ভুল ভালোবাসা! পর্ব-০১
তুমি আমাকে তিল টা দেখাবে কিনা?
না দেখালে ভাব্বো তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা ভালও বাসোনা।
আর যে আমাকে ভালবাসেনা,তার সাথে কথা বলেই বা কি হবে।আজকের পর তাহলে তুমি আমাকে আর ফোন দিবেনা।
এখন ভেবে দেখো কি করবে।তিল দেখাবে নাকি যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে?
-না না আবির,যোগাযোগ বন্ধ হলে আমিতো মরে যাবো।আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি,তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।
আবির ফান করে অধরাকে বলেছিলো তোকে আমি বিয়ে করে বউ বানাবো।
সেই থেকেই অধরা মনে প্রাণে আবিরকে ভালবাসতে থাকে।
আবিরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে।
অধরা ওর মাকে জিজ্ঞেস করে,
-আবির ভাইয়া কেমন মা?
-ভালোই তো।সিগারেট টিগারেট খায়না শুনেছি।
-উনাকে যে বিয়ে করবে সে অনেক সুখী হবে তাইনা?
-হুম হবেই তো,বাপ মায়ের এক মাত্র ছেলে।সব কিছুইতো ওর।
বউ এসে রাজরাণীর মত থাকবে।
-আমারো একটা এমন ছেলে খুঁজে নিতে হবে তাহলে,বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান,হি হি।
-এত পাকামো করতে হবেনা।যান এবার পড়তে বসেন।
অধরা ওর মায়ের সাথে অনেক ফ্রী,একদম বন্ধুর মত।
অধরা আবিরকে মনে মনে ভালবাসতে থাকে।
ভাবে যে পড়াশোনা করতে থাকি,তারপর আবিরকে বলবো একদিন।
আবির আমি তোমাকে ভালবাসি।
অধরা ক্লাস নাইনে পড়ে।
এই বয়স টাই ভুল পথে পা বাড়ানোর।
যদি কেউ নিজেকে বুঝ দিয়ে কিংবা আবেগ বাদ দিয়ে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারে,
তাহলে সে হয়তো জীবনের কঠিন মুহূর্ত টা পাড় করে যেতে পারে।
আর যদি কেউ আবেগে পড়ে যায়,
তাহলে জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে দুই মিনিটও লাগেনা।
একদিন আবির অধরাকে বলে,
-শোন অধরা,
-হুম বলুন।
-তুই তো নাইনে পড়িস তাইনা?
-জ্বী ভাইয়া
-তোর সাথে একটা মেয়ে পড়ে,নাম ঝিনুক।চিনিস?
-ফর্সা মত মেয়েটা?
-হুম হুম।
-হ্যাঁ চিনিতো।
-তুই কালই আমাকে ওর মোবাইল নাম্বার যোগাড় করে দিবি।
-কেন ভাইয়া?
-আমি ঝিনুক কে ভালবাসি।অনেক দিন থেকে ওকে ফলো করি।কিন্তু কিছুতেই ওর মোবাইল নাম্বার জোগাড় করতে পারছিনা।
তুই না আমার বোন,এই টুকু কাজ করতে পারবিনা?
-কিন্তু ভাইয়া,
-কি বল?
-আমি যে আপনাকে ভালবাসি।
এই বলে অধরা কান্না শুরু করে দিলো।
-কিহ?তুই আমাকে ভালবাসিস?
-হ্যাঁ।আপনি না সেদিন বললেন আমাকে আপনি বিয়ে করবেন?
আমাকে বউ বানাবেন?
-হ্যাঁ বলেছি,কিন্তু আমিতো মজা করে বলেছিলাম কথা গুলো।
তুই এমন সিরিয়াস ভাবে নিবি আমি তা বুঝিনি।
দেখ ভালবাসা মনের বিরুদ্ধে হয়না।
আমি ঝিনুককেই ভালবাসি,তোকে না।
আর যদি তুই আমাকে সত্যিই ভালবেসে থাকিস,তাহলে যেভাবেই হোক তুই আমাকে ঝিনুকের নাম্বার এনে দিবি।
আবির কথা গুলো বলে চলে যায়।
অধরা কাঁদতে থাকে।
পরের দিন অধরা ক্লাশে গিয়ে ঝিনুকের সাথে কথা বলে।
জিজ্ঞেস করে কাউকে ভালবাসে কিনা,
এই সেই।
-হ্যাঁ রে জিহান নামে আমি একটা ছেলেকে ভালবাসি।
কথাটা শুনে যেন অধরা প্রাণ ফিরে পেলো।
-তোমাদের দুজনের রিলেশন চলছে?
-নাহ,আমি জিহানকে একাই ভালবাসি।জিহান আমাকে ভালবাসে না।
-ওহ।
-আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দেয়া যাবে?
বাসায় গিয়ে মেসেজে কথা বলবো।
-আচ্ছা এই নাও আমার নাম্বার।
ঝিনুক একটা কাগজে অধরাকে ওর মোবাইল নং লিখে দেয়।
অধরা বাসায় যাওয়ার পর আবির অধরাকে ফোন দেয়।
আবির আর অধরা দূর্সম্পর্কের রিলেটিভ।তাই আবিরের কাছে ওদের বাসার ফোন নাম্বার আছে।
-কাজ হয়েছে?নাম্বার এনেছিস?
-হুম এনেছি।
আবির শুনে অনেক খুশি হয়।
-কিন্তু একটা ব্যাড নিউজ আছে।
-কি ব্যাড নিউজ?
-ও একটা ছেলেকে ভালবাসে।
-ধুর,এই সব ভালবাসা টালবাসা কিছুনা।কদিন পরই চলে যাবে।
-দে নাম্বার টা দে।
-ঝিনুক যেন কখনো না জানে,ফোন নাম্বার টা যে আমি দিয়েছি।
-জানবেনা।
অধরা আবিরকে ঝিনুকের নাম্বার টা দেয়।
আবির ফোন কেটে দেয়।
এদিকে অধরা কাঁদতে থাকে।
আবির এখন প্রায়ই অধরার স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিন্তু অধরাকে দেখতে নয়।
ঝিনুক কে দেখতে।
অধরাও ক্লাসের জানালা দিয়ে চুপিচুপি আবিরকে দেখে চোখের জল ফেলে।
একদিন আবির অধরাকে ফোন দিয়ে বলে,
-তুই আজ ঝিনুককে বলবি,আমি যে ওকে ভালবাসি।
-আমি বলতে পারবোনা।
-কেমন ভালবাসিস আমাকে তুই,আমার এই টুকু উপকার করতে পারবিনা।
-আচ্ছা ঠিকাছে বলবো কাল ক্লাসে গিয়ে।
আবির ফোন রেখে দেয়।
এদিকে অধরা কেঁদে বালিশ ভেজায়।
পরের দিন সকালে অধরা স্কুলে গিয়ে ঝিনুককে বলে,
-ঝিনুক,একটা কথা বলার ছিলো।
-হুম বলো।
-আবির ভাইয়াকে চেনো?তোমাদের বাসার ওখানেই বাসা।
-হুম চিনিতো।
-সে আমার কাজিন হয়।
-ওহ তাই নাকি?
-হ্যাঁ।
-ভালইতো,তাদের বাসায় গেলে আমাদের বাসায়ও যেও।
তাকে বললেই নিয়ে যাবে।সে আমার বাসা চিনে।
-শোনো ঝিনুক,
-হুম বলো।
-আবির ভাইয়া তোমাকে ভালবাসে,খুব ভালবাসে।আর তোমাকে বিয়েও করতে চায়।
-তাই নাকি?কিন্তু আমি যে জিহানকে ভালবাসি সেটা তুমি তাকে বলোনি?
-হুম বলেছি।
-তারপরও এমন বলেছে?
-হুম।
-তুমি তাকে বলে দিও,আমি তাকে ভালবাসি না।
আমি শুধু জিহানকে ভালবাসি।বিয়ে করলে ওকেই করবো।
আর তোমার ভাইয়াকে বলে দিও,সে যেন আমার পিছু পিছু না আসে।
অনেক দিন থেকে খেয়াল করছি সে আমাকে ফলো করে।
আমার এসব একদম ভালো লাগেনা।
সে যেন কোন দিন আমার সামনে না আসে।
-আচ্ছা বলবো।
তুমি কিছু মনে করোনা।
-আরে না,কি মনে করবো?মেয়ে হয়ে জন্মেছি।যে কেউ পছন্দ করতেই পারে।
বাসায় গিয়ে অধরা আবিরকে জানায়।
অধরা যা যা বলেছে।
আবির রাগে কটমট করতে থাকে।
আর বলে,আজ থেকে ওর দিকে থু থুও ফেলবোনা।
অনেক দিন পর,একদিন অধরা শপিং করতে যায়।
সেখানে আবিরের বন্ধুরা অধরাকে ডেকে বলে,
-একটা কথা ছিলো অধরা।
-জ্বী বলুন।
-আবির তোমাকে খুব ভালবাসে।কিন্তু তোমাকে বলতে পারছেনা।
-না ভাইয়া,আবির আমাকে না,আবির ঝিনুককে ভালবাসে।
-আমরা জানি ঝিনুককে ও পছন্দ করতো।
কিন্তু এখন আর পছন্দ করেনা।
তোমার কথা ভেবে ও এখন চোখের জল ফেলে।
তোমাকে কষ্ট দিয়েছে ভেবে রাতে ঘুমাতে পারেনা।ওই দেখো ওর চোখ লাল হয়ে আছে।
কিছু ক্ষণ আগেও ও কেঁদেছে।
অধরা আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে আবিরের চোখ লাল।
-প্লিজ অধরা তুমি ওকে একটা সুযোগ দাও।
অধরা কিছু না বলে চলে আসে।
বাসায় আসার পর দেখে আবিরের মেসেজ।
'অধরা আমি তোমাকে আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে ভালবাসি।
আই লাভ ইউ'
মেসেজ টা দেখে অধরার খুশির আর অন্ত থাকেনা।
অধরা সব ভুলে আবিরকে ক্ষমা করে দিয়ে কাছে টেনে নেয়।
চলতে থাকে ওদের মোঠফোনে প্রেম।
এদিকে অধরা এখন ক্লাস টেনে উঠেছে।
একদিন আবির অধরাকে বলে,আমার বুকে না অনেক লোম।আমি আমার বউকে অনেক আদর করবো।
বুকে লোম থাকলে নাকি বউকে খুব আদর করে।
আর মেয়েদের বুকে তিল থাকলে নাকি বরকে খুব আদর করে।
ইশ তোমার যদি বুকে তিল থাকতো।
অধরা আচমকা বলে ফেলে,
-হুম আছেতো।
তারপর লজ্জা পেয়ে জিহ্বায় কামড় দেয়।
আর কথা বলেনা চুপ হয়ে যায়।
আর সেই থেকেই আবির যখন অধরাকে ফোন দেয়,সেই একই কথা।
আমি তোমার তিল দেখবো।
অধরা অন্য কোন কথা বলে টপিক টা কাটিয়ে নেয়।
দেখা হলেও কোন না কোন ভাবে আবিরের কথা টা কাটিয়ে চলে আসে।
কিন্তু একদিন...
চলবে
না দেখালে ভাব্বো তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা ভালও বাসোনা।
আর যে আমাকে ভালবাসেনা,তার সাথে কথা বলেই বা কি হবে।আজকের পর তাহলে তুমি আমাকে আর ফোন দিবেনা।
এখন ভেবে দেখো কি করবে।তিল দেখাবে নাকি যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে?
-না না আবির,যোগাযোগ বন্ধ হলে আমিতো মরে যাবো।আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি,তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।
আবির ফান করে অধরাকে বলেছিলো তোকে আমি বিয়ে করে বউ বানাবো।
সেই থেকেই অধরা মনে প্রাণে আবিরকে ভালবাসতে থাকে।
আবিরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে।
অধরা ওর মাকে জিজ্ঞেস করে,
-আবির ভাইয়া কেমন মা?
-ভালোই তো।সিগারেট টিগারেট খায়না শুনেছি।
-উনাকে যে বিয়ে করবে সে অনেক সুখী হবে তাইনা?
-হুম হবেই তো,বাপ মায়ের এক মাত্র ছেলে।সব কিছুইতো ওর।
বউ এসে রাজরাণীর মত থাকবে।
-আমারো একটা এমন ছেলে খুঁজে নিতে হবে তাহলে,বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান,হি হি।
-এত পাকামো করতে হবেনা।যান এবার পড়তে বসেন।
অধরা ওর মায়ের সাথে অনেক ফ্রী,একদম বন্ধুর মত।
অধরা আবিরকে মনে মনে ভালবাসতে থাকে।
ভাবে যে পড়াশোনা করতে থাকি,তারপর আবিরকে বলবো একদিন।
আবির আমি তোমাকে ভালবাসি।
অধরা ক্লাস নাইনে পড়ে।
এই বয়স টাই ভুল পথে পা বাড়ানোর।
যদি কেউ নিজেকে বুঝ দিয়ে কিংবা আবেগ বাদ দিয়ে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারে,
তাহলে সে হয়তো জীবনের কঠিন মুহূর্ত টা পাড় করে যেতে পারে।
আর যদি কেউ আবেগে পড়ে যায়,
তাহলে জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে দুই মিনিটও লাগেনা।
একদিন আবির অধরাকে বলে,
-শোন অধরা,
-হুম বলুন।
-তুই তো নাইনে পড়িস তাইনা?
-জ্বী ভাইয়া
-তোর সাথে একটা মেয়ে পড়ে,নাম ঝিনুক।চিনিস?
-ফর্সা মত মেয়েটা?
-হুম হুম।
-হ্যাঁ চিনিতো।
-তুই কালই আমাকে ওর মোবাইল নাম্বার যোগাড় করে দিবি।
-কেন ভাইয়া?
-আমি ঝিনুক কে ভালবাসি।অনেক দিন থেকে ওকে ফলো করি।কিন্তু কিছুতেই ওর মোবাইল নাম্বার জোগাড় করতে পারছিনা।
তুই না আমার বোন,এই টুকু কাজ করতে পারবিনা?
-কিন্তু ভাইয়া,
-কি বল?
-আমি যে আপনাকে ভালবাসি।
এই বলে অধরা কান্না শুরু করে দিলো।
-কিহ?তুই আমাকে ভালবাসিস?
-হ্যাঁ।আপনি না সেদিন বললেন আমাকে আপনি বিয়ে করবেন?
আমাকে বউ বানাবেন?
-হ্যাঁ বলেছি,কিন্তু আমিতো মজা করে বলেছিলাম কথা গুলো।
তুই এমন সিরিয়াস ভাবে নিবি আমি তা বুঝিনি।
দেখ ভালবাসা মনের বিরুদ্ধে হয়না।
আমি ঝিনুককেই ভালবাসি,তোকে না।
আর যদি তুই আমাকে সত্যিই ভালবেসে থাকিস,তাহলে যেভাবেই হোক তুই আমাকে ঝিনুকের নাম্বার এনে দিবি।
আবির কথা গুলো বলে চলে যায়।
অধরা কাঁদতে থাকে।
পরের দিন অধরা ক্লাশে গিয়ে ঝিনুকের সাথে কথা বলে।
জিজ্ঞেস করে কাউকে ভালবাসে কিনা,
এই সেই।
-হ্যাঁ রে জিহান নামে আমি একটা ছেলেকে ভালবাসি।
কথাটা শুনে যেন অধরা প্রাণ ফিরে পেলো।
-তোমাদের দুজনের রিলেশন চলছে?
-নাহ,আমি জিহানকে একাই ভালবাসি।জিহান আমাকে ভালবাসে না।
-ওহ।
-আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দেয়া যাবে?
বাসায় গিয়ে মেসেজে কথা বলবো।
-আচ্ছা এই নাও আমার নাম্বার।
ঝিনুক একটা কাগজে অধরাকে ওর মোবাইল নং লিখে দেয়।
অধরা বাসায় যাওয়ার পর আবির অধরাকে ফোন দেয়।
আবির আর অধরা দূর্সম্পর্কের রিলেটিভ।তাই আবিরের কাছে ওদের বাসার ফোন নাম্বার আছে।
-কাজ হয়েছে?নাম্বার এনেছিস?
-হুম এনেছি।
আবির শুনে অনেক খুশি হয়।
-কিন্তু একটা ব্যাড নিউজ আছে।
-কি ব্যাড নিউজ?
-ও একটা ছেলেকে ভালবাসে।
-ধুর,এই সব ভালবাসা টালবাসা কিছুনা।কদিন পরই চলে যাবে।
-দে নাম্বার টা দে।
-ঝিনুক যেন কখনো না জানে,ফোন নাম্বার টা যে আমি দিয়েছি।
-জানবেনা।
অধরা আবিরকে ঝিনুকের নাম্বার টা দেয়।
আবির ফোন কেটে দেয়।
এদিকে অধরা কাঁদতে থাকে।
আবির এখন প্রায়ই অধরার স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিন্তু অধরাকে দেখতে নয়।
ঝিনুক কে দেখতে।
অধরাও ক্লাসের জানালা দিয়ে চুপিচুপি আবিরকে দেখে চোখের জল ফেলে।
একদিন আবির অধরাকে ফোন দিয়ে বলে,
-তুই আজ ঝিনুককে বলবি,আমি যে ওকে ভালবাসি।
-আমি বলতে পারবোনা।
-কেমন ভালবাসিস আমাকে তুই,আমার এই টুকু উপকার করতে পারবিনা।
-আচ্ছা ঠিকাছে বলবো কাল ক্লাসে গিয়ে।
আবির ফোন রেখে দেয়।
এদিকে অধরা কেঁদে বালিশ ভেজায়।
পরের দিন সকালে অধরা স্কুলে গিয়ে ঝিনুককে বলে,
-ঝিনুক,একটা কথা বলার ছিলো।
-হুম বলো।
-আবির ভাইয়াকে চেনো?তোমাদের বাসার ওখানেই বাসা।
-হুম চিনিতো।
-সে আমার কাজিন হয়।
-ওহ তাই নাকি?
-হ্যাঁ।
-ভালইতো,তাদের বাসায় গেলে আমাদের বাসায়ও যেও।
তাকে বললেই নিয়ে যাবে।সে আমার বাসা চিনে।
-শোনো ঝিনুক,
-হুম বলো।
-আবির ভাইয়া তোমাকে ভালবাসে,খুব ভালবাসে।আর তোমাকে বিয়েও করতে চায়।
-তাই নাকি?কিন্তু আমি যে জিহানকে ভালবাসি সেটা তুমি তাকে বলোনি?
-হুম বলেছি।
-তারপরও এমন বলেছে?
-হুম।
-তুমি তাকে বলে দিও,আমি তাকে ভালবাসি না।
আমি শুধু জিহানকে ভালবাসি।বিয়ে করলে ওকেই করবো।
আর তোমার ভাইয়াকে বলে দিও,সে যেন আমার পিছু পিছু না আসে।
অনেক দিন থেকে খেয়াল করছি সে আমাকে ফলো করে।
আমার এসব একদম ভালো লাগেনা।
সে যেন কোন দিন আমার সামনে না আসে।
-আচ্ছা বলবো।
তুমি কিছু মনে করোনা।
-আরে না,কি মনে করবো?মেয়ে হয়ে জন্মেছি।যে কেউ পছন্দ করতেই পারে।
বাসায় গিয়ে অধরা আবিরকে জানায়।
অধরা যা যা বলেছে।
আবির রাগে কটমট করতে থাকে।
আর বলে,আজ থেকে ওর দিকে থু থুও ফেলবোনা।
অনেক দিন পর,একদিন অধরা শপিং করতে যায়।
সেখানে আবিরের বন্ধুরা অধরাকে ডেকে বলে,
-একটা কথা ছিলো অধরা।
-জ্বী বলুন।
-আবির তোমাকে খুব ভালবাসে।কিন্তু তোমাকে বলতে পারছেনা।
-না ভাইয়া,আবির আমাকে না,আবির ঝিনুককে ভালবাসে।
-আমরা জানি ঝিনুককে ও পছন্দ করতো।
কিন্তু এখন আর পছন্দ করেনা।
তোমার কথা ভেবে ও এখন চোখের জল ফেলে।
তোমাকে কষ্ট দিয়েছে ভেবে রাতে ঘুমাতে পারেনা।ওই দেখো ওর চোখ লাল হয়ে আছে।
কিছু ক্ষণ আগেও ও কেঁদেছে।
অধরা আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে আবিরের চোখ লাল।
-প্লিজ অধরা তুমি ওকে একটা সুযোগ দাও।
অধরা কিছু না বলে চলে আসে।
বাসায় আসার পর দেখে আবিরের মেসেজ।
'অধরা আমি তোমাকে আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে ভালবাসি।
আই লাভ ইউ'
মেসেজ টা দেখে অধরার খুশির আর অন্ত থাকেনা।
অধরা সব ভুলে আবিরকে ক্ষমা করে দিয়ে কাছে টেনে নেয়।
চলতে থাকে ওদের মোঠফোনে প্রেম।
এদিকে অধরা এখন ক্লাস টেনে উঠেছে।
একদিন আবির অধরাকে বলে,আমার বুকে না অনেক লোম।আমি আমার বউকে অনেক আদর করবো।
বুকে লোম থাকলে নাকি বউকে খুব আদর করে।
আর মেয়েদের বুকে তিল থাকলে নাকি বরকে খুব আদর করে।
ইশ তোমার যদি বুকে তিল থাকতো।
অধরা আচমকা বলে ফেলে,
-হুম আছেতো।
তারপর লজ্জা পেয়ে জিহ্বায় কামড় দেয়।
আর কথা বলেনা চুপ হয়ে যায়।
আর সেই থেকেই আবির যখন অধরাকে ফোন দেয়,সেই একই কথা।
আমি তোমার তিল দেখবো।
অধরা অন্য কোন কথা বলে টপিক টা কাটিয়ে নেয়।
দেখা হলেও কোন না কোন ভাবে আবিরের কথা টা কাটিয়ে চলে আসে।
কিন্তু একদিন...
চলবে
ভুল ভালোবাসা! পর্ব-০১
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
3:21 PM
Rating:

No comments