অচিন পাখি! বাংলা অসাধারণ রোমান্টিক গল্প।
সকালের
নাস্তা খাওয়ার পর। নিজের রুমে চলে যাই আমি। একটু পর কার যেন মেসেজ। হ্যাঁ
এই মেসেজটাই আমার জীবনকে তেজপাতা করে দিয়েছে। এই মেসেজটার কারণে, কোনো
মেয়েকে ভালোবাসতে পারি না আমি।
মেসেজে লিখা ছিলো।
-কেমন আছেন।
আমি একটু পর রিপ্লাই দিয়েছিলাম।
-জ্বি ভালো। আপনি?
-একটা কথা বলার ছিলো।
-জ্বি বলুন।
-আসলে আমি মিতুর বান্ধবী। আমার ফোনে মেসেজ নেই। যদি মেসেজ কিনে দিতেন।
-ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।
এভাবেই শুরু হতে লাগলো দিন গুলো। মেয়েটার নাম ছিলো ফারিহা। জীবনে কোনোদিন দেখিনাই তার চেহেরা। আস্তে আস্তে দুজন দুজনের সম্পর্কে জানতে লাগলাম। তারপর প্রেম। জীবনের সবথেকে বড় ভুল। কাউকে মন থেকে ভালোবাসা। আমিও তাই করেছিলাম। প্রেথম প্রেমটা ভুল করেই হয়। একদিন দুষ্টুমি করে বলেছিলাম।
-আপনি প্রেম করেন?
-নাহ, আপনে প্রেম করেন। (ফারিহা আপনে করে বলতো।)
-জ্বি না,
তারপর হঠাৎ করেই বলে দিয়েছিলাম প্রেম করবেন? কিছুক্ষণ পর মেসেজ। একটু রাগ একটু অভিমান। সত্যি বলতে আমি মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। মেয়েটা আমাকে ভালোবাসতো কিনা যানি না। তবে আমি খুব ভালোবাসতাম। অনেক ডিস্টার্ব করতাম। কোচিং করতে গেলে আমি মেসেজ দিতাম। তবে মেসেজের রিপ্লাই পেতাম না।
একটু বেশি মন খারাপ থাকতো আমার। রাতে আগে ভাত খেয়ে নিতাম। মেয়েটার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য। তারপর মেয়েটা কোচিং থেকে ফিরলে আমাকে মেসেজ দিতো। আর অনেক রাগ করতো। আমাকে গালি দিতো। তাকে মেসেজ দেওয়া কারণে। আম্মু যদি দেখে ফেলে।
-কি করবো বলো। ভালো লাগছিলো না।
-পাগল একটা
-হু তোমারি পাগল।
প্রেমটা হয়তো কয়েকদিনের ছিলো। তবে মেয়েটাকে আমি ভিষণ ভালোবাসতাম। অনেক ডিস্টার্ব করতাম। আমার সঙ্গে কথা না বললে। মিতুকে বলতাম। ওর সাথে কথা বলে, আমাক যেন মেসেজ দেয়।
তবুও মেসেজ দিতো না মেয়েটা।
হঠাৎ করেই একদিন আমাকে বলে।
-আমি তোমার সঙ্গে আর রিলেশন করতে পারবো না।
-মানে কি মজা করছো তুমি?
-না মজা করছি না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। ক্ষমা করে দিয়ো।
-মানে কি? আমার সাথে এতোদিন অভিনয় করেছিলে নাকি?
-হ্যাঁ ক্ষমা করে দিও।
আমাদের ব্রকআপ হয়ে যায়। তবে আমি মনে করেছিলাম আমার সঙ্গে মজা করছে মেয়েটা। তাই আমি প্রতেদিন মেসেজ দিতাম মেয়েটাকে। আর ফারিহা আমাকে গালি দিতো। তবুও মেসেজ দিতাম। এতোটা বেহায়া ছিলাম আমি। তবুও আমি অনেক ভালোবাসতাম মেয়েটাকে। সময়টা তখন ২০১৯সালের মার্চ মাস,
আমি তখন ফেসবুকে গল্প লিখালিখি শুরু করেছি। আইডির নাম দিয়েছিলাম। আসাদ এ এফ, হঠাৎ করেই আমার পেজে একটা মেসেজ আসে। অসমাপ্ত ডায়েরি পাতা আইডি থেকে। আমি মেসেজটা চেক করে রিপ্লাই দিয়েছিলাম। কে আপনি। উত্তর পেয়েছিলাম চিনা কেউ।
আমার আর ফারিহার বিষয়ে
সব কিছু যানতো।
আমার আর বুঝার বাকি ছিলো না। এটা ফারিহা ছারা আর কেউ না। আস্তে আস্তে ফারিহার সঙ্গে কথা বলতে থাকলাম। একদিন হঠাৎ করে। অনেক গুলো খারাপ কথা বলে আমাকে। তারপর ব্লক। খারাপ কথা গুলো অনেক বাজে ছিলো। মুখে নেওয়া যায় না। সেদিন থেকে মেয়েটাকে ঘৃণা করতে থাকি আমি। মনে করতাম মেয়েরা পবিত্র। তবে এতোটা বাজে মেয়ে ফারিহা, যানতাম না।
প্রতিরাতে কান্না করতাম। আস্তে আস্তে চখের জল গুলো শুখিয়ে গেছে।
এখন আর চখে জল আসে না।
বুকে কান্না আসলেও চখে আর আসে না। সত্যি বলতে প্রেথম প্রেম। ভালোবাসতে শিখায়। প্রথম প্রেম কান্না করতে শিখায়। প্রথম প্রেম টিফিনের টাকা জামিয়ে ফোনে টাকা লোডকরতে শিখায়। প্রথম প্রেম সিগারেট খেতে শিখায়। প্রেথম প্রেম জীবনটাকে কিভাবে তেজপাতা বানানো যায় তা শিখায়।
প্রথম প্রেমটা এমন হয়। তারপর
আর কাউকে ভালোবাসা যায় না।
এখন আর রাত যাগি না। এখন আর চখের জল শুকিয়ে ফেলিনা। এখন আর টাকা জমিয়ে কথা বলি না। এখন আর স্বপ্ন দেখিনা, একটা মেয়েকে নিয়ে।
............সমাপ্ত........ .......................... .
মেসেজে লিখা ছিলো।
-কেমন আছেন।
আমি একটু পর রিপ্লাই দিয়েছিলাম।
-জ্বি ভালো। আপনি?
-একটা কথা বলার ছিলো।
-জ্বি বলুন।
-আসলে আমি মিতুর বান্ধবী। আমার ফোনে মেসেজ নেই। যদি মেসেজ কিনে দিতেন।
-ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।
এভাবেই শুরু হতে লাগলো দিন গুলো। মেয়েটার নাম ছিলো ফারিহা। জীবনে কোনোদিন দেখিনাই তার চেহেরা। আস্তে আস্তে দুজন দুজনের সম্পর্কে জানতে লাগলাম। তারপর প্রেম। জীবনের সবথেকে বড় ভুল। কাউকে মন থেকে ভালোবাসা। আমিও তাই করেছিলাম। প্রেথম প্রেমটা ভুল করেই হয়। একদিন দুষ্টুমি করে বলেছিলাম।
-আপনি প্রেম করেন?
-নাহ, আপনে প্রেম করেন। (ফারিহা আপনে করে বলতো।)
-জ্বি না,
তারপর হঠাৎ করেই বলে দিয়েছিলাম প্রেম করবেন? কিছুক্ষণ পর মেসেজ। একটু রাগ একটু অভিমান। সত্যি বলতে আমি মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। মেয়েটা আমাকে ভালোবাসতো কিনা যানি না। তবে আমি খুব ভালোবাসতাম। অনেক ডিস্টার্ব করতাম। কোচিং করতে গেলে আমি মেসেজ দিতাম। তবে মেসেজের রিপ্লাই পেতাম না।
একটু বেশি মন খারাপ থাকতো আমার। রাতে আগে ভাত খেয়ে নিতাম। মেয়েটার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য। তারপর মেয়েটা কোচিং থেকে ফিরলে আমাকে মেসেজ দিতো। আর অনেক রাগ করতো। আমাকে গালি দিতো। তাকে মেসেজ দেওয়া কারণে। আম্মু যদি দেখে ফেলে।
-কি করবো বলো। ভালো লাগছিলো না।
-পাগল একটা
-হু তোমারি পাগল।
প্রেমটা হয়তো কয়েকদিনের ছিলো। তবে মেয়েটাকে আমি ভিষণ ভালোবাসতাম। অনেক ডিস্টার্ব করতাম। আমার সঙ্গে কথা না বললে। মিতুকে বলতাম। ওর সাথে কথা বলে, আমাক যেন মেসেজ দেয়।
তবুও মেসেজ দিতো না মেয়েটা।
হঠাৎ করেই একদিন আমাকে বলে।
-আমি তোমার সঙ্গে আর রিলেশন করতে পারবো না।
-মানে কি মজা করছো তুমি?
-না মজা করছি না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। ক্ষমা করে দিয়ো।
-মানে কি? আমার সাথে এতোদিন অভিনয় করেছিলে নাকি?
-হ্যাঁ ক্ষমা করে দিও।
আমাদের ব্রকআপ হয়ে যায়। তবে আমি মনে করেছিলাম আমার সঙ্গে মজা করছে মেয়েটা। তাই আমি প্রতেদিন মেসেজ দিতাম মেয়েটাকে। আর ফারিহা আমাকে গালি দিতো। তবুও মেসেজ দিতাম। এতোটা বেহায়া ছিলাম আমি। তবুও আমি অনেক ভালোবাসতাম মেয়েটাকে। সময়টা তখন ২০১৯সালের মার্চ মাস,
আমি তখন ফেসবুকে গল্প লিখালিখি শুরু করেছি। আইডির নাম দিয়েছিলাম। আসাদ এ এফ, হঠাৎ করেই আমার পেজে একটা মেসেজ আসে। অসমাপ্ত ডায়েরি পাতা আইডি থেকে। আমি মেসেজটা চেক করে রিপ্লাই দিয়েছিলাম। কে আপনি। উত্তর পেয়েছিলাম চিনা কেউ।
আমার আর ফারিহার বিষয়ে
সব কিছু যানতো।
আমার আর বুঝার বাকি ছিলো না। এটা ফারিহা ছারা আর কেউ না। আস্তে আস্তে ফারিহার সঙ্গে কথা বলতে থাকলাম। একদিন হঠাৎ করে। অনেক গুলো খারাপ কথা বলে আমাকে। তারপর ব্লক। খারাপ কথা গুলো অনেক বাজে ছিলো। মুখে নেওয়া যায় না। সেদিন থেকে মেয়েটাকে ঘৃণা করতে থাকি আমি। মনে করতাম মেয়েরা পবিত্র। তবে এতোটা বাজে মেয়ে ফারিহা, যানতাম না।
প্রতিরাতে কান্না করতাম। আস্তে আস্তে চখের জল গুলো শুখিয়ে গেছে।
এখন আর চখে জল আসে না।
বুকে কান্না আসলেও চখে আর আসে না। সত্যি বলতে প্রেথম প্রেম। ভালোবাসতে শিখায়। প্রথম প্রেম কান্না করতে শিখায়। প্রথম প্রেম টিফিনের টাকা জামিয়ে ফোনে টাকা লোডকরতে শিখায়। প্রথম প্রেম সিগারেট খেতে শিখায়। প্রেথম প্রেম জীবনটাকে কিভাবে তেজপাতা বানানো যায় তা শিখায়।
প্রথম প্রেমটা এমন হয়। তারপর
আর কাউকে ভালোবাসা যায় না।
এখন আর রাত যাগি না। এখন আর চখের জল শুকিয়ে ফেলিনা। এখন আর টাকা জমিয়ে কথা বলি না। এখন আর স্বপ্ন দেখিনা, একটা মেয়েকে নিয়ে।
............সমাপ্ত........
অচিন পাখি! বাংলা অসাধারণ রোমান্টিক গল্প।
Reviewed by গল্প প্রেমিক
on
12:35 PM
Rating:
No comments