুই এর নাম্বার থেকে ফোন আসছে।
.
এনি জুই এর নাম্বার দেখতে পেয়ে শান্তর হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে ফোন কেটে দেয়।
-ফোন টা কাটছো কেন?(শান্ত)
-আমার মন চাইছে তাই কাটছি বলে জুই এর নাম্বারটা ব্লক লিস্টে ফেলে।
-মোবাইল দাও।
-এনি তখন শান্তর কোলে উঠে বসে।
-এনি প্লিজ আমার সাথে এসব করো না।
-কি করবো?
-আমাকে ছাড়ো প্লিজ।
-না ছাড়লে?
-মানে?
-এনি তখন শান্তর নাকে মুখে অনেকগুলো কিস করে শান্তর বুকে মাথা রাখে।
-শান্ত আর থাকতে না পেরে এনিকে ঝাড়ি দিয়ে ফেলে দেয়।
-এখন কিন্তু বাবাকে ডাক দিবো।
-তোর বাবাকে ডাক দে।
-সত্যি সত্যি কিন্তু ডাক দিবো।
-এই ভয়টা কাজে লাগিয়ে তুই এতক্ষণ আমার সাথে এসব করছিস।
-তুই তোকারি করতেছো কেন?
-মন চাইছে তাই করতেছি।
-বেশি ভালো হবে না।
-বেশি খারাপ কি হবে?
-এনি তখন অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে যে কিভাবে শান্ত এত পরিবর্তন হলো? আগে কতো মানুষের সামনে থাপ্পর মারছি তখন মুখ ফুটে কিছু বলে নাই আর এখন কথায় কথায় উত্তর দেয় আর আগের মতো ভয়ও পায় না। এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি একসময় এনির ফুপির বাড়ির সামনে এসে থামে।
সবাই গাড়ি থেকে নামার পরে শান্ত সবাইকে সালাম দিয়ে রুমে ডুকে।
সবার সাথে কথা বলে শান্ত রুমে এসে শুয়ে আছে, শান্ত যখন প্রায়'ই ঘুমিয়ে গেছে তখন এনি রুমে ডুকে শান্তর উপরে শুয়ে পরে, নিজের উপর ওজন আবিষ্কার করার পরে শান্ত চোখ খুলে, শান্ত এসব কিছু দেখে এনিকে তার উপর থেকে জোর করে সরিয়ে দাড়িয়ে যায়।
-এনি তোমার প্রবলেম টা কি? আমার সাথে কেন এসব করো?(শান্ত)
-আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে করতেছি।
-আমি তোমাকে গ্রহন করিনি।
-তুমি করো নাই কিন্তু আমি গ্রহন করছি।
-বিয়ে কখনো এক পক্ষের কথা দিয়ে হয় না, বিয়ে হতে হলে দুই পক্ষের মত লাগে।
-তাহলে এ বিয়েতে মত দিলে কেন?
-তোমার বাবার জন্য।
-তাহলে আমার সাথে সুখে সংসার করো।
-তোমার সাথে সংসার করবো? তাও আবার সুখের? বলে শান্ত হাসতে থাকে।
-হাসো কেন?
-হাসির কথা বললে তো হাসি আসবেই
-এখানে হাসির কথা কি বলছি?
-এই যে সুখে সংসার করবা সেটা আর কি।
-সুখের সংসার করতে পারি না?
-যে মেয়ে আমাকে সবার সামনে লজ্জা দিতে ভালো লাগতো সবার সামনেই থাপ্পর দিতো আর সে আমার সাথে সুখের সংসার করবে কিভাবে?
-সংসার কি করতে পারে না?
-এনি আমি জুইকে ভালোবাসি, আমাকে জুই পাবে আর কেউ না।
-জুই এর জন্য এতো পাগল হলে কেন?
-কেন হবো না?
-জুই আর আমার মধ্যে কি পার্থক্য আছে?
-কি পার্থক্য নাই সেটা বলো?
-ও সুন্দর তা ঠিক আছে, আমি কি সুন্দর না?
-হ্যা।
-তো আর কিসের পার্থক্য?
-ওর মন টা পাক পবিত্র আর তোমার মন টা ডাস্টবিনের চেয়েও নোংরা।
এটা শুনে এনি মন খারাপ করে সোফায় গিয়ে বসে পরে।
শান্ত রুম থেকে বের হওয়ার পরে এনি দরজা আটকিয়ে বিছানার উপুর হয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবে শান্ত তো মিথ্যা কিছু বলেনি, আমার মন টা আসলেই নোংরা। এই নোংরা মন নিয়ে কখনো কি ভালোবাসা যায়?
তখন এনির মা দরজায় নক করে।
-শান্ত কোথায়?(এনির মা)
-রুম থেকে বের হয়েছে ৮-১০ মিনিট হয়।
-কার সাথে বের হয়েছে?
-মনে হয় রাফির সাথে বের হয়েছে (এনির ফুফাতো ভাই)
-ওহহ, ফ্রেশ হয়ে খেতে আয় বলে এনির মা চলে যায়।
শান্ত বারান্দায় গিয়ে সাথে সাথে জুইকে ফোন করে।
জুইও শান্তর ফোনের অপেক্ষায় বসে ছিলো তাই সাথে সাথে ফোন রিসিভ করে।
-এই কেমন আছো, তুমি ঠিক আছো তো?(জুই)
-হুম ভালো
-এনি কিছু বলছে?
-ও আর কি বলবে? মেন্টাল মাইয়া,
-ওর কাছ থেকে সাবধানে থাকবা।
-ওকে, খাইছো?
-না খাবো, তুমি খাইছো?
-তুমি আগে খাও তারপরে আমি খাবো।
-ওকে,
-ওকে বায়।
-এই শুনো,
-কি?
-উমমম্মাহহ,
-পাগল একটা
-পাগলী
শান্ত গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে বিকালের দিকে সবার রিকুয়েস্টে এনির কাজিনদের সাথে শান্তরও বের হতে হয়।
সবাই যখন হাটছে আর হাসাহাসি করতেছে তখন এনি গিয়ে শান্তর হাত ধরে হাটা শুরু করে, শান্ত তখন এনির দিকে তাকায় তখন এনি বুঝতে পারে যে শান্তর ইচ্ছা নাই তাও এনি শান্তর হাত ধরে হাটছে আর চারদিকের প্রকৃতি দেখতেছে।
এনির ফুফাতো ভাইয়ের বউ সহ তাদের সাথে বের হয়।
হঠাৎ শান্তকে বলে
-শান্ত ভাই এই পর্যন্ত কতোবার হয়েছে?(ভাবি)
-কি কত বার হয়েছে?
-বুঝেন না নাকি?
-স্পষ্ট করে বলেন।
-আরো স্পষ্ট করে বলবো?
-না বলা লাগবে না।
-আচ্ছা আজ রাতে কত বার হয়েছে?
-আরে কি কত বার হয়েছে?
-কিরে এনি কত বার হয়েছে?
-রাতে দুই বার হয়েছে, এখন চুপ করো। তখন সবাই হাসাহাসি শুরু করে ।
এসবের মাঝে জুই এর ফোন আসে, শান্ত মোবাইল হাতে নেওয়ার পরে এনি উকি দিয়ে দেখে জুই.............
.
অহংকারী মেয়ে! পর্ব-০৭
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
4:04 PM
Rating:

No comments